অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যের নেপথ্যে ত্রয়ী শক্তির সমন্বয়, জানালেন সিডিএস অনিল চৌহান ও তিন বাহিনীর প্রধান
নতুন দিল্লি, ১৪ই মে, ২০২৫: চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান, সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং আজ অপারেশন সিন্দুরের সফল পরিচালনা নিয়ে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের সরাসরি মতামত তুলে ধরলেন।
এই আলোচনায় অপারেশন চলাকালীন তিন বাহিনীর মধ্যে অর্জিত সমন্বয় এবং কৌশলগত দিকনির্দেশনার স্পষ্টতা নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ সদর দফতর জানিয়েছে, "চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান, সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (সিওএএস), নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী (সিএনএস) এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং (সিএএস) অপারেশন সিন্দুরের সফল পরিচালনা নিয়ে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের সরাসরি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছেন। স্পষ্টভাবে বর্ণিত কৌশলগত দিকনির্দেশনা এবং ব্যতিক্রমী সমন্বয় ও একীকরণের মাধ্যমে নতুন যুগের মাল্টি-ডোমেইন অপারেশনের সফল বাস্তবায়ন সম্পর্কে প্রবীণ সেনা আধিকারিক ও থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির সাথে আলোচনা করা হয়েছে।"
OPERATION SINDOOR
— HQ IDS (@HQ_IDS_India) May 14, 2025
General Anil Chauhan, Chief of Defence Staff #CDS, alongwith General Upendra Dwivedi #COAS, Admiral Dinesh K Tripathi #CNS and Air Chief Mshl AP Singh #CAS provide a direct perspective from the Apex Leadership of #IndianArmedForces into the successful conduct… pic.twitter.com/jtKQln5n3M
ভারত গত ৭ই মে 'অপারেশন সিন্দুর' শুরু করে, যা ছিল গত ২২শে এপ্রিল পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার একটি নির্ণায়ক সামরিক প্রতিক্রিয়া। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার ফলে জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়।
এই হামলার পর, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এবং জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলি বর্ষণ করে এবং সীমান্ত অঞ্চলে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে। এর জবাবে ভারত একটি সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে এবং পাকিস্তানের ১১টি বিমান ঘাঁটির রাডার অবকাঠামো, যোগাযোগ কেন্দ্র এবং বিমানক্ষেত্রগুলির ব্যাপক ক্ষতি করে।
এরপর, ১০ই মে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শত্রুতা বন্ধের একটি সমঝোতা ঘোষণা করা হয়।
আজকের এই আলোচনায় তিন বাহিনীর প্রধান অপারেশন সিন্দুরের প্রতিটি স্তরের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে তাদের বাহিনীর ভূমিকা এবং সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, এই সফল অভিযানের মূল চাবিকাঠি ছিল তিন বাহিনীর মধ্যে অভূতপূর্ব বোঝাপড়া এবং যৌথ পদক্ষেপ। অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য শুধু সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ