এবার যুদ্ধের প্রস্তুতি - ব্ল্যাকআউট , সাইরেন - নাগরিক সুরক্ষায় সব রাজ্যকে মকড্রিলের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
সুশৃঙ্খল নাগরিক প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে মক ড্রিল চালানোর নির্দেশ কেন্দ্রের; ড্রিলে থাকবে ব্ল্যাকআউট অনুশীলন
নতুন দিল্লি [ভারত], ৫ মে মানুষের ভাষা, বিশেষ প্রতিবেদন ( সূত্র-ANI)
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর উদ্ভূত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিক রাজ্যকে আগামী ৭ মে কার্যকর নাগরিক প্রতিরক্ষার জন্য মক ড্রিল পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে, সরকারিভাবে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ড্রিলের আওতায় থাকবে এয়ার রেইড ওয়ার্নিং সাইরেন চালু করা, সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী প্রভৃতিকে প্রতিরক্ষার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে শত্রুপক্ষের হামলার ক্ষেত্রে তারা আত্মরক্ষা করতে পারে।
MHA asks several states to conduct mock drills for effective civil defence; drills to include crash blackout measures
— ANI Digital (@ani_digital) May 5, 2025
Read @ANI Story | https://t.co/Cg2f0SWCf3 #MHA #mockdrills pic.twitter.com/WxnenobwWJ
এছাড়াও, জরুরি অবস্থায় ব্ল্যাকআউট কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছদ্মবেশ প্রস্তুতি, এবং দ্রুত ও সময়োচিত স্থানত্যাগ পরিকল্পনার হালনাগাদ ও তার অনুশীলনের কথাও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক, নিহত হন। এর ফলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনার মুখে পড়ে। সরকার ঘোষণা করেছে, এই হামলার মূলহোতাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই রোববার ফেরোজপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ৩০ মিনিটের ব্ল্যাকআউট অনুশীলন চালানো হয়। এটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও স্টেশন কমান্ডারের নির্দেশনায় সম্পন্ন হয়।
ফেরোজপুর ক্যান্ট পুলিশ স্টেশনের এসএইচও গুরজন্ত সিং জানান, "রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩০ পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট কার্যকর ছিল। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। কোনো গাড়ি যদি আলো চালু রেখে চলছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ পুরোপুরি সতর্ক ছিল এবং প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে মোতায়েন ছিল।"
সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, যাতে তারা সময়, পদ্ধতি এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিতে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত রাখার মতো বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে।
সরকার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন পেয়েছে। বিরোধী পক্ষ এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিক্রিয়ায় সরকারের যেকোনো পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে।
জঙ্গি হামলার পরদিন অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি-র ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এই হামলার সঙ্গে সীমান্তপারের যোগসূত্র রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে সফল নির্বাচন এবং উন্নয়নের ধারাবাহিক অগ্রগতির মধ্যেই এই আঘাত এসেছে।
এর পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আগত বা রপ্তানিকৃত সব ধরনের পণ্যের আমদানি এবং পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। (এএনআই)
ট্যাগ:
নাগরিক প্রতিরক্ষা | স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক | সাইরেন | মক ড্রিল | পহেলগাঁও | জঙ্গি হামলা | জম্মু ও কাশ্মীর
0 মন্তব্যসমূহ