Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

পরপর মোদী-ধাক্কায় বেসামাল বাংলাদেশ : ট্রান্সশিপমেন্ট এর পর এবার বাতিল ৫০০০ কোটির রেল প্রকল্প

মোদি-র মাস্টারস্ট্রোক! বাংলাদেশের হুমকিকে জবাব, ‘চিকেন নেক’ বিপদ এড়াতে রেল প্রকল্প বাতিল

ট্রান্সশিপমেন্ট নিষেধাজ্ঞার পর এটাই দ্বিতীয় বড় ধাক্কা


Image - Business Today

নয়া দিল্লি: অবশেষে ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। দেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশ নির্ভর প্রকল্পে বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। ৫০০০ কোটি টাকার রেল প্রকল্প বাতিল করে কৌশলী মাস্টারস্ট্রোক চালাল নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতকে যুক্ত করার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত — আর এর পেছনে রয়েছে ভারতের ভূরাজনৈতিক সচেতনতা ও জাতীয় নিরাপত্তার অগ্রাধিকার।

বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ‘চিকেন নেক’ করিডর: জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি!



ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি মাত্র সরু করিডর দিয়ে—যা ‘চিকেন নেক’ নামে পরিচিত। মাত্র ২২ কিলোমিটার চওড়া এই ভূখণ্ড ভারতের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এই করিডর যেকোনো বিদেশি প্রভাব বা অভ্যন্তরীণ অশান্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে উত্তর-পূর্ব ভারত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।

বাংলাদেশ হয়ে সংযোগের উপর নির্ভরশীল হলে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, কিছু চরমপন্থী সংগঠনের ভারতবিরোধী মনোভাব, এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা—এসব মিলিয়ে এই রেল প্রকল্প ভারতের জন্য ভবিষ্যতে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারত।

মোদি সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত: বিকল্প খোঁজাই ভবিষ্যতের পথ

এই বিপদের আশঙ্কা মাথায় রেখে মোদি সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ হয়ে সংযোগের জায়গায় এবার নজর দেওয়া হয়েছে নেপাল ও ভুটানের উপর। বিকল্প রেল করিডর গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেল মন্ত্রক। এর ফলে শুধু নিরাপত্তাই নয়, কৌশলগতভাবে বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরতা কমানোর বার্তাও দেওয়া হলো।

বন্ধ হয়ে গেল ৩টি বড় রেল প্রকল্প:

১. আখাউড়া-আগরতলা ক্রস বর্ডার লিঙ্ক
২. খুলনা-মোংলা পোর্ট রেললাইন
৩. ঢাকা-টঙ্গি-জয়দেবপুর রেল সম্প্রসারণ

এই প্রকল্পগুলিকে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে, এবং আরও পাঁচটি প্রস্তাবিত প্রকল্প পুনর্মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে।

 বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা: নির্ভরশীলতা নয়, বিকল্পই ভবিষ্যৎ

ট্রান্সশিপমেন্ট নিষেধাজ্ঞার পর এটাই দ্বিতীয় বড় ধাক্কা বাংলাদেশের জন্য। ভারত স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিল—কৌশলগত সিদ্ধান্তে আবেগ নয়, দেশের স্বার্থই সবার আগে। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে, যা দেশবাসীর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

নিখুঁত কূটনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক

মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বলা যায় এক নিখুঁত কূটনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক—যেখানে বাংলাদেশের উপর নির্ভরতা না রেখে নিজস্ব বিকল্প পথ তৈরি করে ভারত আবারও দেখাল, ‘নেতৃত্ব মানে ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকি না নেওয়া, বরং সময়ের আগে পথ তৈরি করে রাখা।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code