Image credit Google
পর্বতের মূষিক প্রসব ?
একেই বোধহয় বলে পর্বতের মূষিক প্রসব। সারাদেশ আগ্রহ নিয়ে বসেছিল আজ একাধারে দিল্লী পাতিয়ালা কোর্ট আর অন্যদিকে সুপ্রীম কোর্ট আজ নির্ভয়া মামলায় কি রায় দেন তা দেখার জন্য। কিন্তু মানুষের মনকে হতাশ করে কোনো আদালতেই এখনো পর্যন্ত দোষীদের ফাঁসির বিষয়ে কোনো সুরাহা হলো না।

মানুষের মনকে হতাশ করলেও আইনি দৃষ্টিতে এরকমই বোধহয় হওয়ার ছিল।
দোষীদের বাঁচার সুযোগ না দিয়ে ফাঁসি দেওয়া পাপ !
তিহার জেল কর্তৃপক্ষ দিল্লী পাতিয়ালা কোর্টের কাছে ফাঁসির নতুন মৃত্যু পরোয়ানা চেয়ে যে আবেদন জানিয়েছিল কোর্ট আজ তা খারিজ করে দেয়। এবং ফাঁসির উপর পূর্ববর্তী স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। কোর্ট তার রায়ে যা বলে তার মর্মার্থ হলো , আইনি সুযোগ বা বিকল্প থাকা সত্বেও তা ব্যবহারের সুযোগ না দিয়ে কাউকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া আইনত পাপ। আইনি রাস্তা তাদের আছে।তাই আইনের জোরেই তারা এখনও বেঁচে আছে।
Image credit Google
মহামান্য বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা জানান যে হাই কোর্ট তাদের ৭ দিনের চূড়ান্ত সময় দিয়েছে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য। তাই তাদের সেই সুযোগ দেওয়া উচিত। তার পূর্বে কোনও নতুন ফাঁসির আদেশ দিতে কোর্ট আজ অস্বীকার করে।
আইনের সুযোগ নেওয়া অপরাধীর অধিকার !
বিচারক আসামীপক্ষের আইনজীবীর সাথে সহমত পোষণ করে জানান যে দোষীরা বিলম্ব করছে বা আইনের সুযোগ নিচ্ছে বলে তাদের দ্রুত ফাঁসি দিয়ে দিতে হবে সেটা কোনো অজুহাত হতে পারেনা।

আগামী ১২ তারিখ দিল্লী হাইকোর্টের আসামীদের দেওয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে। দিল্লীকোর্ট জেল প্রশাসনকে জানায় সমস্ত আইনি রাস্তা যখন অপরাধীদের শেষ হয়ে যাবে তখন আবার আবেদন করতে।
সমগ্র দেশের প্রশ্ন হলো , দোষটা তাহলে কার ?
দোষীদের ফাঁসি , অপরাধীর শাস্তি দ্রুত চাইলেই তা হওয়ার নয়। কারণ আইনিই দোষীদের আইনি পথে লড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। দ্রুত শাস্তি প্রদানের জন্য , যেকোনো এই ধরণের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজন আইন ব্যবস্থার পরিবর্তন বা সংশোধন। দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থার হাতে সেই ক্ষমতা দেওয়া আছে। আর আইনের সংশোধন হয় , বা নতুন আইন তৈরী হয় দেশের রাজ্য বিধানসভায় , লোকসভায় ও রাজ্যসভায়। বিধায়ক ও সাংসদ রাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তা করতে পারেন। আর বিধায়ক ও সাংসদদের নির্বাচিত করে দেশের মানুষ।
No comments:
Post a Comment
Thank You .Please do not enter any spam link in the comment box.