Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

R G KAR মামলা: সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করে কি কি জানালো ?

R G KAR মামলা: সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করে কি কি জানালো ?

কলকাতার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে এখনও পর্যন্ত পরিচালিত তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট দাখিল করে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছে। একই সঙ্গে পুলিশের তদন্তে গাফিলতির কথা বলেছে সিবিআই।


কলকাতার ধর্ষণ-খুন মামলা: সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করল, পুলিশের তদন্তে গাফিলতির কথা জানানো হল।


সিবিআই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে



কলকাতার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। মুখবন্ধ খামে তারা তাদের রিপোর্ট দাখিল করেছে। স্ট্যাটাস রিপোর্টে কলকাতা পুলিশের গাফিলতির কথা উল্লেখ করেছে সিবিআই বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে । সন্দেহের ভিত্তিতে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের বিবরণও স্ট্যাটাস রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্র আরও জানাচ্ছে যে ঘটনার স্থান সুরক্ষিত ছিল না বলে রিপোর্টও দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা।



সিবিআই-এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও এই মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সুপ্রিম কোর্টে। এতে পুলিশের করা তদন্তে গাফিলতির অভিযোগের বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনে ঘটনার দিনের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।


অতিরিক্ত ডিটেক্টর ও ডিএসপির নেতৃত্বে কলকাতায় উপস্থিত সিবিআইয়ের একটি দল এই অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে:


গত ৬ দিনে দু’জনকে লাগাতার জেরা করেছে সিবিআই। প্রথম জন প্রধান অভিযুক্ত হলেন সঞ্জয় রায় এবং দ্বিতীয় হলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। 



সিবিআই হাসপাতালে গিয়ে সমস্ত ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত করেছে এবং এবং আরও প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করেছে। সিবিআই-এর সিএফএসএল টিমের পাঁচজন ডাক্তার সঞ্জয় রায়ের একটি মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করেছিলেন, অর্থাৎ তাঁর মানসিক অবস্থা জানার চেষ্টা করেছিলেন, যার জন্য একটি বিশদ রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। এই পরীক্ষা করা হয়েছিল যাতে তদন্তকারী সংস্থা নিশ্চিত করতে পারে যে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য বিশ্বাস করা যায় কিনা।


সঞ্জয় রায় একাই অপরাধে জড়িত নাকি একাধিক অভিযুক্ত এই দিকটিও তদন্ত করেছে সিবিআই। সিবিআই হাসপাতাল অর্থাৎ অপরাধের স্থান বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছে এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং ঘটনাস্থলের ম্যাপিংও করা হয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে যেখানে ঘটনার আগে ও পরে আসামি সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি দেখা গেছে বলে জানা যাচ্ছে।


হত্যাকাণ্ডের পরে অপরাধের স্থান নিরাপদ না থাকায় অপরাধস্থলে প্রচুর পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। এছাড়া কাছাকাছি সংস্কার হয়েছে যার কারণে অনেক তথ্য-প্রমান নষ্ট হয়ে গেছে বলে সন্দেহ করেছে তারা ।

এখনো পর্যন্ত সিবিআই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে যে বিষয়গুলি তদন্ত করছে-


-সন্দীপ ঘোষ তড়িঘড়ি করে পরিবারকে কেন বললেন যে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছে?

-এ ধরনের কথা কি ইচ্ছাকৃতভাবে বলা হয়েছিল যাতে হত্যাকাণ্ড লুকিয়ে রাখা যায় এবং তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা যায়?

-পুলিশকে তথ্য দেওয়ার আগে কেন হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সন্দীপ ঘোষ?

-প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ তৎক্ষণাৎ পদত্যাগ করলেন কেন , আবার নুতুন পদে যোগ-ই বা দিলেন কেন ?



আজ সুপ্রিম কোর্টে মহামান্য প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঁচে এই মামলার শুনানি চলছে। সারা দেশ অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে আজ সর্বোচ্চ আদালত কি নির্দেশ দে সেই দিকে , একই সাথে দোষীদের দ্রুত খুঁজে বার করে চরম শাস্তির দিতে চলতে থাকা প্রতিবাদ আজ সারা দেশে পালিত হচ্ছে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code