Image credit Google
দুবার চূড়ান্ত সময়সীমা পার - তাও আবার কেন আবেদন করতে দেওয়া হচ্ছে ?
- এখনও আবেদন ? আরও আবেদন ? প্রশ্ন উঠছে কেন ? প্রশ্ন উঠছে তার কারন আইন দিয়ে কি আইনকেই এবার ভাঙা হচ্ছে না ? ভারতের বিচার ব্যবস্থায় সকল ভারতবাসীর আস্থা আছে। কিন্তু প্রশ্ন করার অধিকারও ভারতবাসীর আছে। এটাই এদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মহত্ব। কিন্তু নির্ভয়া মামলার টাইম লাইন দেখলে দেখা যাবে একাধিকবার প্রশাসন এবং আদালতের তরফে আসামীদের তাদের বিভিন্ন আবেদন জানানোর জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ দিল্লী পাতিয়ালা হাউস কোর্টে যখন প্রথমবার মৃত্যু পরোয়ানা বা ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট জারী হয় তখনও বিচারপতি ও জেল প্রশাসনের তরফে আসামিরা ১৪ দিন সময় পেয়েছিল সবরকম আইনি আবেদনগুলি সম্পূর্ণ করার। তারা তা করলো কৌশলে। যে আবেদন গুলি করা হলো সেগুলো সবই খারিজ হয়েছিলো।খেয়াল করুন তখন অর্থাৎ ২২ সি ডিসেম্বর ২০১৯ -প্রথম ফাঁসির দিনের সময়সীমার মধ্যে যারা কোনো আবেদন ফাইল করল না তারা আবার কেন সেই চূড়ান্ত সময়সীমা পার হওয়ার পরও সুযোগ পেলো ?
- এরপর প্রথমবার ফাঁসি স্থগিত হওয়ার পর যখন সব আবেদন বিভিন্ন কোর্ট শুনলেন ও সব আবেদন পুনর্বার খারিজ হলো তখন নতুন মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলো দিল্লী পাতিয়ালা হাউস কোর্ট এবং ফাঁসির নতুন দিন ঠিক হলো ১ লা ফেব্রুয়ারী ২০২০ ,সেই সাথে তারা ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট ইস্যুর সময় থেকে ৩১ শে জানুয়ারী পর্যন্ত আসামীরা আবার ১৪ দিনের সময় পেলো। এবারও তারা কিছু আবেদন করলো , রাষ্ট্রপতি , সুপ্রীম কোর্ট সব জায়গায় সেগুলো খারিজ হলো , কিন্তু যেহেতু আসামী বিনয় শর্মার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা ছিল সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তাই ১ লা ফেব্রুয়ারীর ফাঁসির উপর স্থাগিতাদেশ দিল দিল্লি পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। এই্ পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল । কিন্তু এবার প্রশ্ন হলো , গতকাল রাষ্ট্রপতি বিন্যায়শার্মার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করার পর আর কেউ কেন আবারও নতুন আবেদন করার সুযোগ পাবে - যেখানে আবেদনের সব সময় সীমা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো ?

আবার অক্ষয় ও পবনের আবেদন ?
সূত্র মারফত ও বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে , আসামী অক্ষয় সিং প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছে , এবং পাবেন গুপ্ত আবার কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন ও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাবে।
এ পি সিংয়ের নতুন কৌশল। এই প্রহসনের শেষ কোথায় ?
দেশের মানুষ হতবাক হয়ে যাচ্ছে যে দু-দুবার চূড়ান্ত সময়সীমা পার হওয়ার পরও আবার আবেদনের সুযোগ তাদের কেন দেওয়া হচ্ছে ? মনে করে দেখুন এই পাবেন গুপ্তার আবেদন একাধিকবার সুপ্রীম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। কিউরেটিভ পিশন সহ অন্যান্য আবেদন তাহলে চূড়ান্ত সময় সীমার মধ্যে করা যেত।

"মানুষের ভাষা "তেই গতকাল বিনয় শর্মার আবেদন খারিজ হওয়ার পর লেখা হয়েছিল , যে ফাঁসির পথে আর বাধা থাকলো না। কিন্তু সেই সাথে এই সন্দেহের কথাও লেখা হয়েছিল যে নতুন কোনো কৌশল নিয়ে অপরাধীদের আইনজীবী এ পি সিং অবতীর্ন হতে পারেন। সন্দেহটাই বাস্তব হলো।
কিন্তু মানুষের প্রশ্ন এই প্রহসনের শেষ কোথায় ? সঙ্গে মানুষের প্রার্থনা , আইন ব্যবস্থার প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা অটুট রাখতে সুপ্রিমকোর্ট এবার পুরো বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুক ও অপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করুক।
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.