Image credit Google
কেন্দ্র ও দিল্লী সরকার কোমর বেঁধে নামল একসাথে
এবার কেন্দ্র সরকার ও দিল্লী রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানাল নির্ভয়া মামলায় দিল্লী হাইকোর্ট ও পাতিয়ালা ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের রায় তথা স্থাগিতাদেশের বিরুদ্ধে। ইতিপূর্বেই নির্ভয়া মামলায় আসামীদের ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে আইনি মারপ্যাঁচে দু দুবার ফাঁসির দিন ও মৃত্যু পরোয়ানা বাতিল হয়েছে। প্রথমবার ২২ শে ডিসেম্বর ২০১৯ এবং দ্বিতীয়বার এই মাসেরই ১লা ফেব্রুয়ারী।
আইনের ছিদ্র পথ
আসামীদের বিলম্বীকরণের কৌশলে দুবারই প্রশাসন কিস্তি মাত হয়েছে। কিন্তু খেলা শেষ হয় নি। দ্বিতীয়বার ১লা ফেব্রুয়ারী ফাঁসি স্থগিত হয়েছিল প্রথমবারের মতোন একই কারণে - দিল্লীর ফাঁসির আইন অনুযায়ী একই অপরাধে দোষী অপরাধীদের একই সাথে ফাঁসি দিতে হবে -এই আইনের ছিদ্র দিয়ে। এবং কিছু আসামীর তখনও প্রাণভিক্ষার
আবেদন সহ আরও আইনি আবেদন করা বাকি ছিল। এই কারণে ফাঁসির ঠিক একদিন পূর্বে দিল্লী পাতিয়ালা কোর্ট তারই দেওয়া মৃত্যু পরোয়ানা ও ফাঁসির উপর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন।
Image credit Google
দিল্লী হাইকোর্ট এর রায়
জল গড়ায় দিল্লী হাই কোর্টে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লী ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের স্থগিতাদেশকে
চ্যালেঞ্জ করে ও আসামীদের আলাদা আলাদা দিনে ফাঁসি দেওয়ার অনুমতি চায়। কিন্তু গতকাল দিল্লী হাইকোর্ট কেন্দ্রের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ও স্থগিতাদেশ বহাল থাকে।
সেই সাথে হাইকোর্ট আসামীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলে তাদের যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে। সঙ্গে কোর্ট প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করে বলে যে ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ সুপ্রীম কোর্ট দেওয়া সত্ত্বেও এতদিন প্রশাসন ঘুমিয়ে ছিল।
দিল্লী হাইকোর্ট ও পাতিয়ালা কোর্টের স্থগিতাদেশ কে চ্যালেঞ্জ-
সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
শুক্রবার
এখন গতকালই কেন্দ্রসরকার
ও দিল্লী রাজ্যসরকার যৌথ ভাবে দিল্লী হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দাখিল করে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে।
আসামীদের পক্ষে আইনি অস্ত্র আর বেশি অবশিষ্ট নেই বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তাদের দুটি আবেদন অবশিষ্ঠ ছিল বলে দিল্লী পাতিয়ালা কোর্ট ও দিল্লী হাইকোর্ট ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু গতকালই সেই দুটি বিকল্পের একটি অর্থাৎ আসামী অক্ষয় সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ও শেষ বিকল্প -আসামী পবন গুপ্তা এখনও প্রাণভিক্ষার আবেদন বা সুপ্রিমকোর্টে করুনার আবেদন দাখিল করেনি।
এপি সিংয়ের রাষ্ট্রপতির প্রতি চরম অসৌজন্য
এখানে উল্লেখ্য যে আজই আসামীদের আইনজীবি এ পি সিং মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে নজিরবিহীন ভাষায় নিন্দা করেন অক্ষয় সিং এর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেওয়ায়। তিনি বলেন যে রাষ্ট্রপতি আইনের গর্ভপাত করেছেন। এবং তিনি আগামী কাল আবার অক্ষয় সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাবেন।
ইতিপূর্বে আরও একবার এই এ পি সিং রাষ্ট্রপতির বোধ বুদ্ধি ও বিবেচনা কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান যখন রাষ্ট্রপতি অপর এক আসামী মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষা খারিজ করে দেন। সুপ্রীম কোর্ট অবশ্য তার আবেদন খারিজ করে দেন।
ভারতের অন্যতম নৃশংস গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামীপক্ষের এই আইনজীবির ধূর্ত কৌশল , নিকৃষ্টতম অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য ঘৃণ্য চেষ্টা ও সর্বোপরি সারা দেশের প্রধান মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতি তার চরম অসৌজন্য ও ঔদ্ধত্ত দেখে সারা দেশ বিস্মিত , হতবাক ও ক্ষুব্ধ।
সারা দেশের চোখ থাকবে এখন শুক্রবার সুপ্রীম কোর্ট কি রায় দেন তার উপর।
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.