image credit Google
রাজ্য সভায় তর্ক বিতর্ক
গতকাল রাজ্যসভা উত্তাল হয় নির্ভয়া মামলা নিয়ে। সারা দেশ দাবি জানাচ্ছে অপরাধীদের ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করার বিষয়ে। বিষয়টি গতকাল রাজ্যসভায় উত্থাপন করেন আপ ( (এ এ পি ) দলের এর সাংসদ শ্রী সঞ্জয় সিং। তিনি ফাঁসি কার্যকরে দেরির বিষয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চান।
উত্তরে জবাব দিতে উঠে সরকার পক্ষের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন যে নির্ভয়া মামলায় অপরাধীদের ফাঁসি বিলম্ব হওয়ার জন্য দায়ী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিল্লী রাজ্য সরকার। তিনি বলেন সুপ্রীম কোর্ট অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলো ২০১৭ সালে। কিন্তু দিল্লী তিহার জেল প্রশাসন প্রায় এক বছরের বেশি সময় নিয়েছে অপরাধীদের সেই নোটিস দিতে।
আসামীদের কৌশল
ফাঁসি বিলম্বিকররনের জন্য অপরাধীদের তরফে তাদের আইনজীবি অ্যাডভোকেট এ পি সিং প্রথম থেকেই নানা আইনি পন্থা গ্রহণ করছেন সেটা ইতিমধ্যেই সারা দেশের মানুষ জানেন। আবেদন,
নিবেদন , প্রাণভিক্ষা , করুণা ভিক্ষার আবেদন ইত্যাদি অজুহাতে ইতিমধ্যেই দু-দুবার ফাঁসির মৃত্যু পরোয়ানা বাতিল হয়েছে। একবার ২২ শে ডিসেম্বর ২০১৯ ও তারপর এবছর ১লা ফেব্রুয়ারী। এর পূর্বে দিল্লী পাতিয়ালা ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট গত ৩১ শে জানুয়ারী ফাঁসির
ঠিক একদিন পূর্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার উপর অনির্দিষ্ট কালের স্থগিতাদেশ দেয়।
সারা দেশ ক্ষোভে উত্তাল হয়। সমস্ত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এ সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।
কেন্ত্রীয় সরকারের উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লী ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট এর স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লী হাই কোর্ট এ আপিল করে। গত রবিবার হাইকোর্ট এর বিশেষ শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে জেনারেল তুষার মেহেতা কোর্টে জানান যে অপরাধীরা আইন নিয়ে ছেলেখেলা করছে। কোর্ট তার কাছে জানতে চায় যে চার যান অপরাধীর ফাঁসি আলাদা দিনে দেওয়া যাবে কিনা। তার উত্তরে শ্রী মেহতা জানান যে যদি আইনত তা সম্ভব। কারণ একই অপরাধে প্রাণভিক্ষা চাওয়া এক এক যান অপরাধীর ক্ষেত্রে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত পৃথক হতেই পারে। তাই কোনো এক জনের জন্য যার আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে তাকে ফাঁসি দিতে কোনো বাধা নেই। না হলে একসাথে ফাঁসি দিতে হবে এই অজুহাত বা নিয়ম যদি মানতে হয় এবং একজন অপরাধীও যদি প্রাণভিক্ষায় চার পান তাহলে কারোর ফাঁসিই কোনো দিন আর দেওয়া যাবে না।
ভরা আদালত কক্ষে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ পি সিং নির্ভয়ার মাকে হুমকির শুরে বলেন যে কোনো আসামিরই আর কোনোদিন ফাঁসি হবে না।
সলিসিটর জেনারেল কোর্টে জানান ফাঁসির এই বিলম্বে দেশের মানুষের মনে বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে আস্থাহীনতার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
সব শুনে দিল্লি হাই কোর্ট সেদিনের মতো রায় দেন স্থগিত রাখে।
আজ রায়
তখন নির্ভয়ার মা শ্রীমতি আশাদেবী কোর্ট এর কাছে দ্রুত রায়দানের প্রার্থনা করেন। মহামান্য
বিচারক তাকে আশ্বস্ত করেন দ্রুত রায় দানের।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে আজ দিল্লী হাইকোর্ট এই মহাগুরুত্বপূর্ণ রায়দান করবেন। সারা দেশের নজর এখন সে দিকেই।
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.