Image credit Google
শেষ প্রাণভিক্ষার আবেদনও খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি
নির্ভয়া মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আবেদন আজ মহামান্য রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। তার সাথেই মনে করা হচ্ছে যে কারনে বা যে আইনি বাধায় নির্ভয়া মামলায় দোষীদের আজকের নির্ধারিত ফাঁসি স্থগিত করে দিয়েছিলো দিল্লী পাতিয়ালা হাউস কোর্ট , সেই বাধা এবার কাটলো। আপাতত আর কোনো আইনি উপায় আসামীদের হাতে আর অবশিষ্ট নেই।

ফাঁসির পথে বাধা
গতকাল দিল্লী পাতিয়ালা হাউস কোর্টে নির্ভয়া মামলার নাটকীয় পট পরিবর্তন ঘটে এবং উতপ্ত সওয়াল জবাবের পর মহামান্য বিচারপতি আজ ( ১লা ফেব্রুয়ারী ২০২০) সকাল ৬ টায় যে চারজনের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল তার উপর স্থগিতাদেশ দেন। আসামীদের আইনজীবী অপরাধীদের কাছে আরও আইনি রাস্তা খোলা আছে এই যুক্তি দেন এবং রাষ্ট্রপতির কাছে তখনও আসামী বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আবেদনের নিষ্পত্তি হয় নি। তিহার জেল কর্তৃপক্ষ স্টেটাস রিপোর্টে তেমনই জানিয়েছিলেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ বাকি তিনজনের ফাঁসি দেওয়ার অনুমতি চাইলে আসামী পক্ষের আইনজীবী এ পি সিং তার বিরোধিতা করে দিল্লীর ফাঁসি প্রদান আইনের উল্লেখ করেন যেখানে বলা আছে একই অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ফাঁসি একই সাথে কার্যকর করতে হবে। তাই সব শেষে কাল বিকালে কোর্টের নির্দেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ফাঁসি স্থগিত হয়ে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া ক্ষোভে সরগরম
গতকাল সন্ধ্যায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সারা দেশব্যাপী মানুষের ক্ষোভ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আছড়ে পরে। অনেকেই আসামীদের তথা তাদের আইনজীবী এ পি সিংয়ের আইন নিয়ে ছেলেখেলা করার এই পদ্ধতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। তেমনি অনেকে বিচার ব্যবস্থার এই দীর্ঘসূত্রীতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আসামীরা এতো মামলা লড়ার ক্ষমতা ও অর্থ কথা থেকে পাচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তেমনই নির্ভয়ার মা আশাদেবী মিডিয়ায় এই ঘটনার পিছনে ভোট রাজনীতির হাত থাকার প্রতি ইঙ্গিত করেন। মানুষের ক্ষোভের সেই বিস্ফোরণ আজও অব্যাহত। সকলেই চান যে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য সুপ্রীম কোর্ট হস্তক্ষেপ করুন। এবং এবার একটি নির্দিষ্ট দিন বেঁধে দিয়ে অপরাধীদের ফাঁসির শাস্তি নিশ্চিত করুন।
গতকাল ভরা কোর্ট রুমের মধ্যেই অপরাধীদের আইনজীবী এ পি সিং যে ভঙ্গিতে হুমকির সুরে নির্ভয়ার মা শ্রীমতী আশাদেবীকে বলেন যে ফাঁসি আর কোনোদিন-ই
হবে না , এবং তার কিছুক্ষন পরেই ফাঁসি তে স্থাগিতাদেশ পড়ায় মানুষের সন্দেহ , ক্ষোভ ও প্রতিবাদ চরমে পৌঁছায়।
ফাঁসির নতুন তারিখ ১৫ ই ফেব্রুয়ারী না তার পর ?
এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে শেষ প্রাণভিক্ষার আবেদনটিও রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দেওয়ায় অপরাধীদের ফাঁসিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলেই আইনজীবী মহলের ধারণা।
আজ ১ লা ফেব্রুয়ারী যেহেতু প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হলো তাই আজকেই দিল্লির পাতিয়ালা কোর্টের স্থগিতাদেশ উঠলেও সবচেয়ে কাছের যে তারিখে ফাঁসি কার্যকর হতে পারে তা হলো ১৫ ই ফেব্রুয়ারী। কারণ যে কোনো প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হলে ফাঁসির আসামীকে ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়। তার আগে ফাঁসি দেওয়া যায় না। তাই সারা দেশ প্রতীক্ষায় রয়েছে কখন পাতিয়ালা হাউস কোর্ট ফাঁসির স্থগিতাদেশ তুলে নতুন মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন বা তা না হলে সুপ্রীম কোর্ট
এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা। সঙ্গে মানুষের কৌতূহল এটাও দেখার যে অপরাধীদের আইনজীবী এ পি সিং আবার নতুন কোনো আইনি চাল বা কৌশল নিয়ে অবতীর্ন হন কিনা
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.