সুহাস শেট্টি হত্যাকাণ্ডে অশান্ত গোটা ম্যাঙ্গালুরুতে হাই আলার্ট জারি – কে ছিলেন সুহাস শেট্টি?
প্রতিবেদক: Manusher Bhasha Desk
ম্যানগুলুরু আবারও উত্তেজনায় থরথর করে কেঁপে উঠলো। ফাজিল হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত এবং বজরং দল-এর প্রাক্তন সদস্য সুহাস শেট্টিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল অজ্ঞাত হামলাকারী। এই হত্যাকাণ্ড দক্ষিণ কন্নড় জেলায় ব্যাপক অসন্তোষ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করেছে, এবং রাজনৈতিক নেতারা কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন।
কিভাবে খুন হলেন সুহাস শেট্টি?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টা ২৭ মিনিটে কিন্নিপাদাভু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সুহাস শেট্টি তখন পাঁচজন সহযাত্রীর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন। হঠাৎ দুটি গাড়ি তাদের পথ রোধ করে। এরপর ৫-৬ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বেপরোয়া হামলা চালায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এ. জে. হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি।
ঘটনার পর বাজপে থানায় মামলা রুজু হয়েছে এবং দোষীদের ধরতে বিশেষ পুলিশ টিম গঠন করা হয়েছে।
কে ছিলেন সুহাস শেট্টি?
#WATCH | Mangaluru, Karnataka: A rowdy-sheeter, Suhas Shetty, who was associated with Bajrang Dal and was also the main accused in the 2022 Fazil murder case, was hacked to death by a group of assailants last night
— ANI (@ANI) May 2, 2025
Mangaluru City North BJP MLA Y Bharat Shetty says, "This is a… pic.twitter.com/wFcGsdl5Fc
৪২ বছর বয়সী সুহাস শেট্টি কর্ণাটকের উপকূলীয় রাজনীতির এক বিতর্কিত মুখ। তাঁর নামে দক্ষিণ কন্নড় ও ম্যানগুলুরু শহরে মোট ৫টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তিনি বজরং দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন একসময়।
২০২২ সালে ২৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ ফাজিল হত্যাকাণ্ডে তাঁর নাম উঠে আসে মূল অভিযুক্ত হিসেবে। এই ঘটনা ঘটে বিজেপি যুবনেতা প্রবীণ নেট্টারুর হত্যার মাত্র দুই দিন পর, এবং সেটিকে পাল্টা প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখা হয়। ফলে তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপকূলীয় কর্ণাটকে।
১৪৪ ধারা ও পরিবহন বন্ধ
সুহাস শেট্টির হত্যাকাণ্ডের পর, ম্যানগুলুরু শহরের পুলিশ কমিশনার অনুপম আগরওয়াল ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNS) এর ১৬৩ ধারায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এর আওতায় জনসমাবেশ, প্রতিবাদ এবং উসকানিমূলক বক্তব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৬ মে পর্যন্ত।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনগুলো শুক্রবার জেলা জুড়ে বনধ আহ্বান করে। হামপানকাট্টা, সুরথকাল, উল্লাল ও পুত্তুরসহ একাধিক এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। কেএসআরটিসি ও প্রাইভেট বাসে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় শহরতলির পরিবহন ব্যবস্থা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। সংবেদনশীল এলাকায় মদ বিক্রিও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ