Image credit Google
অক্ষয় ঠাকুর এর কিউরেটিভ পিটিশন এর বিচার হবে বৃহস্পতিবার বেলা ১ টায়
আইনের ছিদ্র খোঁজার শেষ চেষ্টা
তিহার জেল কর্তৃপক্ষের তরফে নির্ভয়া কেসে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামীর বাড়িতে ফাঁসির তারিখ ও সময় জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আসামীদের শেষ ইচ্ছাও জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই যত ফাঁসির দিন এগিয়ে আসছে তত বিভিন্ন আইনি পথ খুঁজে ফাঁসি রোধ করার চেষ্টা তীব্র হচ্ছে আসামিদের তরফে।আইনি উপায়ের একটিও বাদ রাখা হচ্ছে না।
ফাঁসির নিয়ম-কে সাথে নিয়েই বিলম্বিকরণের চেষ্টা
দিল্লীর মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত নিয়মে বলা আছে একই অপরাধে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ড একই সাথে কার্যকর করতে হবে। এই আইনি উপায় কে কাজে লাগিয়ে আসামীরা যেকোনো আবেদন একসাথে করছে না। পালা করে একজন , একজন করে এক একটি আবেদন করছে। সেই আবেদন কখনও কোর্ট -এ আবার কখনও রাষ্ট্রপতির কাছে। কখনও রাষ্ট্রপতিকে চ্যালেঞ্জ করে আবার কোর্ট এ। যদিও এখনও পর্যন্ত সবকটি আবেদন সব জায়গায় খারিজ হয়ে গিয়েছে কিন্তু নতুন আসামির করা নতুন আবেদন থামছে না। বোঝাই যাচ্ছে আসামীদের ইটা এক বিশেষ বিলম্বকরণের কৌশল।

সেই কৌশলের অঙ্গ হিসেবে আসামী অক্ষয় ঠাকুর বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তার নতুন কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করেছে। মামলাটির শুনানি হবে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১ টায়। রাষ্ট্রপতির নিকট করা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর অক্ষয় ঠাকুর হলো তৃতীয় আসামী যে এই কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করলো। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের এক ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটির শুনানি শুনবেন যার নেতৃত্বে থাকবেন বিচারপতি এন ভি রামান্না। বেঞ্চের অন্য চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র , বিচারপতি রোহিন্তন ফালি নরিম্যান , বিচারপতি আর ভানুমতি এবং বিচারপতি এসকে ভূষণ।
অক্ষয় ঠাকুরের আবেদনে কি আছে ?
অপরাধী অক্ষয় ঠাকুরের আইনজীবী এ পি সিং আবেদনে জানিয়েছেন যে , আসামীর মৃত্যুদণ্ড রোধ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া উচিত। কারন ২০১৫ সালের ৫ ই মে যে মৃত্যুদণ্ডর রায় দেওয়া হয়েছিল তা ছিল ত্রুটিপূর্ন। সেখানে অপরাধীর সংশোধনের সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তার সাথে ও বলা হয়েছে যে মৃত্যুদণ্ড সমাজের খুন- জখম- ধর্ষণ সাহা কোনো অপরাধ ই কমাতে পারেনি।

এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই অক্ষয় কুমারের করা সাজা পুনঃবিচারের আবেদন সুপ্রিম কোর্ট গতবছর ডিসেম্বর এ নাকচ করে দিয়েছে। কাজেই এই আবেদনে আসামীর তরফে কতটা লাভ হবে সে ব্যাপারে আইনি মহল সন্দিহান।
মুকেশের সব রাস্তা বন্ধ -
ইতিমধ্যেই আরেক আসামী মুকেশ সিংয়ের রাষ্ট্রপতিকে চ্যালেঞ্জ করে করা পিটিশন বুধবার আদালত বাতিল করে দেওয়ায় মুকেশের সামনে আর সম্ভবত কোনো আইনি রাস্তা খোলা নেই। তার ফাঁসি কার্যত নিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিহার জেলেও ফাঁসির প্রস্তুতি থেমে নেই। বেশ কয়েকবার আসামীদের ওজন অনুযায়ী বালির বস্তা দিয়ে ফাঁসির ট্রায়াল ও হয়ে গিয়েছে। ফাঁসুড়ে পবন জল্হাদ ও তৈরি আছেন।
কিন্তু এভাবে যদি একের পর এক আবেদন প্রক্রিয়া চলতেই থাকে তাহলে ফাঁসি আদৌ ১লা ফেব্রুয়ারী হবে কিনা সেটাই এখন প্রশাসন সহ সারা দেশের মানুষের প্রশ্ন।
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.