ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের মূল পথের কাঁটা
সন্ত্রাস বাদের আঁতুরঘর পাকিস্তানই বিশ্বের বৃহত্তম প্রজাতন্ত্র ভারতের মূল পথের কাঁটা । একই সময়ে স্বাধীন হয়েও ভ্ৰান্ত নীতি ও সন্ত্রাসে লাগাতার ইন্ধন এই দুইয়ের মিশ্রনে পাকিস্তান আজপর্যন্ত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে উঠতে পারলো না।হবেই বা কি করে ? ভাড়াটে যেখানে নয় নয় করে ১৭ টি লোকসভা নির্বাচন হয়ে অতিক্রান্ত সেখানে পাকিস্তান স্বাধীনতার ৭৪ বছরে ৪০ বছরের বেশি থেকেছে নির্বাচনহীন -স্বৈরতান্ত্রিক বা সামরিক শাসকের অধীনে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ , ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৮ এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ - এই দীর্ঘ সময় পাকিস্তানে কোনো নির্বাচন হয়নি। মাঝে প্রহসনের ভোট যেটুকু হয়েছে তার প্রধানমন্ত্রীর ছিল সেনাবাহিনীর হাতের পুতুল।সেটা কখনও নাওয়াজ শরীফ কখনও বা আজকের ইমরান খান। শিক্ষা , উন্নয়ন সেদেশে গুরুত্বের তালিকায় কোনো কালেই স্থান পায়নি। চড়া মৌলবাদ আর সন্ত্রাসে ভর করে একটি দেশ এতকাল কাটিয়ে এল। শিল্প , কৃষি সহ সামগ্রিক উন্নয়ন যে দেশে গুরুত্বই পায় না সে দেশের নতুন প্রজন্মের হাতে বেকারত্ব ঘোচানোর জন্য তুলে দেওয়া হয় আধুনিক অস্ত্র । জীবিকা কি ? যাও ভারতকে মেরে এসো ।

ভারতীয় গণতন্ত্রের স্বার্থকতা
পাশাপাশি স্বাধীনতার পরমুহূর্ত থেকে ভারত নজর দিয়েছে শিক্ষা , কৃষি , স্বাস্থ্য , শিল্প সহ উন্নয়নের মূল সর্তগুলির উপর। সরকার এসেছে , বিরোধীরা কাজের সমালোচনা করেছে। মানুষ ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করেছে , আবার মানুষ ভোট দিয়েই সরকার বদলে নতুন সরকার এনেছে।দেশ থেমে থাকেনি , উন্নয়ন স্তব্ধ হয়নি। মানুষের ভোটে দেশের সরকার গঠিত হবে -এটাই তো গণতন্ত্র তথা প্রজাতন্ত্রের প্রধান শর্ত। তাই উন্নয়ন হীন , শিক্ষা হীন , শিল্পহীন ,কৃষি হীন পাকিস্তান আজ ঋণের দায়ে জর্জরিত , ভিখারী দেশে পরিণত। সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।আর ভারত প্রথম বিশ্বের দেশগুলির সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে প্রজাতন্ত্রের জয়ধ্বজা উড়িয়ে। এটা সামগ্রিক অর্থে। সাময়িক দেশীয় সরকারী নীতির ভুল ত্রুটি,সমালোচনা , বিরোধিতা , আন্দোলন - এসবই গণতন্ত্রের স্বার্থকতা প্রমান করে।
মহান ভারতীয় প্রজাতন্ত্র বনাম পাকিস্তানি স্বৈরতন্ত্র
ধীরে ধীরে পরিণত প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত ভারতের এগিয়ে চলার পথে একমাত্র পথে কাটা এই পাকিস্তান। নিজের বাড়িতেও যদি একটি ভালো কাজ আপনি কোনো চান আর কেউ বারবার তাতে বাধা দেয় তাহলে শেষ পর্যন্ত কাজটা হলেও অনেক বিলম্বিত হয়ে যায়। মুম্বাই বিস্ফোরণ , মুম্বাই তাজ হামলা , সংসদ ভবন আক্রমণ সহ সারাবছর জুড়ে পুলওয়ামার মত নানা সন্ত্রাসী হানা এসব তো আছেই ,তার সাথে ১৯৬৫ , ১৯৭১ ,১৯৯৯ এর তিনটি যুদ্ধ - এতগুলো বছর ভারতও রক্তাক্ত হলো এই পথের কাঁটায় । তার সাথে যোগ করুন জাল নোট ছড়ানো ,চরবৃত্তি করে দেশে দাঙ্গা বাঁধানো। কি হলো ? দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অনেকটাই পিছিয়ে পড়লো। বিদেশী সামরিক সাহায্যে বলীয়ান হয়ে পাকিস্তান বারবার ভারতের উন্নয়নে বাধা দিল়,আর কখনও বৈদেশিক নীতির আবার কখনও কূটনৈতিক বাধবাধকতায় ভারত সহ্য ই করতে থাকল। না হলে ১৯৬৫ এর যুদ্ধ আর দুদিন স্থায়ী হলে লাহোর আজ ভারতের হত। সিজ ফায়ার ঘোষণায় যা হয়নি।

প্রতিটি যুদ্ধে পরাজিত দেউলিয়া পাকিস্তান যাদের ভরসায় ভারতের বিরুদ্ধে এমনটা করে আজ সেইসব দেশ তাদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। বর্তমান ভারতের বিদেশনীতির ফলে আজ তারা সারা বিশ্বে কোন ঠাসা।
পাকিস্তানী সন্ত্রাসের অবসান প্রাথমিক লক্ষ্য সরকারের
ভারতীয় সরকার , স্বশাসিত নির্বাচন কমিশন , ও বিচার ব্যবস্থার সমন্বয়ে প্রজাতন্ত্র তথা গণতন্ত্র আজ সুদৃঢ় ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। তবু ৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবস বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এবছরই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে কাশ্মীর পুরোপুরি ভারতের অংশে পরিণত হয়েছে।গাত্রদাহে ছটফট করছে পাকিস্তান।তাই এই প্রজাতন্ত্রে একটা লক্ষ্য স্থির করা দরকার। এই পাকিস্তানী সন্ত্রাস কে চিরতরে নির্মূল করা।
কি বলবেন রাষ্ট্রপতি ?
প্রত্যেক বারের ন্যায় এবারও প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতির এই ভাষণেই তার অধীনস্ত সরকারের মূল নীতিগুলি ঘোষিত হয়। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অগ্রগতির মূল বাধা পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ - ইটা আজ প্রমাণিত। বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপে তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট। দেশের উন্নয়ন , বিদেশনীতি , স্বরাষ্ট্র নীতি ইত্যাদির সঙ্গে দেশের প্রধান বিপদ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের আগামী নীতি কি হতে চলেছে তা রাষ্ট্রপতির মুখ থেকে জানার জন্য দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে।
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.