Image credit Google
এ পি সিংয়ের আইন নিয়ে পুতুল খেলা
"আইন থাকলে আইনের ফাঁক ও থাকে "- এই প্রবাদ বাক্যকে অ্যাডভোকেট এ পি সিং বাস্তবে প্রমাণ করে ছাড়ছেন। তিনি কুখ্যাত নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মালালায় অপরাধীদের পক্ষের আইনজীবি। দোষী চার আসামীদের একের পর আবেদন ও আইনি প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই দু দুবার তাদের ফাঁসির দিন তথা মৃত্যু পরোয়ানা বাতিল হয়েছে। তাদের বিলম্বিকরণের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা যখনই মনে হচ্ছে এবার বোধহয় শেষ ঠিক সেইসময়েই এই আইনজীবি নতুন কৌশল নিয়ে হাজির হচ্ছেন ও একবার পাতিয়ালা ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট , একবার হাই কোর্ট কখনও সুপ্রীম কোর্ট সহ সমগ্র প্রশাসনকে আইনি পদ্ধতির সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচে ঘোল খাইয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতির বোধবুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন
তিনি এমনকি মহামান্য রাষ্ট্রপতির বোধবুদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন তুলে এর পূর্বে সুপ্রীম কোর্টে আসামী মুকেশ সিংয়ের হয়ে লড়াই করেছেন। মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দেওয়ার পরে পরেই তিনি সুপ্রিমে কোর্টে বলেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি কিছু না ভেবেই নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপে আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও আদালত তার সেই আবেদনে গুরুত্ব দেননি ও সেটি খারিজ করে দেন কিন্তু আসামী পক্ষ সওয়াল জবাব চলাকালীন আরও একটি দিন বিলম্ব করার সুযোগ পেয়ে যায়। এভাবেই সাধারণের চিন্তার বাইরে বা সৌজন্যের চিন্তা না করেই তিনি নানা আইনি পথ খুঁজে বার করছেন।সাধারণ চোখে তা যতই বিরক্তিকর বা আশ্চর্যের হোক না কেন।
এবার চরম অসৌজন্য - বললেন ,রাষ্ট্রপতি বিচারের গর্ভপাত করেছেন
এবার তার আবার নতুন কৌশল।সবে গতকালই রাষ্ট্রপতি অপরাধী অক্ষয় সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। কিন্তু আজ সংবাদ মাধ্যমে এ পি সিং জানান যে আইন বা বিচারের এর গর্ভপাত
(miscarriage-of-justice) করা হচ্ছে।সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তিনি জানান যে ,সংবাদ মাধ্যম সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন যে অক্ষয় সিং এর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন , এটা বিচারের গর্ভপাত , কারণ তিনি জানতেন যে সেই আবেদনটি অসম্পূর্ন ছিল। ৩১ সে জানুয়ারী ২০২০ অক্ষয়ের পরিবারের থেকে সেই আবেদনটি করা হয়েছিল।
সারা দেশ বিস্মিত
এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে- এরপরেই
তিনি এক সাংঘাতিক মন্তব্য করেন , সরাসরি তিনি দেশের রাষ্ট্রপতির দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন যে , তিনি রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করেন কিন্তু এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি বিচারের গর্ভপাত করেছেন। যার বাংলা মর্মার্থ করলে দাঁড়ায় রাষ্ট্রপতি ভালো করে না দেখেই বিচারের আগেই তা শেষ করে দিয়েছেন।
Image credit Google
একজন আইনজীবির এভাবে দেশের প্রধান মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে কদর্য ভাষায় অভিযুক্ত করা সম্ভবত দেশের ইতিহাসে খুবই বিরল।এক কোথায় অভূতপূর্ব। এই ঘটনায় সারাদেশ , সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ইতিমধ্যেই তোলপাড় হচ্ছে। সবাই বিস্মিত , হতচকিত।
কিন্তু এ পি সিংয়ের তাতে কিছু যায় আসে না। তিনি সরাসরি উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন , যে তিনি আগামী কাল-ই ভালো করে একটি পূর্ন প্রাণভিক্ষার আবেদন লিখে অন্যান্য কাগজ পত্র সহ অক্ষয়ের পরিবারকে দিচ্ছেন যাতে আগামী কালই তারা আবার আবেদন জানাতে পারে। অক্ষয়ের পরিবারের লোকজন অশিক্ষিত বলে আগের আবেদনটি অসম্পূর্ন ছিল।
তিনি আরো বলেন , তিনি গত ১লা ফেব্রুয়ারীতেই রাষ্ট্রপতি দফতরে জানিয়েছিলেন যে , অক্ষয়ের আবেদনটি অসম্পূর্ন ছিল , কারণ তাতে অক্ষয়ের এভিডেভিট , জেল থেকে এটেস্ট করা অক্ষয়ের স্বাক্ষর , তার চরিত্র , ক্রিমিনাল রেকর্ড এসব কিছুই দেওয়া ছিল না। সেইসাথে তিনি রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন যেন প্রথম আবেদনের কথা তিনি মনে না রাখেন ও দ্বিতীয় আবেদনটি গ্রোগান করেন।
Image credit Google
তার এই কৌশল , রাষ্ট্রপতির প্রতি বারবার অসৌজন্য , ও নিকৃষ্টতম অপরাধীদের হয়ে আইনকে খেলনার স্তরে নামিয়ে আনা দেখে সারা দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ স্থম্ভিত।
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.