Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

Boycot Bangladsh : বেইমানি ও ঔদ্ধত্বের বদলা ভারতের : বাংলাদেশী জামাকাপড় , খাবার নিষিদ্ধ - বিরাট ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ

 বেইমানি ও ঔদ্ধত্বের বদলা ভারতের 

ইউনূসের ঔদ্ধত্যের চরম মাশুল! উত্তর-পূর্বের স্থলবন্দরগুলিতে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশে ভারতের কঠোর নিষেধাজ্ঞা 



মানুষের ভাষা , ওয়েব ডেস্ক, 

[[ বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৯৩ শতাংশ পূর্বে এই স্থলপথগুলির মাধ্যমেই ভারতে প্রবেশ করত। প্রতি বছর প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক ভারতে রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ। এই নতুন নিয়ন্ত্রণের ফলে তাদের আরএমজি সেক্টর মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে ]]

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিতর্কিত এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের কড়া জবাব দিল ভারত। নয়াদিল্লি আজ এক তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) এবং অন্যান্য পণ্যের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থলবন্দরগুলি – আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম – এবং পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি ও চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে প্রবেশে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।



সম্প্রতি চীনে এক বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে "সমুদ্রপথে প্রবেশাধিকারবিহীন স্থলবেষ্টিত অঞ্চল" বলে অভিহিত করেছিলেন। এই মন্তব্য কূটনৈতিক স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা এটিকে অঞ্চলের সংযোগ এবং মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।



এই নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশকে তাদের রপ্তানি পণ্য – যার মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক (আরএমজি), প্লাস্টিক, মেলামাইন, আসবাবপত্র, জুস, কার্বোনেটেড পানীয়, বেকারি আইটেম, মিষ্টান্ন এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য – হয় পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর অথবা মহারাষ্ট্রের নোভা শেভা বন্দরের মাধ্যমে পাঠাতে বাধ্য করা হবে। এর ফলে তাদের পরিবহন খরচ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।



উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৯৩ শতাংশ পূর্বে এই স্থলপথগুলির মাধ্যমেই ভারতে প্রবেশ করত। প্রতি বছর প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক ভারতে রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ। এই নতুন নিয়ন্ত্রণের ফলে তাদের আরএমজি সেক্টর মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।


ভারতীয় কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপকে "ন্যায্য বাণিজ্য" নিশ্চিত করার দিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বের বাজারে অবাধ প্রবেশাধিকার ভোগ করে, অথচ ভারতীয় রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা আরোপ করে। কর্মকর্তারা আরও উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য প্রতি টন প্রতি কিলোমিটার ১.৮ টাকা চার্জ করে, যা তাদের অভ্যন্তরীণ হার ০.৮ টাকার দ্বিগুণেরও বেশি।


এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় এক কর্মকর্তা বলেন, "বাংলাদেশ পারস্পরিক সুবিধা ছাড়া বাজারের প্রবেশাধিকার আশা করতে পারে না। বহু বছর ধরে ভারত সমান সুবিধা ছাড়াই ছাড় দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করবে।"


সূত্র মারফত জানা গেছে, বাংলাদেশ এখনও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির সীমান্তবর্তী আইসিপিগুলিতে ভারতীয় রপ্তানির উপর বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে। বাংলাদেশের অযৌক্তিকভাবে উচ্চ এবং অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর ট্রানজিট চার্জ আরোপের কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির শিল্প বৃদ্ধি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, যা কার্যত ভারতীয় পশ্চাৎভূমিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বের প্রবেশাধিকার অস্বীকার করার শামিল।


এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে বড় ধরনের disruption সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা তাদের খরচ বৃদ্ধি করবে এবং বাজারের প্রবেশাধিকার সীমিত করবে। একই সাথে, এটি ভারতীয় উৎপাদকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে। মুহাম্মদ ইউনূসের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশ যে চরম মাশুল গুনতে চলেছে, ভারতের এই পদক্ষেপ তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code