পাকিস্তান ধ্বংস: সেনাবাহিনী প্রধান গ্রেপ্তার ? পতনের পথে পাকিস্তান
মনুষের ভাষা
একের পর এক সামরিক ব্যর্থতা এবং অভ্যন্তরীণ গোলযোগের জেরে টালমাটাল পাকিস্তান। বিভিন্ন সূত্রে খবর, দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর একটি অংশ তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে এবং এই ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা সরকার এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ দেয়নি, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে, এই অভ্যুত্থান সংক্রান্ত খবরগুলি নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা সরকার কেউই এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। অনেক বিশেষজ্ঞ এই খবরগুলি যাচাই না করে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয় বলে মনে করছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং, ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (ISPR) এই গুজব নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।
সামাজিক মাধ্যমে এই খবর নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও, এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই খবরগুলিকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা উচিত।
খবরে আরও বলা হয়েছে যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কিছু ঊর্ধ্বতন ও মধ্যম সারির কর্মকর্তা - কর্নেল, মেজর এবং ক্যাপ্টেনরা জেনারেল আসিম মুনিরের পদত্যাগের দাবিতে একটি চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে মুনিরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন, নির্বাচন কারচুপি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করা এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়িয়ে তোলার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এই চিঠির সত্যতা এখনও যাচাই করা যায়নি।
আশিম মুনির ২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা করেছিলেন বলে মনে করা হয়েছিল।
অভ্যুত্থানের গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে বিভিন্ন আলোচনায়। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এবং পর্যবেক্ষক এই বিষয়ে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে নিষেধ করেছেন।
যদি এই খবর সত্যি হয়, তবে এটি ১৯৯৯ সালের পর পাকিস্তানের প্রথম সামরিক অভ্যুত্থান হবে। ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মুশাররফ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে। তবে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
কে এই সাহির শামশাদ মির্জা?
সাহির শামশাদ মির্জা পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন। সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা মির্জা অল্প বয়সেই তার বাবা-মাকে হারিয়েছেন। সেনাবাহিনীকেই তিনি তার পরিবার মনে করেন। শোনা যায়, তিনি সরকারি নথিতে "পিতা/মাতা" বিভাগে তার সেনা ইউনিটের নাম লিখেছেন। কঠোর অধ্যবসায় ও সংকল্পের মাধ্যমে তিনি শীর্ষ পদে পৌঁছেছেন।
কর্মজীবনে মির্জা চিফ অফ জেনারেল স্টাফ (CGS) এবং ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাওয়ালপিন্ডির কর্পস কমান্ডার হিসেবেও কাজ করেছেন, যা পাকিস্তানের ক্ষমতার কেন্দ্রগুলির কাছাকাছি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ।
দাবি: পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
- নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার নাম শোনা যাচ্ছে।
- সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন ও মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের একটি অংশ জেনারেল মুনিরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
- এই খবরগুলি এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক এবং সামরিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে সবার নজর।
0 মন্তব্যসমূহ