Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

অপারেশন সিন্দুর বিতর্কে তীব্র বাক-বিতণ্ডা সংসদে: কতগুলি রাফাল বিমান ভেঙে পড়েছে ? জানতে চান গৌরব গগৈ। " ২০ বছর ওই সিট এই বসে থাকবেন " পাল্টা অমিত শাহর।

 


মানুষের ভাষা ওয়েবডেস্ক 

নয়াদিল্লি, ২৮ জুলাই: লোকসভায় আজ তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয় ‘অপারেশন সিন্দুর’ এবং পাহলগাম সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে, যেখানে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন—"ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান কি ভেঙে পড়েছিল ?"

গগৈ বলেন, “ভারতের কাছে মাত্র ৩৫টি রাফাল আছে। যদি তার মধ্যে কিছু নষ্ট হয়, তবে এটি একটি বড় ক্ষতি। সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহানের একটি সাক্ষাৎকারে জানানো হয়েছিল যে, প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতের ক্ষতি হয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পাহলগাম হামলার ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত সরকার জানাতে পারেনি, অপরাধীরা কোথায়? কতজন শত্রু নিহত হয়েছে, কতজন পালিয়ে গেছে? জনগণ জানতে চায়, আমাদের কতটি ফাইটার জেট ধ্বংস হয়েছে?”

এর উত্তরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “এই প্রশ্নে জাতীয় মনোভাব প্রতিফলিত হয় না। তাঁরা জিজ্ঞেস করছেন আমাদের কতটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে, কিন্তু জিজ্ঞেস করছেন না আমরা শত্রুর কতগুলি বিমান ধ্বংস করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “অপারেশন সিন্দুর সফল হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে, শত্রু পক্ষের বিমান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং আমাদের একজন সৈনিকও হতাহত হননি।”

অমিত শাহের পাল্টা আক্রমণ

এই বিতর্কে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সরব হন। তিনি বলেন, “আপনারা নিজেদের বিদেশি নেতাদের কথা বিশ্বাস করেন, কিন্তু নিজেদের দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করেন না। এজন্যই আগামী ২০ বছর আপনারা বিরোধী বেঞ্চেই বসে থাকবেন।”

গগৈর মোদীকে প্রশ্ন

গৌরব গগৈ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনি তো বারবার বলেছেন ‘ঘরে ঢুকে মারা হয়েছে’, তাহলে এখন বলছেন অপারেশন অসম্পূর্ণ। পাকিস্তান যদি কুপোকাত ছিল, তাহলে আমরা থামলাম কেন? কাকে দেখে আপনি মাথা নত করলেন?”

তিনি আরও বলেন, “আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৬ বার বলেছেন, তিনি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামাতে হস্তক্ষেপ করেছেন। তাহলে আমাদের কতগুলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে? একটি বিমানই কোটি কোটি টাকার, জনগণ সত্য জানতে চায়।”

জয়শঙ্করের প্রতিবাদ

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “২২ এপ্রিল থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে কোনও ফোনালাপ হয়নি। ট্রাম্পের দাবি ভিত্তিহীন এবং ভারত সরকার তা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।”


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code