ট্রাম্প ২.০-র প্রথম ১০০ দিন
ডলারে ধস , উর্ধমুখী সোনা - ভারতের বাজারে প্রভাব কতটা ?
ট্রাম্প ২.০-র প্রথম ১০০ দিনে ডলার পতন, সোনার দাম রেকর্ড বৃদ্ধিতে | বিশ্ব অর্থনীতি বিশ্লেষণ
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে মার্কিন ডলারের দরপতন ও সোনার দাম ২২% বৃদ্ধির চিত্র ফুটে উঠেছে HSBC-র গবেষণায়। এছাড়াও, মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস, ভারতের রেপো রেট কমানো এবং তেলের দামের উঠানামা নিয়েও বিস্তারিত তথ্য জানতে পড়ুন 'Manusher Bhasha' ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনেই, বিশ্বজুড়ে G10 মুদ্রাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করেছে মার্কিন ডলার, অন্যদিকে সোনার দাম বেড়েছে ২২ শতাংশেরও বেশি—এমনটাই দাবি করেছে HSBC অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট-এর একটি গবেষণা রিপোর্ট।
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর থেকে ব্রিটিশ পাউন্ডের (GBP) তুলনায় ডলারের দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।
গবেষণা নোটে বলা হয়েছে, “নতুন প্রশাসনের নীতিগত লক্ষ্য হয়তো ধাপে ধাপে ডলারের মান হ্রাস করা ছিল, তবে এত তীব্র পতন মার্কিন ব্যতিক্রমী অর্থনৈতিক শক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।”
বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে সোনার দাম বৃদ্ধি
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম ১০০ দিনেই সোনার দাম ২২ শতাংশ বাড়ায়, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগ বেড়েছে। এই পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি-সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মার্কিন শুল্ক নীতির ভবিষ্যৎ এবং তার প্রভাব—দুটো বিষয়েই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি আরও জানায় যে, শেয়ারবাজার, বন্ড, সুদের হার ও ডলারের বিনিময় মূল্যের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক বিঘ্নিত হয়েছে—এগুলি এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
মার্কিন শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব
ট্রাম্পের নতুন মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে মার্কিন শেয়ারবাজারও দুর্বল পারফর্ম করেছে, যেখানে S&P 500 বিশ্বব্যাপী শেয়ার সূচকের মধ্যে অন্যতম নিম্নমুখী অবস্থানে ছিল।
রেপো রেট কমানোর পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতের শেয়ারবাজার
তবে এর বিপরীতে ভারতের শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, কারণ ২০২৫ সালের মার্চে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI) অবশেষে সুদের হার কমানোর চক্র শুরু করে।
HSBC-এর রিপোর্ট বলছে, "২০২৫ সালের শুরুতে বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক ঝুঁকির মুখে ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, ফলে ভারতের ফিক্সড ইনকাম রিটার্ন কম ছিল। কিন্তু মার্চ মাসে RBI সুদের হার কমানো শুরু করতেই দৃশ্যপট বদলে যায়।"
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় বন্ডকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কিছু প্রযুক্তিগত কারণও ভূমিকা রেখেছে। যেমন—বাজারে তারল্য বৃদ্ধি এবং সরকারের রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি।
তেলের দামে উত্থান-পতন
এই সময়ে তেলের দামে ব্যাপক ওঠানামা দেখা গেছে। ২০২১ সালের শুরু থেকে এই প্রথমবার তেলের দাম ৬০ ডলারের নিচে নেমে গেছে প্রতি ব্যারেল, যার পেছনে আছে বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়ার শঙ্কা, বাণিজ্য উত্তেজনা এবং দুর্বল মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্য।
সারাংশ:
- ডলার কমেছে ৭%, সোনার দাম বেড়েছে ২২%
- মার্কিন শেয়ারবাজার দুর্বল পারফর্ম
- ভারতীয় শেয়ার ও বন্ডে পুনরুজ্জীবন
- তেলের দামে ধস, বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা
আপনার মতামত জানাতে এবং আরও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক খবর পেতে চোখ রাখুন – Manusher Bhasha।
0 মন্তব্যসমূহ