Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

India-Pakistan War Update: Moody's-এর সতর্কবার্তা, যুদ্ধ করার মতো টাকা নেই পাকিস্তানের



Manusher Bhasha Webdesk

কাশ্মীরের পাহেলগাঁও-এ ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৮ জন, বেশিরভাগই পর্যটক, মারা যাওয়ার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আবার বাড়ছে চরম উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থা Moody's দিল এক বিস্ফোরক সতর্কবার্তা—যেটি  পাকিস্তানের জন্য হতে পারে এক অর্থনৈতিক মৃত্যুবার্তা।


"পাকিস্তানের পক্ষে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ চালানো আর্থিকভাবে অসম্ভব!" — স্পষ্ট এই মন্তব্য করেছে Moody's-এর বিশ্লেষকেরা। যদিও পাকিস্তান সামরিক শক্তি দেখাতে ব্যস্ত, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে একের পর এক, কিন্তু অর্থনীতি বলছে—তাদের কাঁধে যুদ্ধের ভার বহন করার মতো শক্তি নেই।


অন্যদিকে, ভারত রয়েছে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অবস্থানে। তার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে বিশাল $688 বিলিয়নে, যেখানে পাকিস্তানের রিজার্ভ সবে মাত্র $15 বিলিয়ন ছুঁই ছুঁই। এই তফাৎ শুধু পরিসংখ্যানের খেলা নয়—এটা এক অর্থনৈতিক সত্য, যা যুদ্ধের ঝুঁকিকে পাকিস্তানের জন্য আরও ভয়ঙ্কর করে তুলছে।


Moody's জানায়, যদি সামরিক উত্তেজনা আরও বাড়ে—বিশেষ করে যদি সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়—তাহলে পাকিস্তানের সামান্য যে আর্থিক ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিল, তা একেবারে ভেঙে পড়বে। দেশটি IMF-এর $7 বিলিয়ন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির অংশ হলেও, এখনও $1.3 বিলিয়ন ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স লোনের জন্য বোর্ড অনুমোদনের অপেক্ষায়। তবু, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিপরায়ণতা বারবার এই অর্থনৈতিক সংস্কারকে রুখে দিয়েছে।


পাকিস্তান বর্তমানে $131 বিলিয়নেরও বেশি বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত। এখন যদি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেন, তাহলেই পাকিস্তান অর্থনীতির শ্মশানে পৌঁছে যাবে। অথচ, এই মুহূর্তে যুদ্ধ বা সামরিক উত্তেজনা তাদের জন্য একেবারেই অনুচিত।


ভারত ইতিমধ্যেই স্থগিত করেছে ১৯৬০ সালের ইন্দাস জল চুক্তি, যা পাকিস্তানের কৃষি নির্ভর এলাকাগুলিতে বিশাল প্রভাব ফেলবে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বন্ধ করেছে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি, আকাশপথ করেছে নিষিদ্ধ, কূটনৈতিক সম্পর্ক নামিয়ে এনেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।  

 

এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনে গোটা অঞ্চল এখন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। **Moody's** এখন অফিসিয়ালি তাদের রিপোর্টে বলেছে—**“Localized Military Action”** অর্থাৎ সীমান্ত সংঘর্ষের আশঙ্কা বেড়েছে বহুগুণ। এবং যদি তা দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে পাকিস্তানের জন্য সেটা হবে অর্থনৈতিক আত্মহননের নামান্তর।


অন্যদিকে, ভারতের পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ২০২৪ সালে ছিল মোট রপ্তানির ০.৫ শতাংশেরও কম—অর্থাৎ ভারতের অর্থনীতি এই সংঘাতে তেমন প্রভাবিত হবে না। তবে **Moody's** সতর্ক করেছে, অতিরিক্ত সামরিক খরচ ভারতের ফিসকাল ব্যালেন্সে চাপ ফেলতে পারে।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code