Image credit Google
দোষীদের সুপ্রীম কোর্ট এর নোটিস
সুপ্রীম কোর্ট আজ নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষী চারজনের প্রতি নোটিশ জারি করেছে।এর পূর্বে কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লী সরকারের দোষীদের পৃথক ফাঁসি কার্যকর করার আবেদন দিল্লী হাই কোর্ট খারিজ করে দেয় ও ফাঁসির উপরে দিল্লী পাতিয়ালা কোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। তখন দিল্লী ও কেন্দ্র - উভয় সরকার সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ও ফাঁসির স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে নোটিস জারী করার আবেদন জানায়। কিন্তু দিল্লী হাই কোর্ট দোষীদের একসপ্তাহ সময় দিয়ে বলেছিলো তার মধ্যে তাদের সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে। সেই কারণে সুপ্রীম কোর্ট সরকারের আবেদনের শুনানি সে দিন না করে আজ ১১ তারিখ ধার্য করে। আজ দোষীদের সেই এক সপ্তাহের মেয়াদ সম্পূর্ণ হচ্ছে।
নতুন মৃত্যু পরোয়ানা
সুপ্রীম কোর্টের তিন বিচারপতি - আর ভানুমতি , অশোক ভূষণ ও এ এস বোপান্না কে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ জানান যে , এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ তারিখ হবে।

কিন্তু সেই সাথে আদালত তিহার জেল প্রশাসনকে বলেন যে এবার তারা দিল্লী নিম্ন আদালত বা ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে নতুন মৃত্যু পরোয়ানার জন্য আবেদন করতে পারবে। সর্বোচ্চ আদালতের জানান , এই অসমাপ্ত মামলা সেই আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা হবেনা।
সর্বোচ্চ সময়সীমা শেষ
উভয় সরকারের পক্ষে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানান যে , চার জন আসামীর মধ্যে তিনজনের সব আইনি বিকল্প শেষ হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু আসামী পবন গুপ্তা এখনও তার হাতে থাকা দুটি বিকল্প , কিউরেটিভ পিটিশন ও প্রাণভিক্ষার আবেদন কোনোটাই দায়ের করেনি। এবং দিল্লী হাই কোর্টের দেওয়া সর্বোচ্চ সময়সীমা আজই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সরকারের সওয়াল - হায়দ্রাবাদ এনকাউন্টারের উদাহরণ
তিনি জানান যে আসামীরা যে ভাবে বিচার প্রক্রিয়া তথা ফাঁসির শাস্তিকে বিলম্বিত করছে তা সমাজের উপর গভীর প্রভাব তৈরী করছে এবং , এক্ষেত্রে তিনি হায়দ্রাবাদে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার উদাহরণ দেন।

তিনি বলেন হায়দ্রাবাদে পশু চিকিৎসক মহিলার গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তরা পুলিশের সাথে এনকাউন্টারে নিহত হয়। সারা দেশের মানুষ তাতে আনন্দ প্রকাশ করে। এই ঘটনা দেখিয়ে দে যে আইন ব্যবস্থার উপর মানুষের বিশ্বাস কমছে যা আমাদের পুরো ব্যবস্থার জন্য খুবই খারাপ ইঙ্গিত বহন করে।

সরকারের উত্তর ,উল্লাস নয় কর্তব্য আর তাতে বাধা
তিনি আরও সওয়াল করেন যে ফাঁসি কার্যকর করে সরকার উল্লাস ("enjoyment " ) নয় ,সরকার তার আইনি দ্বায়িত্ব-কর্তব্য পালন করতে চাইছে মাত্র।আদালত ইতিপূর্বে তার কাছে জানতে চেয়েছিলো যে ২০১৭ সালের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করতে সরকারের এতদিন দেরি হলো কেন ? আজ সেই প্রসঙ্গ টেনে জানান যে আদালত দেখুন যে শুধু তখন নয় আজও ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে সরকারকে কি পরিমান বাধার ("struggling to execute them even now") সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.