Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

-পর্যুদস্ত , ধ্বংস , বিপর্যস্ত পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ ঘোষণা | যুদ্ধ ঘোষণার হুঁশিয়ারিতে পিছু হটল পাকিস্তান | Pakistan surrenders |Indian Victory in Operation Sindoor

ভারতের বজ্রকঠিন হুঙ্কারে আত্মসমর্পণ! যুদ্ধ ঘোষণার হুঁশিয়ারিতে পিছু হটল পাকিস্তান

বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি



ভারতের স্পষ্ট এবং কঠোর হুঁশিয়ারির পর অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হল পাকিস্তান। শীর্ষ সরকারি সূত্রের ঘোষণা, "ভবিষ্যতের যে কোনও সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে গণ্য করা হবে," - এই বজ্রকঠিন বার্তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাটকীয় পটপরিবর্তন ঘটল।


আজ সন্ধ্যায়, বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) পক্ষ থেকে এক জরুরি সাংবাদিক সম্মেলনে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার কথা ঘোষণা করা হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের বিবৃতিটি নীচে ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষাতেই উদ্ধৃত করা হলো:


বিদেশ মন্ত্রকের ব্রিফিং (ইংরেজি):


"Uh good evening uh ladies and gentlemen. Um I have a very brief uh statement to make. Um following that uh as you know there'll be a briefing uh by uh my colleagues from the military. The uh director general of military operations of Pakistan called the director general of military operations of India at 15:35 hours this earlier this afternoon. Uh it was agreed between them that both sides would stop all firing and military action on land and in the air and sea with effect from 1700 hours Indian standard time today. Instructions have been given on both sides to give effect to this understanding. The director's general of military operations will talk again on the 12th of May at 1200 hours. Thank you."


বিদেশ মন্ত্রকের ব্রিফিং (বাংলা অনুবাদ):


"শুভ সন্ধ্যা মাননীয় ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ। আমি একটি অতি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেব। এরপর, আপনারা জানেন, সামরিক বাহিনীর আমার সহকর্মীরা ব্রিফিং করবেন। পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক আজ বিকেলে ১৫:৩৫ ঘটিকায় ভারতের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালককে ফোন করেছিলেন। তাদের মধ্যে এই বিষয়ে सहमति হয়েছে যে উভয় পক্ষই আজ ভারতীয় সময় ১৭:০০ ঘটিকা থেকে স্থল, আকাশ ও জলপথে সমস্ত প্রকার গুলিবর্ষণ এবং সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করবে। এই সমঝোতা কার্যকর করার জন্য উভয় পক্ষেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামরিক অভিযানের মহাপরিচালকরা আগামী ১২ই মে ১২:০০ ঘটিকায় পুনরায় আলোচনা করবেন। ধন্যবাদ।"

এই বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ভারতের কঠোর অবস্থানের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। লাগাতার সন্ত্রাসী হামলা এবং সীমান্ত লঙ্ঘনের পর ভারত যখন স্পষ্ট করে জানিয়েছিল যে ভবিষ্যতে কোনও প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য গণ্য করা হবে, তখন ইসলামাবাদের উপর চরম চাপ সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক মহলের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ এবং ভারতের সামরিক শক্তির সুস্পষ্ট প্রদর্শনের পরেই পাকিস্তান এই অপ্রত্যাশিত পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আজ বিকেল ৩:৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) ভারতের ডিজিএমও-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতি এবং সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করার প্রস্তাব দেন। উভয় পক্ষের সম্মতিতে, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। আগামী ১২ই মে দুপুর ১২টায় দুই দেশের ডিজিএমও-রা পুনরায় আলোচনায় বসবেন বলে জানানো হয়েছে।


এই আকস্মিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আন্তর্জাতিক স্তরেও আলোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকেই মনে করছেন, ভারতের দৃঢ় এবং কৌশলী পদক্ষেপের ফলেই পাকিস্তান এই নমনীয় মনোভাব দেখাতে বাধ্য হয়েছে। গত কয়েকদিনে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্য এবং পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে নির্ভুল প্রত্যাঘাতমূলক হামলা ইসলামাবাদের উপর তীব্র মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করেছিল।


উল্লেখ্য, এর আগে ভারত স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে পহেলগাম হামলার মতো কোনও সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা হবে না, বরং এটিকে ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে গণ্য করা হবে। এই কঠোর বার্তার পরেই পাকিস্তানের এই অপ্রত্যাশিত আত্মসমর্পণ কূটনৈতিক এবং সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ভারতের একটি বড় জয় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।


পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকার মানুষজনও এই খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। লাগাতার উত্তেজনার আবহে তাদের মনে যে আতঙ্ক দানা বেঁধেছিল, এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে বলে আশা করা যায়।


তবে, ভারতের সামরিক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তানকে তাদের প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। ভবিষ্যতে যদি কোনও প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে ভারত তার পূর্বের অবস্থানেই অনড় থাকবে।


এই মুহূর্তে, সকলের নজর আগামী ১২ই মে-র ডিজিএমও স্তরের আলোচনার দিকে। সেই বৈঠকেই সম্ভবত ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। তবে, আজকের এই অপ্রত্যাশিত ঘোষণা নিঃসন্দেহে ভারত এবং এই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের দৃঢ় মনোবল এবং স্পষ্ট বার্তা যে আন্তর্জাতিক স্তরেও কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণিত হল।


#ভারত #পাকিস্তান #আত্মসমর্পণ #যুদ্ধবিরতি #বিদেশমন্ত্রক #MEA #ডিজিএমও #কূটনীতি #শান্তি #সন্ত্রাসবাদ #কঠোরবার্তা #আন্তর্জাতিক #মানুষেরভাষা

Watch MEA Breafing

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code