Operation Sindoor -এর ভয়ে কাঁটা বাংলাদেশের এবার সত্যিই রাতের ঘুম উড়ছে ।
খালিগায়ে লুঙ্গি পরে ভোররাতে দেশত্যাগ বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির
মানুষের ভাষা , বিশেষ প্রতিবেদন :
অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তানের ধ্বংসযজ্ঞ: বাংলাদেশে আতঙ্ক, লুঙ্গি পরে পালালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি
ভারত কর্তৃক অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করার পরে, বাংলাদেশে গভীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ লুঙ্গি পরে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এই ঘটনায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগগুলো আরও জোরালো হয়েছে।
আব্দুল হামিদ, যিনি একসময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, গত সপ্তাহে গভীর রাতে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। অভিযোগ উঠেছে, শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর তিনি দ্রুত দেশ ছাড়েন। এই ঘটনা তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
#BreakingNews | लुंगी पहनकर बांग्लादेश के पूर्व राष्ट्रपति अब्दुल हामिद फरार, यूनुस सरकार ने दिया जांच का आदेश. ढाका से इंडोनेशिया भागे हामिद #AbdulHamid #Bangladesh #BangladeshCrisis @pratyushkkhare pic.twitter.com/Z2aGMFQ38p
— Zee News (@ZeeNews) May 14, 2025
হামিদের পলায়নের ঘটনা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কিভাবে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে, দেশ ছাড়ার অনুমতি পেলেন? এই ঘটনায় দেশটির রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ঘটনাকে ফ্যাসিবাদের প্রতিচ্ছবি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কিভাবে সরকারের ক্ষমতাশালী উপদেষ্টাদের নজর এড়িয়ে হামিদ পালিয়ে গেলেন?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এই ঘটনা প্রমাণ করে, দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি কতটা জটিল এবং বিপজ্জনক। একদিকে যেমন ভারতের সামরিক শক্তি পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছে, তেমনই অন্যদিকে বাংলাদেশ তার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ নিয়ে ধুঁকছে।
অনেকের মতে, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান একই মুদ্রার দুটি দিক। ১৯৭১ সালে ভারতের সহায়তায় স্বাধীনতা লাভ করা সত্ত্বেও, দেশটি এখন ভারতের বিরুদ্ধাচরণ করছে এবং সন্ত্রাসবাদকে মদদ দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, ভারতের উচিত বাংলাদেশের উপর আরও বেশি নজর রাখা, যাতে তারা কোনোভাবেই ভারতের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি না হয়ে দাঁড়ায়।
অপারেশন সিন্দুর এ বন্ধু পাকিস্তান ধ্বংস - শিক্ষা নেবে কি বেইমান বাংলাদেশ ?
অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য শুধু পাকিস্তানের বুকে কাঁপন ধরায়নি, বরং এর ঢেউ প্রতিবেশী বাংলাদেশেও গভীর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভারতের সামরিক শক্তির এই অভাবনীয় প্রদর্শন, যা পাকিস্তানকে সম্পূর্ণভাবে পর্যুদস্ত করেছে, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে এক গভীর ছায়া ফেলেছে। ১৯৭১ সালে যে দেশটি ভারতের সহায়তায় স্বাধীনতা লাভ করেছিল, আজ তাদের আচরণে কৃতজ্ঞতার ছিটেফোঁটাও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
অপারেশন সিন্দুরের ফলাফল ছিল বিধ্বংসী। পাকিস্তানের সামরিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে, তাদের অহংকার চূর্ণ হয়েছে। ভারতের নির্ভুল রণকৌশল, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং অদম্য মনোবলের সামনে পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারেনি। এই বিজয় শুধু একটি সামরিক সাফল্য নয়, বরং ভারতের আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে উত্থানের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। এই অপারেশন প্রমাণ করেছে, ভারত তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
কিন্তু এই সাফল্যের ছায়ায় বাংলাদেশের আচরণ বড়ই দৃষ্টিকটু। মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছে, যা দুই দেশের সম্পর্কে গভীর ফাটল সৃষ্টি করেছে। ইউনুসের মতো ব্যক্তি, যিনি একসময় দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, আজ তার মুখে শোনা যাচ্ছে আগ্রাসনের ভাষা। তিনি দাবি করেছেন, "সাত বোন" (উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য) দখল করতে তাদের তিন দিনের বেশি সময় লাগবে না। এমনকি কলকাতা দখলের মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যও তিনি করেছেন। এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য শুধু আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়ায় না, বরং বাংলাদেশের আসল উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
"ইয়ে ডর হিন্দুস্থানিওকো বহুত আচ্ছা লাগা "
বাংলাদেশের এই দ্বিচারিতা নতুন নয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই দেশটি বিভিন্ন সময়ে ভারতের প্রতি অকৃতজ্ঞতা দেখিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে সীমান্ত সমস্যা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের আচরণ বন্ধুত্বের পরিপন্থী। জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগও তাদের দিকে আঙুল তোলে। অপারেশন সিন্দুরের পর তাদের এই ঔদ্ধত্য আরও বেড়ে গেছে, যা আঞ্চলিক শান্তির জন্য বড় হুমকি।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের লুঙ্গি পরে রাতের অন্ধকারে দেশত্যাগ—এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার এক জ্বলন্ত প্রমাণ। যিনি একসময় দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন ছিলেন, তার এমন পলায়ন শুধু হাস্যকর নয়, লজ্জাজনকও বটে। এই ঘটনা প্রমাণ করে, দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কতটা জটিল এবং বিপজ্জনক। ইউনুসের সরকারের আমলে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ, বিরোধী দলের উপর দমনপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনাগুলি বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে।
ইতিহাস সাক্ষী—বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করা দুর্বলতার লক্ষণ
ভারতের উচিত এই পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। বন্ধুত্বের হাত অবশ্যই বাড়ানো উচিত, তবে তা যেন অন্ধ না হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা এবং প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধা করা উচিত নয়। কারণ, ইতিহাস সাক্ষী—বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করা দুর্বলতার লক্ষণ। আর ভারত এখন দুর্বল নয়, বরং এক শক্তিশালী রাষ্ট্র, যার প্রমাণ অপারেশন সিন্দুর।
অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য শুধু পাকিস্তানের পরাজয় নয়, বরং ভারতের সামরিক সক্ষমতা এবং রাজনৈতিক দৃঢ়তারও প্রমাণ। এই অপারেশন আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির উচিত এই বাস্তবতা মেনে নেওয়া এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু যদি তারা ঔদ্ধত্য এবং বিশ্বাসঘাতকতার পথ বেছে নেয়, তবে তাদের পরিণতিও পাকিস্তানের মতোই হবে।
মুহাম্মদ ইউনুসের মতো ব্যক্তিদের উচিত, তাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া। তাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য শুধু আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করে। বাংলাদেশের উচিত, তাদের অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। কারণ, ইতিহাস প্রমাণ করে, বিশ্বাসঘাতকদের পরিণতি কখনোই শুভ হয় না।
0 মন্তব্যসমূহ