তারিখ পে তারিখ -আবার একরাশ হাহুতাশ । DA মামলার শুনানিই হলোনা আজ - কবে হবে জানা নেই
আবার একরাশ হাহুতাশ । DA মামলার শুনানিই হলোনা আজ - কবে হবে জানা নেই . ডিএ মামলার শুনানি হল না মঙ্গলবার, পরবর্তী তারিখ স্থির নয় এখনও.
Manusher Bhasha ডেস্ক
নয়াদিল্লি:
বহু প্রতীক্ষিত ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) মামলার শুনানি আবারও পিছিয়ে গেল। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের তালিকায় মামলাটি ৫১ নম্বরে থাকলেও, দিনের শেষে তা শুনানির জন্য ওঠেইনি। এখন প্রশ্ন— কবে হবে এই বহুল চর্চিত মামলার পরবর্তী শুনানি? সেই উত্তরও মেলেনি দেশের শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে।
বিচারপতি বিক্রম নাথের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ দিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী মামলাটি ওঠেনি, যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহল।
এর আগেও, ২৫ মার্চ শুনানির দিন ধার্য হলেও মামলাটি পিছিয়ে যায়। এবার ২২ এপ্রিল ফের সেই শুনানির জন্য দিন ধার্য হয়েছিল, কিন্তু ফের শুনানির নামগন্ধই নেই। শেষবার ডিএ মামলার শুনানি হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। তখন দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, এই মামলায় বিশদ শুনানি প্রয়োজন, যার জন্য পরে আর সময় মেলেনি।
একাধিকবার তালিকাভুক্ত হলেও নিয়মিত শুনানি হয়নি
২০২২ সালের ২০ মে, কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যকে কেন্দ্রীয় হারে ৩১% ডিএ প্রদানের নির্দেশ দেয়। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ, ইউনিটি ফোরাম ও সরকারি কর্মচারী পরিষদের যৌথ মামলায় রায় এসেছিল কর্মীদের পক্ষে।
কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। প্রথম শুনানি হয়েছিল ২৮ নভেম্বর। রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এরপর থেকে মামলাটি একাধিকবার তালিকাভুক্ত হলেও নিয়মিত শুনানি হয়নি।
রাজ্যের দাবি:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে একাধিকবার ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন— রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ৪% বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যের ডিএ ১৮ শতাংশ। এই সুবিধা পাচ্ছেন পেনশনভোগীরাও।
তবু রাজ্যের একাংশ কর্মী তাঁদের দাবি থেকে সরছেন না। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য ও কেন্দ্রের ডিএ হারের ফারাক এখনও প্রায় ৩৫ শতাংশ, যা মেনে নেওয়া যায় না।
বিচারপতির অবসর ও নতুন বেঞ্চে স্থানান্তর:
ডিএ মামলা ছিল বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে। কিন্তু শুনানি শেষ হওয়ার আগেই তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তারপর থেকেই মামলাটি চার মাস শুনানির বাইরে ছিল। পরে এই মামলা যায় বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। কিন্তু মঙ্গলবারও শুনানি না হওয়ায় হতাশ রাজ্য সরকারি কর্মী মহল।
ডিএ মামলার ভবিষ্যৎ শুনানির দিন কবে হবে, এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বছরের পর বছর ধরে এই মামলার পিছিয়ে যাওয়া রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলেছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার লড়াই যে এখনও বহুদূর— তা ফের স্পষ্ট হল মঙ্গলবারের স্থগিত শুনানিতে।
ট্যাগস: #DAমামলা #SupremeCourt #WestBengalGovernmentEmployees #ডিএদাবি #ManusherBhasha #মহার্ঘভাতা #DAPending #DAHearing
0 মন্তব্যসমূহ