আকাশ এখন আমাদের মুঠোয়! পাক ক্ষেপণাস্ত্র গুঁড়িয়ে ভারতের হুঙ্কার
মানুষের ভাষা
দেশজুড়ে আজ একটাই খবর, একটাই আলোচনা! ভারত দেখিয়ে দিল, তাদের আকাশসীমা অভেদ্য, দুর্ভেদ্য! পাকিস্তানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ড্রোনের ঝাঁককে নিমেষে ধূলিসাৎ করে ভারত আজ সুস্পষ্ট বার্তা দিল - "আকাশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে!"
গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের আকাশে পাকিস্তানের আনাগোনা করা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের দুটি বড়সড় হামলাকে ভারতীয় বিমান বাহিনী সাফল্যের সঙ্গে প্রতিহত করেছে। আর এই সাফল্যের পরই দেশের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুধু শত্রুদের হামলা রুখতেই সক্ষম নয়, বরং আকাশসীমার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতেও সিদ্ধহস্ত।
সূত্রের খবর, এই কড়া বার্তা শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতের দিকে কুনজর দেওয়া যেকোনো অশুভ শক্তিকেই দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক রাডার, জ্যামিং প্রযুক্তি এবং আকাশেই শত্রুদের ধ্বংস করার ক্ষমতা - এই ত্রিমুখী সুরক্ষা বলয় ভারতের আকাশকে করেছে ইস্পাতের মতো কঠিন।
Today India's Air Defence System has shown Mind-blowing Performance.
— Bidyut Biswas (@BidyutBiswasLTI) May 8, 2025
The S-400 "Sudarshan Chakra"
Has Neutralized All the Drone & Missile From Pakistan
Last time such a view we saw was from Israel's Iron Drone defense
More Power To India's Defence System #IndiaPakistanWar… pic.twitter.com/BxGOiRgtrS
ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ই মে গভীর রাতে। ভারত যখন 'অপারেশন সিন্দুর'-এর মাধ্যমে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থাকা নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের দিক থেকে প্রথম হামলাটি আসে। ১৫টি ভারতীয় শহরের কাছাকাছি থাকা সামরিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসে। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা, বিশেষত ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার-আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেম (সি-ইউএএস) নেটওয়ার্ক সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাঝ আকাশেই আটকে দেয়। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের তৈরি 'হার্পি' ড্রোন পাল্টা আক্রমণ করে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দেয়।
তবে এখানেই শেষ নয়। কয়েক ঘণ্টা পর আবারও হামলা চালায় পাকিস্তান। কিন্তু এবারও তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ইসরায়েলের বিখ্যাত 'আয়রন ডোম'-এর সমতুল্য, সেই হামলাকেও মাটি ধরিয়ে ছাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হামলাগুলি যেভাবে প্রতিহত করা হয়েছে, তাতেই প্রমাণ হয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা কতটা শক্তিশালী এবং নিখুঁত। একটিও পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি। সরকারের তড়িৎ এবং সুসংহত পদক্ষেপের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ভারত যে পাল্টা আক্রমণ করে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করতে পেরেছে, তা পাকিস্তানকে আরও একটি আকাশপথে হামলার জন্য অরক্ষিত করে তুলেছে। প্রথম দফার হামলার সময় লাহোরে চীনের সরবরাহ করা অত্যাধুনিক HQ-9 আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটটিও নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাশিয়ার তৈরি S-400 ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে, যা বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়। নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৮ সালে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে এই পাঁচটি ইউনিট কেনার আদেশ দিয়েছিল। ইতিমধ্যেই তিনটি ইউনিট এসে গেছে এবং পাকিস্তান ও চীন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। বাকি দুটি ইউনিট ২০২৬ সালের মধ্যে আসার কথা।
এছাড়াও, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন-বিধ্বংসী প্রযুক্তিও এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রায়শই ইসরায়েলের 'আয়রন ডোম'-এর সঙ্গে তুলনা করা হয়, যা পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধে হামাস এবং হিজবুল্লাহর রকেট হামলা থেকে তেল আবিবকে রক্ষা করেছিল।
সরকার 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেছে। কিভাবে ভারতীয় বাহিনী নির্ভুল নিশানায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিকে ধ্বংস করেছে, তা আবারও দেশের সক্ষমতাকে প্রমাণ করে। মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে অত্যাধুনিক SCALP দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং HAMMER স্মার্ট বোমা সহ মোট ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল এই অভিযানে।
'অপারেশন সিন্দুর'-এ 'লোইটারিং অ্যামুনিশন'-এর ব্যবহারও দেখা গেছে। এই বিশেষ ধরনের বিস্ফোরক প্রথমে আকাশে ঘোরাফেরা করে, তারপর লক্ষ্যবস্তু নিশ্চিত করে নির্ভুল আঘাত হানে।
সূত্রের খবর, শত্রুদের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনকে কার্যকরভাবে প্রতিহত করা এবং ভারতের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্রগুলির নির্ভুল আঘাত করার ক্ষমতা প্রমাণ করে যে ভারত এখন শুধু তার আকাশসীমা রক্ষা করতে সক্ষম নয়, বরং সম্পূর্ণভাবে তা নিয়ন্ত্রণও করে। এই সাফল্যের পর দেশজুড়ে গর্বের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর এই দক্ষতা বিশ্ব মঞ্চে ভারতের সম্মান আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
Tags
#ভারত #পাকিস্তান #আকাশপ্রতিরক্ষা #ক্ষেপণাস্ত্রহামলা #ড্রোনহামলা #অপারেশনসিন্দুর #নিয়ন্ত্রণরেখা #নিরাপত্তা #বিমানবাহিনী #আকাশসীমা #যুদ্ধ #সন্ত্রাসবাদ #জম্মুওকাশ্মীর #রাজস্থান #পাঞ্জাব #আকাশক্ষেপণাস্ত্র #এস৪০০ #আয়রনডোম #হ্যামার #স্কাল্প #লোইটারিংঅ্যামুনিশন
0 মন্তব্যসমূহ