কাপুরুষ পাকিস্তানের আরও এক হামলা ব্যর্থ, ভারতের যোগ্য জবাব
ব্ল্যাক আউট - কাশ্মীর, রাজস্থান , পাঞ্জাব রাত বাড়তেই লাগাতার পাকিস্তানের হামলার চেষ্টা - তীব্র প্রত্যাঘাত ভারতের
মনুষের ভাষা
জম্মু, ৮ই মে, ২০২৫:
১৫টি ভারতীয় শহরকে নিশানা বানানোর ব্যর্থ চেষ্টার কয়েক ঘণ্টা পরেই, কাপুরুষ পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে ফের হামলা চালিয়েছে। সাম্বা, পুঞ্চ এবং অন্যান্য সেক্টরে যেখানে ব্যাপক গোলাবর্ষণ চলছে, সেখানে জম্মুকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে পাকিস্তান।
স্থানীয় সময় রাত ৯টার কিছুক্ষণ আগে, শহরজুড়ে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, এরপরই সাইরেনের আওয়াজ এবং ব্ল্যাকআউট দেখা দেয়। হামলার ঘটনা এখনও চলছে এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
#WATCH | A complete blackout has been enforced in Kishtwar of Jammu Division, and sirens are being heard throughout the district.
— Hindustan Times (@htTweets) May 8, 2025
(🎥: ANI) pic.twitter.com/1yWaCX7tuH
স্থানীয়দের পাঠানো মোবাইল ফোনের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আকাশ জুড়ে আলোর ঝলকানি। এটি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কর্তৃক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলিকে আকাশেই ধ্বংস করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
#WATCH | Pakistani drones intercepted by Indian air defence in Jaisalmer. Explosions can be heard, and flashes in the sky can be seen.
— ANI (@ANI) May 8, 2025
(Editors note: Background conversation is of ANI reporters witnessing live interception of Pakistani drones by Indian Air Defence ) pic.twitter.com/Ca1vpmNtjV
৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত কুপওয়াড়া এবং পাঠানকোটও একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। সীমান্ত এলাকার বেশিরভাগ অংশ এখন ব্ল্যাকআউটের আওতায়। পাঞ্জাবের নিকটবর্তী শহর গুরুদাসপুরেও ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যেই সাম্বা, আখনুর, রাজৌরি এবং রিয়াসির আন্তর্জাতিক সীমান্তে ব্যাপক গোলাবর্ষণ চলছে।
এই পরিস্থিতিতে, ভারতীয় বাহিনী দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। পাকিস্তানের এই কাপুরুষোচিত হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনারা।
ভারতের যোগ্য জবাব, পাকিস্তানের বিমান হামলা ব্যর্থ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী জম্মু অঞ্চলে আর্টিলারি শেলিং শুরু করে, যার ফলস্বরূপ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী কার্যকরভাবে পাল্টা আক্রমণ চালায়।
নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, পাকিস্তান আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার লক্ষ্য ছিল জম্মু বেসামরিক বিমানবন্দর, সাম্বা, আরএস পুরা, আর্নিয়া, আখনুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা। তবে, অত্যাধুনিক এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে এই সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, উন্নত প্রযুক্তির সমন্বিত মোতায়েনের মাধ্যমে এই হুমকিগুলিকে মাঝপথেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এবং এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্র আরও জানিয়েছে, "আমরা এই ধরনের একটি চেষ্টার বিষয়ে অবগত ছিলাম এবং পাকিস্তানের দিক থেকে আসা এই হুমকিগুলি মোকাবিলা করার জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ছিলাম। পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল, তবে আমরা পাকিস্তান থেকে আসা সমস্ত হুমকিকে নিষ্ক্রিয় করেছি। এ পর্যন্ত আটটি প্রজেক্টাইল, যার বেশিরভাগই ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা গুলি করে নামানো হয়েছে।"
এছাড়াও, কুপওয়াড়া, উধমপুর এবং পাঠানকোটের বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেও আর্টিলারি শেলিং-এর খবর পাওয়া গেছে। পার্শ্ববর্তী সমস্ত এলাকাও হামলার শিকার হয়েছে।
এই হামলার দ্রুত প্রতিক্রিয়ায়, ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্যবস্তুগুলিকে চিহ্নিত করে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আকাশপথে হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছে। জম্মু বিভাগের আখনুর এবং কিশ্তওয়ারে এই সাইরেন শোনা গেছে এবং সেখানে সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়েছে।
সিএনএন-নিউজ১৮ জানতে পেরেছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার পরে, জম্মু শহর জুড়ে ইন্টারনেট এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
জম্মু অঞ্চলে বিমান হামলার পর, পাকিস্তান শ্রীনগরেও হামলা চালায়, যার ফলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। পাকিস্তানের এই কাপুরুষোচিত হামলা আবারও তাদের সন্ত্রাসী মানসিকতা এবং ভারতের বিরুদ্ধে তাদের বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবকে স্পষ্ট করে তোলে। তবে, ভারতের সাহসী এবং সুপ্রশিক্ষিত সেনারা তাদের প্রতিটি হামলার যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত।
======================
ভারত সাফল্যের সঙ্গে পাকিস্তানের কাপুরুষোচিত হামলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। গতকাল রাতে পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে, ভারতের শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে তাদের এই প্রচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
এই হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে ছিল উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি যেমন - অবন্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাতিন্দা, চণ্ডীগড়, নল, ফালোদি, উত্তরালাই এবং ভুজের মতো স্থান। কিন্তু ভারতের ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই হুমকিগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।
হামলার পর বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে, যা পাকিস্তানের হামলার স্পষ্ট প্রমাণ। ভারতীয় বিমান বাহিনীর অত্যাধুনিক এস-৪০০ সুদর্শন চক্র আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রও গত রাতে ভারতের দিকে আসা লক্ষ্যবস্তুগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে এবং একাধিক বিশেষজ্ঞের মতে, সেগুলি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে সরকারের আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ এখনও আসেনি।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আজ সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে এয়ার ডিফেন্স রাডার এবং সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, লাহোরে অবস্থিত একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভারতীয় হামলায় সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় বাহিনী রাডার বিধ্বংসী হার্পি ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে টার্গেট করেছে। এই ড্রোন বিশেষভাবে শত্রু পক্ষের রাডার সিস্টেম ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং এটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম।
এর আগে, বুধবার ভোরে ভারত 'অপারেশন সিন্দুর' চালায়, যেখানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থাকা নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিকে নির্ভুল হামলার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়। এই অভিযানে শতাধিক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে বলে খবর। গত ২২শে এপ্রিল পাহালগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার বদলা নিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল।
ভারতের এই নির্ভুল হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘাঁটিগুলির মধ্যে চারটি ছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এবং পাঁচটি পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (PoJK)।
এদিকে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিনা প্ররোচনায় মর্টার এবং ভারী কামান থেকে গোলাবর্ষণের তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে। তাদের এই হামলায় ১৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, যার মধ্যে তিনজন মহিলা ও পাঁচজন শিশুও রয়েছে। পাকিস্তানের এই আগ্রাসী কার্যকলাপের জবাব দিতে বাধ্য হয়েছে ভারত এবং তাদের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, তারা উত্তেজনা প্রশমনে বদ্ধপরিকর, তবে পাকিস্তানকেও সেই মনোভাব দেখাতে হবে।
ভারতের এই সফল প্রতিরোধ এবং পাল্টা হামলা একদিকে যেমন দেশের সামরিক সক্ষমতার প্রমাণ দেয়, তেমনই অন্যদিকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে কঠোর বার্তা পাঠায়। ভারত সর্বদা শান্তির পক্ষে, কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষা করতে তারা যে কোনও পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না, তা এই ঘটনায় স্পষ্ট।
0 মন্তব্যসমূহ