“বাঘের কি দাঁত পরে গেছে?” — কাশ্মীরে হিন্দু নিধনে দেশ চেয়েছিল কঠোর প্রত্যাঘাত :
CCS Meeting :২৪ ঘণ্টা পর মোদী সরকার নিলো এই ৫টি কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত
মানুষের ভাষা রিপোর্ট: মানুষের ভাষা সংবাদদাতা |
গতকাল দুপুরে কাশ্মীরের পাহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলা গোটা দেশকেই স্তম্ভিত করেছে। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় পাকিস্তানি জেহাদি জঙ্গিরা নিশানা করেছিল শুধুমাত্র হিন্দু তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের। স্ত্রীর সামনে স্বামীদের ধর্মপরীক্ষা করে বেছে বেছে হত্যা করার এই জঘন্যতা ইতিহাসে এক কালো ছাপ ফেললো। এমন একটি বর্বর, সাম্প্রদায়িক হামলার পর ভারতের জনগণ চেয়েছিল কড়া ও দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া।
#WATCH | The Cabinet Committee on Security (CCS) met today at 7, Lok Kalyan Marg. In the meeting, PM Modi was briefed about the situation in Bangladesh. pic.twitter.com/oTzFp9w6WX
— ANI (@ANI) August 5, 2024
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৌদি সফর অসম্পূর্ণ রেখেই দেশে ফেরেন, এয়ারপোর্টেই বসে যান জরুরি বৈঠকে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ডাকেন, সেনা জারি করে নিশ্ছিদ্র তল্লাশি অভিযান। এটি নিঃসন্দেহে একটি তৎপর পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিতও হয়। রাশিয়া, আমেরিকা সহ বহু রাষ্ট্রপ্রধান এই ঘটনার নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
The CCS (cabinet committee for security) has made 5 major decisions in response to the attack by Islamic terror groups from Pakistan pic.twitter.com/BDH4vPocNl
— Generation Restoration🌱🌍 (@Radhas85) April 23, 2025
প্রশ্ন উঠছে—এই পদক্ষেপগুলি যথেষ্ট কি?
আজ, ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর, অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) পাঁচটি বড় কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে রয়েছে:
- ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করা।
- অটারি সীমান্ত চেকপোস্ট বন্ধ ঘোষণা।
- পাকিস্তানি নাগরিকদের SAARC ভিসা বাতিল।
- উভয় দেশের হাইকমিশন থেকে সামরিক উপদেষ্টা প্রত্যাহার।
- হাইকমিশনের কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করা।
এই সিদ্ধান্তগুলো কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঠিকই, কিন্তু দেশবাসীর একাংশের প্রশ্ন—এই পদক্ষেপগুলি কি জঙ্গিদের সরাসরি ও তাৎক্ষণিক জবাব দিতে পারছে? যখন পবিত্র তীর্থযাত্রীদের রক্তে ভেসে গেছে ভূস্বর্গ, তখন শুধু জলচুক্তি স্থগিত করেই কি জবাব দেওয়া হলো?
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ঘিরে মুসলিম বিক্ষোভের নামে যেভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ হয়েছে, তা-ও চিন্তার বিষয়। মালদা, মুর্শিদাবাদে কার্যত হিন্দু নিধনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশ নির্বিকার, হাইকোর্টের নির্দেশেই নামাতে হয় আধাসেনা।
শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া বিজেপি’র রাজ্য নেতৃত্ব কার্যত নিস্ক্রিয়
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নিঃশব্দ ভূমিকা বহু বাঙালিকে হতাশ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের সামনে কেন্দ্রের কার্যত নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া বিজেপি’র রাজ্য নেতৃত্ব কার্যত নিস্ক্রিয়। কই, একটি বৃহৎ শোক মিছিল? একটি রাস্তার প্রতিবাদ?
সাংবাদিক সন্ময় ব্যানার্জী যেমনটি বলেছেন—"এরা অপদার্থ", সেই বক্তব্য আজ অনেকের মনের প্রতিধ্বনি।
মোদী-শাহ জুটির কাছে আজ প্রশ্ন — কাশ্মীরে যখন 'চুন চুন করে মারা'র ঘটনা ঘটে থাকে, বাংলায় জেহাদি উগ্রতা কীভাবে প্রশ্রয় পায় ? কেন এখানে এত আপোষ ? যখন হেমন্ত সোরেন বা কেজরিওয়ালদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়া হয়, তখন বাংলার দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র এতটা নরম কেন?
দেশবাসী আর নিঃশব্দ নীতিতে আশ্বস্ত নয়। এখন তারা চায় দৃঢ়, দৃশ্যমান এবং ন্যায্য প্রত্যাঘাত। শুধু কাগজে কলমে সিদ্ধান্ত নয়, মাটির উপরেও তার প্রতিফলন চাই।
বাঘ যদি গর্জে না ওঠে, তবে মানুষ প্রশ্ন তুলবেই—"বাঘের কি দাঁত পড়ে গেছে?"
Tags-
হিন্দু নিধন, কাশ্মীর হামলা, মোদী সরকার, জঙ্গি হামলা 2025, পাহেলগাঁও হামলা, ইন্ডাস ওয়াটার ট্রিটি, পাকিস্তান ভারত সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপ, বিজেপি প্রতিক্রিয়া, সিএসএস সিদ্ধান্ত, আতঙ্কবাদ, পাকিস্তানি জঙ্গি, হিন্দু তীর্থযাত্রী হত্যা, মোদী সমালোচনা, বাংলা রাজনীতি, শুভেন্দু অধিকারী, মোদী-শাহ জুটি, বাংলা সুরক্ষা, জেহাদি হামলা, ভারত-পাকিস্তান কূটনীতি