Image credit Google
আমাদের প্রভাবিত জীবনযাত্রা
যা হয়েছে তা হয়েছে তা যাক। আজ নির্ভয়া তো কাল সি এ এ। কাল ভারত পাকিস্তান তো পরশু স্বরস্বতী পুজো। তারপর ? আবার একটা নির্ভয়ার মতন কিছু , সক্কালের টিভিতে দেখে অফিসে গিয়ে কাজে কর্মে ব্যস্ততা , বাড়ি ফিরে ঘ্যানঘ্যানে সিরিয়াল। টিভিতে বিতর্ক সভা। আশ্চর্য ! যুদ্ধ থেকে শুরু করে অর্থনীতি , সিনেমা থেকে রাজনীতি সবেতেই একই লোকগুলো প্যানেলে বসে পড়েন।একই লোক সবেতেই মতামত দেবেন।আর আমরা হা করে তাকিয়ে শুনবো।কোন রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রী কাকে কতটা অশালীন ভাষায় গালমন্দ করেছেন সেগুলো নিয়ে নিজেরা নিজেদের চুল ছেঁড়াছিঁড়ি করবো। ঠেকের আড্ডা গড়াবে তিক্ততায়। কখনো বুলেটে বা ছুরির কোপে।দেখুন এই চার পাঁচটা লাইন পড়তে পড়তেই শুরুর নির্ভয়াটা ভুলে গিয়েছেন।এসবের ফাঁকে নিজের কর্মজীবন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না কি ? নষ্ট সময় - নষ্ট জীবন কোথায় চলেছি আমরা। সকল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন কিছুতে প্রভাবিত হয়ে তাতে তাল মেলানো। একটায় তাল মেলাতে গিয়ে আর একটায় ফেঁসে যাওয়া। খারাপ কিছু সমর্থন করছি জেনেও জেতার জন্য তর্ক করে যাওয়া। কি লাভ ? বাড়ির শিশুটাও তো এটাই দেখে বড় হচ্ছে। ওর তো ভালোকিছু শেখা চাই ।
অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া - খুঁটি ধরে হইচই
টিভিতে বা কাগজে তো হাজার হাজার খবর থাকে। গুরুত্তপূর্ন খবর নিয়ে দু চারদিন হইচই হয় তারপর আবার নতুন খবর। পিছনেরটা কি হলো কে মনে রাখে ? আর এখন বড়ো খবর মানে কে কত চুরি করেছে , বা কে কাকে কত নির্মম ভাবে ধর্ষণ করেছে , বা অমুক দলের তমুক নেতা বা তার শাগরেদ আরেক দলের আরেক শাগরেদকে গুলি করেছে - একদল অভিযোগ করেছে এবং আর একদল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আলু পেঁয়াজের দাম বাড়ল। খবর হলো। কিছুদিন ডেঙ্গু হলো খবর হলো। রেলের ওভারব্রিজ বা উড়ালপুল ভেঙেচুরে পড়লো। খবর হলো। দু একজন মরলে সেটা খবর নয়। ও হয়ে থাকে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দেখতে দেখতে হঠাৎ দুর্গাপুজো এসে হাজির। রাতের সময়ই জেনে যাবেন। এখন আবার নিঃশব্দে আরেকজন ঠাকুর আমাদের জীবনে ঢুকে পড়েছেন।তার নাম খুঁটি ঠাকুর। রথে জগন্নাথ দেবের পুজো হোক আর না হোক পুজো কমিটিতে খুঁটি ঠাকুরের পুজো কোটারি হবে। খুঁটি ঠাকুরের মাথায় কমিটির পবিত্র পতাকা ,থুড়ি , ব্যানার তুলতেই হবে। আমরা কত বড় দেখো। তোমরা কত ছোট দ্যাখো। এরনাম উৎসব। এর নাম আধুনিকতা। বাড়ির শিশুটা জেক আমরা দিনকে দিন সুপার রোবট তৈরির চেষ্টা করছি সে এগুলো দেখেই বড় হচ্ছে। আর পৃথিবী উল্কার গতিতে এগিয়ে চলেছে এসবকে পিছনে ফেলে। সেই গতিতে সামিল হয় যায় সহজেই। ঠিক গাড়িটা বেছে নিতে হবে।
স্বাছন্দ্য বনাম আপসোস - উপায়হীন যন্ত্রণা

রোগবালাই কে আমরা আর খুব একটা ভয় পাইনা। মেডিক্লেইম আছে না ? মৃত্যু কে করেছি জয় , মোটা ইস্যুরেন্স আছে না ? পিএফ আছে , গ্র্যাচুইটি পেনশন - সব আছে। আর আছে মোটা , ভীষণ মোটা মাইনে। একজনেদের আছে ,আছে, আছে আর একজনেদের এগুলোর কোনোটাই নেই। অসংগঠিত শ্রমিকের জন্য করা প্রকল্পগুলোর সুবিধা পাওয়ার জন্য কি করতে হয় ? জানেই বা কজন ? বৈষম্যের ফারাকটা কিন্তু ক্রমশ বড় হচ্ছে।কাজেই একটা বৃহৎ অংশের মানুষ দিশাহারা। কি করে বাঁচবে জানেনা। কিন্তু বাঁচার সবচেয়ে সহজ উপায় আপনার হাতের মুঠোয় আছে। একটু সাহস করে বেছে নিতে হবে। আপনার গুনের সাথে মেলে যেরকম- সেরকম।
ভয় নেই - লজ্জা কাটিয়ে শিখুন , জানুন

মত , দ্বিমত বহুমত - এই নিয়েই তো গণতন্ত্র। ভেবে দেখুন যে রাজনৈতিক দলের যে নেতার ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে হয়তো কোনো এক উদ্দাম গন্ডগোলে কিছু প্রাণ ঝড়ে পড়লো , কিছুদিন পর টিভিতে দেখলেন সেই নেতারা এক জায়গায় বসে চা খেতে খেতে "সৌজন্য সাক্ষাত " করছেন। আর টিভিতে তাই দেখে আমরা খুশিতে ডগমগ হলাম।একদিন যখন একজন আর একজনের বিরুদ্ধে চরম উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে রাজনৈতিক ফসল ঘরে তুলেছিলেন তারাই এখন বন্ধু। চাকরি থেকে শুরু করে সন্তানের স্কুল এর এডমিশন সবেতেই একজন নেতা না ধরলে চলে না। আর নেতা বলবেন হবে ,হবে। দাও আগে ,তারপর দেখি কি করি। জনগণ সেই আশায় চললেন মিটিংএ , মিছিলে - সেই মত ভালো লাগুক আর না লাগুক। সেই নেতা জিতলে তার নিজের কিছু পাওনা হবে। ভুলে যাই নেতা এটিএম মেশিন নয়। নিজের সব সমস্যার সমাধান আছে আপনারই হাতে। তা হলো ইন্টারনেট। ওয়েব দুনিয়া। শিক্ষা থেকে উপার্জন।স্বাস্থ্য থেকে দরকারি সরকারি নথি , সব আপনার হাতের মুঠোয় হবে যদি ঠিক ভাবে জানেন।
আর দেরি না হয়ে যায়
মানুষ যত অসুবিধায় থাকবে ততো অসাধু নেতার সুবিধা। বর্তমানে নেতৃত্বের কাঁচামাল জনগনের কষ্ট বা অসুবিধা। ডিজিটাল অনলাইনের জামানায় অনেক কিছু মানুষ বোতাম টিপেই পেয়ে যাচ্ছে। তাই নেতাদের কাছে সামান্য ভোটার এ নামতোলা বা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের মতো জিনিস নিয়ে এখন আর মানুষ যাচ্ছে না। তাই নেতারাও পদ্ধতি বদলাচ্ছে।দালালি চক্র শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু তাকে টিকিয়ে রাখছি আমরাই। প্রযুক্তিকে না শিখে। ভয়ে , লজ্জায়। নিজের কাজ মানুষ যত নিজে করবে তত মানুষ ভালো থাকবে। ঘা খাওয়া মানুষ নিজেও বুঝছে চালাকি গুলো। সময়টা কিন্তু খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে।
সময় ও অর্থের অপচয় আর নয় - ঠিক টা বাছুন , বড় হোন
নিজেকে মানুষ অনেক অনেক ভালো রাখতে পারে যদি একটু চোখ কান খোলা রাখে। ভালোথাকার পদ্ধতি , উপকরণ ও শিক্ষা সবই প্রায় ফ্রি তে আজ পাওয়া যায়। শুধু ইউ টিউব নয় , আরো আছে , হাজার হাজার আছে। জানেন না , জানতে চান না ,তাই। আগে মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেই ভয় পেত , আজ তারাই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছে , এটিএম থেকে টাকা তুলছে। এ গুলো না জেনে থেকে যাওয়ার দিন শেষ হয়ে আসছে। তথ্য যত বেশি জানবেন ততো ভালো থাকবেন তত স্বনির্ভরতার রাস্তা খুঁজে পাবেন। কত ব্যবসায় কত লক্ষ লক্ষ টাকা মানুষ বিনিয়োগ করেন। কিন্তু একটু সাহস করে ডিজিটাল উপায়ে স্বচ্ছন্দে মানুষের অনেক বেশি উপার্জন হতে পারে। এসব নিয়ে চিটিং ও হচ্ছে অনেক। কিন্তু মোটামুটি কিছু জিনিস আছে যেগুলো বিশ্বাসযোগ্য এবং আপনিও একটু চেষ্টা করলে পারবেন। পারেন না আপনি জানতে চেষ্টা করেন না তাই বা কিভাবে জানা যায় তা জানেন না । যে জানে সে নিঃশব্দে এগিয়ে চলেছে। সবার সব কিছুতে দক্ষতা থাকে না. কিন্তু কিছুতে তো থাকে। সেটাকে দিয়েই বহুগুন বেশি কিছু করা যায়।
চোখ রাখুন
সেটার সব তথ্য এখানে জানাব। নিয়মিত আগামী সংখ্যা গুলোতে চোখ রাখুন । ধারাবাহিক ভাবে সব জানতে "মানুষের ভাষা" -কে ফলো করুন। দেখবেন জীবনটাই পাল্টে যাবে।নতুন কিছু জানার ইচ্ছা থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।শেয়ার করে আপনার মতো অনেক মানুষ কে রাস্তা দেখান।
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.