Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

ছবিটি শুভেন্দু অধিকারীর নয়। ভালো করে দেখুন আপনার কিনা #suvenduadhikari

ছবিটি শুভেন্দু অধিকারীর নয়।  ভালো করে দেখুন আপনার কিনা 

একটি বিশ্লেষণ - প্রবীর রায় চৌধুরী


"ক্যানিং পশ্চিমের তোলামূলের বিধায়ক পরেশ রাম দাস বলেছিল শুভেন্দু অধিকারী ক্যানিং পশ্চিমে পা রাখলে বাস স্ট্যান্ডে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখবে। আজ ক্যানিং বাজারে পদযাত্রা ও সভার পর ক্যানিং বাস স্ট্যান্ডে একটা দোকানে দাঁড়িয়ে চা খেলাম। সেখানকার স্থানীয় মানুষের সাথে কিছুক্ষণ কথাও বললাম। প্রায় আড়াই ঘন্টার কর্মসূচির মাঝে বুকের পাটা নিয়ে কেউ সামনেই এলো না বেঁধে রাখা তো দুর অস্ত। তোলামূলের গুন্ডাটাকে বলতে চাই এসব ফাঁকা আওয়াজে শুভেন্দু অধিকারী ভয় পায় না।" - শুভেন্দু অধিকারী 

কি এমন আছে এই ছবিতে ? 

একটা সাধারণ আটপৌরে মানুষ - গ্রামের চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে । এ তো পাড়ায়  বেরোলেই দেখা যায়।  

দেখা যায় , আবার যায় না। 

যেটা দেখা যায় না তা হলো , প্রতিজ্ঞাবদ্ধ লক্ষ্যে স্থির দুটি চোখ।  দেখা যায় না , বোঝা যায় তাতে আগুন আছে। দেখা যায় না বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে লড়ার ইচ্ছা , কোনো ক্লান্তি যেখানে বাধা নয়। দেখা যায় না , মর্মে মর্মে অনুভব করা যায় তার অকুতোভয় মনোভাব যা দেখে প্রবল পরাক্রমী শত্রুও পিছু হটতে বাধ্য হয়। 


এই ছবিই তো যুগে যুগে ঘরের দেওয়ালে , ইতিহাস বইয়ের পাতায় , ক্যালেন্ডারে জায়গা করে নেয়।  

কেন নেয় ?

কারণ তাতে ধরা থাকে ইতিহাস।  তাতে ধরা থাকে অধর্ম, অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা।যা দেখে ভাবি কাল অনুপ্রাণিত হয়।শেখে কিভাবে অন্যায়-অত্যাচার-পরাধীনতার বিরুদ্ধে লড়তে হয়। অত্যাচারী সব যুগেই নিজেকে সর্বশক্তিমান মনে করে। শোষিত মানুষ সামর্থ-সাহস যখন হারিয়ে ফেলে অর্ধমৃত ও আত্মসমর্পন করা এক নির্বাক সত্বায় পরিণত হয় , তখনই ইতিহাস উপহার দেয় এক এক জন মুক্তি সূর্যের।  যার আলোয় , যার অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে নতুন যুগের সূচনা হয়।  সমস্ত হতাশা ভুলে মানুষ ঘুরে দাঁড়ায় - নিজেকে মানুষ ভেবে তার পিছনে ছুটে যায়। ভিড় জমায়।  আর তা ক্রমশ বাড়তে থাকে।  অত্যাচারী সবসময়েই সংখ্যায় কম হয়।  তাই মানুষের প্লাবন যখন আসে নির্মম শাসক ক্রমশ একা হতে থাকে - হিটলার , মুসোলিনি , চাওসেস্কু এদের পরিণতি গুলো সবার জানা।  

==========

মানুষের ভাষা যে সমাজে রুদ্ধ , চলাচল নিয়ন্ত্রিত ,চারপাশে হিংস্র শ্বাপদের বিষ নিঃস্বাস - শিক্ষা থেকে মাতৃ জঠর যেখানে ব্যবসার পণ্যে পরিণত ,অন্ন ছিনিয়ে নেওয়া হয় , বস্ত্র বিবস্ত্র করা হয় , লুট হয়ে যায় বাসস্থান ( অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান) সেখানে বেঁচে থাকা মানে তো মৃতদেহের মতো বেঁচে থাকা।সকাল থেকে পরের সকাল সেখানে কারাগারে বাস করার মতোই অর্থহীন - উদ্দেশ্য হীন  , এক কথায় পরাধীন। 


সেখানে মানুষের স্বত্তার শৃঙ্খল মোচনে প্রয়োজন আর এক স্বত্তার , যার প্রতিবাদে প্রকাশিত হয় আপামর মানুষের হাহাকার , ক্ষোভ , অসহায় বেঁচে থাকার আর্তনাদ - প্রতিটি মুহূর্তে ঠকে যাওয়ার অতৃপ্তি , মৃত্যু ভয়।  


শুভেন্দু অধিকারী - আজ শুধু একটি মানুষ বা একটি দলের নেতা নন।  তিনি এই সামগ্রিক যন্ত্রনা ও অভিশপ্ত যুগের অবসানের কান্ডারী।  নতুন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। যার এগিয়ে চলার দিকে অসহায় মানুষ অনেকদিন থেকেই নজর রেখেছে।  ধীরে ধীরে সংশয় বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। ভয় কেটে সাহস আসছে মনে।  তাই বন্ধ ঘরের দুয়ার খুলে মানুষ নেমেছে পথে।  তার পাশে। 



একটি ছবি তাই শুধু ছবি নয়। সেই ছবি নিজেই কথা বলে , সাহস যোগায়।  স্বাধীন , সুস্থ সমাজের স্বপ্ন দেখায় যেমন তেমনি ধরে রাখে এক অভিশপ্ত করুন যুগের ইতিহাস - যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এই ঋজু  সংকল্পবদ্ধ মানুষটি ।  


তাই এটা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি নয় - এ ছবিতে লীন হয়ে আছে কোটি কোটি অসহায় মানুষের যন্ত্রনা , ক্ষোভ ও প্রতিবাদ।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code