মর্মান্তিক !! আধার সমস্যার ভিতরের আসল
করুন কাহিনী জানুন ।
লক্ষ লক্ষ কর্মী এক রাতে বেকার ....সাধারণ মানুষ হয়রান ।
শুরু কি ভাবে
দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি মানুষের আধার কার্ড-এর প্রয়োজনীয়তা আজ অনস্বীকার্য। ২৮ জানুয়ারী ২০০৯ তারিখে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার আধার কার্ড এর সঙ্গে দেশের মানুষের পরিচয় ঘটান। তৎপরবর্তীতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার দ্বারা মহল্লায় মহল্লায় ক্যাম্প এর মাধ্যমে আধার নথিভুক্তিকরন শুরু হয়। এভাবে বেশ কয়েকবার নথিভুক্তি চলার পর এই নথিভুক্তি প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার দিল্লী ও রাজ্যের সরকার পরিবর্তন হয় ও সবশেষে ২৬ সে মে ২০১৪ দেশে মোদী সরকার অর্থাৎ এন ডি এ সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল যুগের সূচনার মাধ্যমে তাঁর স্বপ্নের ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযান শুরু করেন। এই ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের বাস্তব প্রয়োগের জন্য তিনি পূর্ববর্তী সরকারের কমন সার্ভিস সেন্টার প্রকল্প কে নব রূপে সি এস সি ২.০ নামে গঠন করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ডিজিটাল ইন্ডিয়া ও সিএসসি -এসপিভি ভারত সরকারের ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের অধীনস্ত। আর আধার নিয়ামক সংস্থা ইউআইডিএআই ও সরকারের একই দফতরের অধীনস্ত সংস্থা। ২০১৬ সল্ এর মাঝামাঝি থেকে সরকার এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারের এই দুই সংস্থার মধ্যে মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং আধার কার্ড এর নথিভুক্তি ও সংশোধন ও যাবতীয় কর্মকান্ড সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সিএসসি (কমন সার্ভিস সেন্টার ) গুলি থেকে পরিচালিত হবে বলে স্থির হয়. ।
এই প্রসঙ্গে জেনে রাখা দরকার যে আধার কার্ড এর নথিভুক্তি করণের অধিকার সকলের থাকে না। তার জন্য ইউআইডিএআই এর তত্ত্বাবধানে একটি ট্রেনিং ও পরীক্ষার আয়োজন করা হয় ও যারা তাতে কৃতকার্য হন তাদের স্থায়ী আধার কেন্দ্রের সেন্টার ইন চার্জ বা সুপারভিসর হিসেবে রেজিস্ট্রেশন ও নিয়োগ করা হয়. অধিকাংশ সিএসসি ,যে গুলি তখন ও সরকারি দফতরে ছিলোনা তাদের ল্যাপটপ , প্রিন্টার , হাতের আঙুলের ছাপ নেওয়ার
স্ল্যাপ মেশিন , চোখের মনি স্ক্যান করার আইরিশ মেশিন কিনতে হয় যেগুলি সিএসসির বিভিন্ন রাজ্য দফতরের থেকে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হয়। এ বাবদ সমস্ত সিএসসি সেন্টার এর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ভিএলই দের বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়। শুরু হয় আধার এর নথিভুক্তি ও সংশোধনের কাজ। দীর্ঘদিন
বন্ধ থেকে পুনরায় আধার এর কাজ শুরু হওয়ায় জনসাধারণের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। একদিকে কাজ চলতে থাকে আর এক দিকে চলতে থাকে সেন্টার এর মেশিন রেজিস্ট্রেশন।
গোড়ায় গলদ
এখানে কিছু প্রশ্ন থেকে যায় : -!) যে সমস্ত সুপারভাইসর এবং তাদের অধীনস্ত অপারেটররা এই দায়িত্বে আসীন হলেন তাদের কতজন ভারতীয় সেনসাস সহ নথিভুক্তির কাজে আবশ্যক আইন গুলি জানল ? ২ ) কত জনের ঠিকঠাক ট্রেনিং হলো ?, ৩) কতজনের সেন্টার ভেরিফিকেশন হলো ?,৪) কত জনের প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতা বিচার করা হলো ? ৫) কতজনের পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট নেওয়া হলো ?
উত্তর গুলো বলে দিতে লাগবে না।
Image by Manusher bhasha
মুষ্টিমেয় দক্ষ কর্মী পক্রিয়াটি চালিয়ে যেতে থাকলেন। সঙ্গে আরও একটি ঘটনা ঘটতে থাকলো। বেশকিছু সফটওয়্যার এর মিলিত তালমিলে পুরো নথিভুক্তিকরণ পদ্ধতিটি চলে। সব বিষয়টি খুব নতুন হওয়ার ফলে পদে পদে যান্ত্রিক ত্রুটি আসতে শুরু করলো। কিন্তু
সিএসসি স্টেট সাপোর্ট টীম তখন রেজিস্ট্রেশন এ এত ব্যাস্ত এবং সেন্টার এর পরিমান দিনকে দিন এতো বাড়তে থাকলো যে তাদের স্বল্প পারিকাঠামোতে সেটা সামলানো মুশকিল হলো। ফলত, ডামাডোল অব্যাহত থাকলো। লাইন দেওয়া মানুষ লাইনে ক্লান্ত হলো। আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে শুরু হলো অসাধু কাজকর্ম। কেউ কেউ আধার করিয়ে দেওয়ার নামে সাধারণ
মানুষের কাছ থেকে দাবি করল অতিরিক্ত অর্থ।আমাদের দেশের মানুষ অন্যের আগে নিজের পরিষেবা পাওয়ার জন্য ঘুষ দিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।সঙ্গে এটাও মনে রাখা দরকার ইউআইডিএআই প্রতিটি নথিভুক্তির জন্য যে টাকা সুপারভিসরদের দেবে বলেছিলো , দেওয়ার বেলায় নানা অজুহাতে তা কেটে নিত , কেউ কেউ টাকাই পায়নি।
কর্মীদের আর্থিক সংকটের শুরু
একটি সেন্টার এ সুপারভাইসর ,২-৩জন অপারেটর ,ডকুমেন্ট ভেরিফায়ার , অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টাফ সহ নুনপক্ষে ৫-৭ জন কর্মী প্রয়োজন হতো। সামান্য কমিশনে এদের সবার মাহিনা , ইন্টারনেট , ইলেক্ট্রিসিটি ইত্যাদি মিলিয়ে যে খরচ তা মিটতো না বরং সেন্টারগুলি চরম খাতির সম্মুখীন হলো। দুর্নীতিকে ডেকে নিয়ে আসা হলো। এক্ষেত্রে প্রতি সেন্টার স্টাফ এর জন্য সরকারের তরফে নির্দিষ্ট মাস মাহিনের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। চরম আর্থিক ক্ষতির ফলে মুষ্টিমেয়
কিছু অসাধু অপারেটর নথিভুক্তির জন্য অতিরিক্ত অর্থ দাবি করলো। যা বেআইনি। কিন্তু
এই বেআইনি কাজকর্ম সবাই দেখেও চোখ বন্ধ করে রাখলো।
Image credit Google
নীতিহীনতা দিয়ে দুর্নীতি রোধের চেষ্টা ও সৈরাচারী সিদ্ধান্ত
যখন মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলো , ইউআইডিএআই এর কাছে অভিযোগ যেতে শুরু করলো তখন তাদের টনক নড়লো। তারা কি করলেন ? বললেন কোনো সেন্টারকে বেসরকারি স্থানে আর কাজ করতে দেওয়া হবে না। সবাইকে সরকারি দফতরে স্থানান্তরিত হতে হবে। যেন সরকারী বিল্ডিংয়ে ঢুকে গেলেই সব শুদ্ধ-সুন্দর-দুর্নীতিহীন হতে যাবে। যাইহোক
যেমন বলা তেমন কাজ। সব সুপারভাইসর , অপারেটর
বন্ড দিয়ে , পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট দিয়ে তাদের নিকটবর্তী পঞ্চায়েত , পৌরসভা , বিডিও অফিস , ডিএম অফিস নিজেদের সেন্টারকে স্থানান্তরিত করে নিলেন। কাজ চলতে থাকলো।
এমন সময় জানা গেল আধার এর বিভিন্ন তথ্য হ্যাক /চুরি হচ্ছে এবং তা নিয়ে সারা দেশব্যাপী বিতর্ক সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়ালো। অতঃপর দীর্ঘদিন মামলা চলার পর ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সুপ্রিমকোর্ট আধার মামলার রায় দিল। সেই রায়ে মানুষের তথ্যের সুরক্ষাকে অধিক গুরুত্ত্ব দেওয়া হলো। এবং ইউআইডিএআই বিনা নোটিশ এ সমস্ত সরকারি দফতরে ডিসেম্বর ৩১ , ২০১৮ থেকে আধার এর কাজ স্থগিত করে দিল। কিন্তু
খোঁজ নিয়ে জানা গেল সরকারেরই দুটি দফতরের মধ্যে (ইউআইডিএআই ও সিএসসি )স্বাক্ষরিত মৌ (মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং
) নাকি ইউআইডিএআই দুর্নীতির কারণ দেখিয়ে বাতিল করে দিয়েছে।
চরম বিপর্যয়
মুহূর্তের মধ্যে সারাদেশ ব্যাপী হাজার হাজার আধার কর্মী বেকার , সর্বসান্ত হয়ে গেল। ফাঁসির
আসামিকেও আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। আর এক্ষেত্রে সেই সামান্য ব্যাখ্যা এ আবেদন - আলোচনার কোনো সুযোগই কর্মীরা পেলেন না। কেউ দেখতেই পেলো না ......সব থেমে গেলো ।
খেয়াল করুন ২০১৯ এর লোকসভা
নির্বাচন এর মধ্যেই এসে গেল। সিএসসি আধার কর্মীরা সংগঠিত ভাবে একাধিকবার আন্দোলনে নামে। রাজ্য , কেন্দ্র সব সরকারের কাছে নিজেদের এবং জনগনের অবস্থার বিবরণ দেন। দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের মাননীয় মন্ত্রী শ্র্রী রবিশঙ্কর প্রাসাদ এর সঙ্গে দেখা করেন। মনন্ত্রীমহাশয় দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। দেখুন ভিডিও। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লার ভাষণে সিএসসির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। সিএসসির সিইও দীনেশ ত্যাগী মহাশয় একাধিকবার নিজের বক্তব্যে কাজ শুরুর কথা বলেন। কিন্তু
ফলাফল কি হয়েছে তা তো সাধারণ মানুষ দেখতেই পাচ্ছেন। সিএসসি কর্মীরা তাহলে কার কাছে যাবে ? কার কথা বিশ্বাস করবে ? আর সাধারণ মানুষ ? তাদের কি হবে ?
শুনুন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রাসাদ এর বক্তব্য
শুনুন সিএসসি সিইও দীনেশ ত্যাগী কি বললেন
রাজ্য সরকারের সহযোগিতা
এখানে একটি কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। আধার নিয়ে রাজ্য -কেন্দ্র বিরোধের কথা একাধিক সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে আমাদের সবার জানা। কিন্তু সরকারী দফতরে সিএসসির স্থানান্তর থেকে শুরুকরে আধার সহ অন্যান্য পরিষেবার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তো সম্পূর্ণ সহযোগিতায় করেছেন। তা যদি না হতো ২০১৬ সালের পর আধার এর কোনো কাজ তো কোথাও হতেই পারতো না।
ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিস নিরাপদ ? নিজেদের কাজ সামলাতে পারে ? কুঁজের ওপর শাকের আঁটি
দুর্নীতির অজুহাত দেখিয়ে ইউআইডিএআই যে কাজ সিএসসি থেকে ছিনিয়ে নিল ও সুরক্ষার নতুন উপায় হিসাবে ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসকে বেঁচে নিল সেখানে অবস্থাটা ঠিক কি ? এই সেই পোস্ট অফিস নামক দফতর যেখানে সাধারণ
মানুষের বান্ডিল বান্ডিল আধার কার্ড স্টোরে রুম এর মেঝেতে গড়াগড়ি খায়।তথ্যসুরক্ষা র মাথায় হাত। এই সেই ব্যাঙ্ক যারা নিজেদের কাস্টমার এর টাকার সুরক্ষা আজ ও পুরোপুরি দিতে ব্যার্থ। আর এই প্রশ্নটা সিএসসি করতেই পারে যদি ইউআইডিএআই যে যে সিএসসির কর্মীদের মধ্যে এত দুর্নীতি দেখতে পেয়েছিলো তাদের তদন্ত করে , শো কজ করে বা গ্রেফতার করতে কে বাধা দিয়েছিলো ? বিনা তদন্তে এই ব্যবস্থা কেন নেওয়া হলো ? বা তদন্ত করা হয়ে থাকলে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন ? কোন দফতর এ দুর্নীতি নেই ? মুষ্টিমেয় কিছু অসাধুর জন্য কয়েক লক্ষ কর্মীকে
এক রাত্রিতে নিঃস্ব করে দেওয়া কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ?
একই মানুষের দুটি হাতে হ্যান্ডশেক হয় না !!!???
সরকারের একই মন্ত্রকের অধীনস্ত দুটি দফতরের ভুল বোঝাবুঝি সরকার নিজেই মেটাতে পারছে না ? একই শরীরের দুটি হাত কথা না মানলে বুঝতে হবে সেই শরীরে বা অঙ্গে পক্ষাঘাত হয়েছে। বিষয় টা এই সরকারের পক্ষে কি ভালো বিজ্ঞাপন হচ্ছে ?
আর সাধারণ মানুষ ? যেহেতু সমস্ত সরকারি আর্থিক সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতা মূলক সেখানে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড এ কিছু না কিছু ভুল থাকায় তারা সে গুলি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পেনশন বন্ধ হয়ে , প্রফিডেন্ট ফান্ড লক হয়ে , কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন
স্কলারশিপ না পেয়ে , আধারে সংশোধন করতে না পেরে , বায়োমেট্রিক আপডেট করতে না পেরে , ফোন লিংক করতে না পেরে মানুষ পাগলের মত বিভিন্ন দফতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কতটা প্রকল্পগুলির রূপায়ণ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সিএসসি কর্মীদের বলির পাঠা করে সর্বশান্ত করে , চোখে ঠুলি পড়িয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সামনে ফেলে দেওয়া হলো। মানুষ সামগ্রিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চলেছে।সরকারের বৃদ্ধি যদি ব্যাহত হয় তাহলে আধার সমস্যা তার অন্যতম কারন। সরকারের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা উচিত।
এন আর সি
এরই মধ্যে এন আর সি আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা। তারা নিজেদের ডকুমেন্ট ঠিক করে নিতে চায়। সেই চাওয়াটা কি তাদের অন্যায় ? রাষ্ট্রের কি উচিত নয় তাদের সেই সুযোগ টুকু করে দেওয়া ?
আধার তথ্যের কোনো ভুল সংশোধনের সুযোগ না দিয়েই এন পি আর চালু কৰা হচ্ছে। যেখানে
ডেমোগ্রাফিক অর্থাৎ সাধারণ তথ্যের সঙ্গে সঙ্গে বায়োমেট্রিক তথ্যও নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। এও জানা যাচ্ছে যে সেনসাস দফতর আধার দফতরের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে যাতে যার কাছে আধার আছে তার সেই তথ্য যাতে অটোমেটিক এন পি আর এ আপডেট হয়ে যায়। চিন্তার বিষয় বটে। অনেকের আধার- এ এখন ও বহু ভুল ত্রুটি রয়ে গেল , তাদের সেই ভুল গুলোই তো তাহলে এন পি আর এ উঠে যাবে। মানে আবার একপ্রস্থ ভুল। লক্ষ লক্ষ ভুল । কোটি কোটি ভুল । মানুষগুলোর কি হবে ? এবার তথ্য সুরক্ষার কি হবে ? এতে দুর্নীতি হবে না তো ? গ্যারান্টী ? তারপর ?
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.