Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

Operation Sindoor : India attack Lahore : ভারতের ভয়ঙ্কর ড্রোন আক্রমণে ধ্বংস লাহোর - পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ | India-Pakistan War

ভারতের ড্রোন ভয়ঙ্কর আক্রমণে ধ্বংস লাহোর - পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ




নয়াদিল্লি: ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার নিশ্চিত করেছে যে, আজ সকালে লাহোরে অবস্থিত একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। অপারেশন সিন্ধুর আওতায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের একাধিক স্থানে বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং সিস্টেমকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালায়। লাহোরে অবস্থিত HQ-9 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি নির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং তা সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

Download Official Press Release By PIB 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, "পাকিস্তান যেভাবে অকারণে ভারতে হামলা চালিয়েছে, ভারতও ঠিক একই মাত্রার জবাব দিয়েছে।" তিনি আরও জানান, লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC) বরাবর পাকিস্তানের তরফে ক্রমাগত মর্টার এবং ভারী ক্যালিবার আর্টিলারি ব্যবহার করে হামলা চালানো হচ্ছে। কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি, পুঞ্চ, মেন্দার এবং রাজৌরি জেলাগুলি পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৭-৮ মে, ২০২৫ তারিখের রাতে পাকিস্তান ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করে ড্রোন এবং মিসাইল হামলা চালায়। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলো উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, যার মধ্যে রয়েছে আওয়ান্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফলোদি, উত্তরলাই এবং ভুজ।


ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ড্রোন ও মিসাইল হামলাগুলি ভারতীয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। পাকিস্তানের হামলার ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া গেছে, যা পাকিস্তানের আক্রমণের প্রমাণ।


পাকিস্তানের পক্ষ থেকে চালানো গোলাবর্ষণে ভারতে মোট ১৬ জন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন নারী এবং পাঁচজন শিশু রয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।


প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, "ভারত বাধ্য হয়েছে জবাবি হামলা চালাতে যাতে পাকিস্তানের মর্টার ও আর্টিলারি হামলা বন্ধ করা যায়। অপারেশন সিন্ধুর মাধ্যমে ভারত দেখিয়ে দিয়েছে যে, সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়স্থলগুলিকে ধ্বংস করতে ভারত পিছপা হবে না।"

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ভারতের অপারেশন সিন্ধুর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "এটি কাপুরুষোচিত আক্রমণ। পাকিস্তান যথাযথ জবাব দেবে। শত্রু তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে না।"


অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অপারেশনের সময় সরাসরি নজরদারি করেন। তিনি বলেছেন, "ভারত কখনো সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করবে না। আমরা প্রতিটি আক্রমণের জবাব দেবো।"


অপারেশন সিন্ধুর মাধ্যমে ভারত আবারও প্রমাণ করেছে যে, তার সামরিক সক্ষমতা ও কৌশলগত পরিকল্পনা যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষকে জবাব দিতে সক্ষম।


পাকিস্তানের চীনা HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভারতের সামরিক শক্তির সামনে ব্যর্থ

নয়াদিল্লি: সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের চীনা HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভারতের অত্যাধুনিক সামরিক কৌশলের সামনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় রাফাল, সুখোই, ব্রহ্মোস এবং S-400 এর মতো আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চূর্ণবিচূর্ণ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, 'চীনা পণ্য'র গ্ল্যামার শুধু বাহ্যিক চাকচিক্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

HQ-9: চীনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভরসা

পাকিস্তান, চীনের সহায়তায় HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম স্থাপন করেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে স্পষ্ট হয়েছে যে, এই সিস্টেম ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে সম্পূর্ণ অসহায়। ২২ এপ্রিল ২০২৫-এ জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাম এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরকার কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়। পাকিস্তান আশঙ্কা করেছিল যে, ভারত পাল্টা সামরিক আক্রমণ করতে পারে। এ কারণেই পাকিস্তান তার সীমান্ত এলাকায় HQ-9 সিস্টেম মোতায়েন করেছিল।

তবে ভারতীয় সামরিক বাহিনী অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ব্যর্থ করে দেয়। রাফাল ও সুখোই যুদ্ধবিমানগুলি পাকিস্তানি সীমান্তে প্রবেশ করে টার্গেটগুলিকে চিহ্নিত করে। এরপর ব্রহ্মোস মিসাইলের সাহায্যে সুনির্দিষ্ট স্থানে আঘাত হানা হয়। এদিকে ভারতীয় S-400 সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানের HQ-9 সিস্টেমকে ব্যর্থ প্রমাণ করে।

পাহেলগাম হামলার প্রতিশোধে 'অপারেশন সিন্ধুর'

২২ এপ্রিল ২০২৫-এর পাহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ ভারতীয় নিহত হয়। এর প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সামরিক বাহিনী 'অপারেশন সিন্ধুর' পরিচালনা করে। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট আক্রমণ চালানো হয়।

HQ-9-এর সীমাবদ্ধতা

HQ-9 সিস্টেমটি চীনের তৈরি একটি দীর্ঘপাল্লার মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে এটি ভারতীয় S-400 সিস্টেমের তুলনায় যথেষ্ট কম ক্ষমতাসম্পন্ন। ভারতীয় সামরিক বাহিনী আরও আধুনিক প্রযুক্তি ও নির্ভুল টার্গেটিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে HQ-9 সিস্টেমকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, "আমরা HQ-9-এর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখেছিলাম। কিন্তু ভারতীয় সামরিক প্রযুক্তির সামনে এটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।"

চীনা পণ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

এই ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, চীনা সামরিক প্রযুক্তির উপর নির্ভরযোগ্যতা কতটা? পাকিস্তান শুধু HQ-9 নয়, বরং চীনের তৈরি J-10 যুদ্ধবিমানও ব্যবহার করে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিযানে এসব অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতের অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তির সামনে ব্যর্থ হয়েছে।

সাম্প্রতিক সংঘাত এবং ভবিষ্যতের সামরিক চ্যালেঞ্জ

পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় বাহিনীর এই অভিযানে প্রমাণিত হয়েছে যে, ভারতের সামরিক কৌশল ও প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে রয়েছে। পাকিস্তান চীনা সামরিক প্রযুক্তির উপর নির্ভর করলেও, ভারতের রাফাল, সুখোই, ব্রহ্মোস ও S-400 সিস্টেমের ক্ষমতা তা নিঃসন্দেহে অতিক্রম করেছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে ভারত তার সামরিক বাহিনীকে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও কৌশলে সজ্জিত করার পরিকল্পনা করছে।


প্রচণ্ড গোলাগুলি এবং প্রাণহানি

'অপারেশন সিন্ধুর' পরবর্তী দিনেই পাকিস্তান এলওসি বরাবর ব্যাপক গোলাগুলি চালায়। পাকিস্তানি গোলাবর্ষণে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। আহত হন ৫৯ জন, যার মধ্যে ৪৪ জনই পুঞ্চ জেলার বাসিন্দা। পাকিস্তান বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে হামলা চালায়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী শৈলেশ কুমার জানান, "আমরা প্রচণ্ড গোলাগুলির মধ্যে রাতভর পালিয়েছিলাম। আমার বাড়ির পাশেই দুটি গোলা এসে পড়ে। ঘরের জানালা ও দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। পুরো গ্রাম ছেড়ে আমরা পালিয়ে গিয়েছিলাম।"

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, 'অপারেশন সিন্ধুর' পর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে হামলা চালিয়েছে। কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি ও আখনুর সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।


সবদলীয় বৈঠকে কংগ্রেসের সমর্থন

অপারেশন সিন্ধুর পর, বৃহস্পতিবার ভারতের সংসদে অনুষ্ঠিত সবদলীয় বৈঠকে কংগ্রেস দল কেন্দ্রকে পূর্ণ সমর্থন জানায়। তবে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী কি নিজেকে সংসদের উপরে ভাবছেন?" খাড়গে আরও জানান, "দেশের স্বার্থে আমরা কেন্দ্রের পাশে রয়েছি। তবে, এই সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি ছিল।"

এদিকে, বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, 'অপারেশন সিন্ধুর' ছিল অত্যন্ত নির্ভুল এবং সীমিত আকারের প্রতিশোধমূলক হামলা। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তবে, কোনো বেসামরিক স্থাপনা বা অর্থনৈতিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code