"পাকিস্তানের সাথে যদি কথা হয় , তবে তা শুধুই হবে POK ফিরত নেওয়ার বিষয়ে " মালয়েশিয়ায় গর্জে উঠলেন অভিষেক ব্যানার্জী

 

মানুষের ভাষা ওয়েবডেস্ক 

কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া:  ভারতের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং কাশ্মীর প্রশ্নে আবারও দৃঢ় অবস্থান নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য অভিষেক ব্যানার্জী। এক সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে তাঁর ভাষণে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন— পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনাই হবে শুধুমাত্র পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoJK) পুনরুদ্ধার নিয়ে, তাতে কোনো দলীয় ভেদাভেদ নেই, আছে শুধু দেশপ্রেম।

 “আমি তৃণমূলের সাংসদ, কিন্তু এখানে আমি ভারতের প্রতিনিধি”—অভিষেক

নিজ দলের সীমা ছাড়িয়ে তিনি বললেন,

“আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হতে পারি, কিন্তু এই মঞ্চে আমি শুধুই ভারতবাসী। দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমি এবং আমার দল দলীয় স্বার্থ ছেড়ে ভারতের পাশে দাঁড়াই।”

এই বক্তব্যে তিনি শুধু তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নয়, দেখালেন এক জন দেশপ্রেমিক নেতার অসাধারণ সাহস ও নেতৃত্বের উদাহরণ। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে ভারতের স্বার্থে সকলকে একসাথে এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন তিনি।

অভিষেক ব্যানার্জী বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে যদি আলোচনা করতেই হয়, তবে তা একটিমাত্র বিষয়ে হওয়া উচিত — পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত আনা। তা না হলে এই সন্ত্রাস, হামলা ও হিংসার চক্র কখনও থামবে না।”

তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ভারতের বিমান হানায় নিহত জঙ্গিদের জানাজায় অংশ নিচ্ছেন পাকিস্তান সেনার জেনারেলরা। সেইসব ছবিই প্রমাণ, যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন করে।

অভিষেক ব্যানার্জী প্রবাসীদের প্রতি একটি  আবেদন রাখেন: “যখন আপনারা ভারতে আসবেন, অন্তত ৩-৪ দিন অতিরিক্ত কাশ্মীরের জন্য রাখুন। ওখানে ঘুরুন, কেনাকাটা করুন, কাশ্মীরকে বাঁচান। পাকিস্তান চায় আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস হোক, আমরা বরং কাশ্মীরকে বিকশিত করি।”

অপারেশন সিন্ধুর পর ভারত সরকারের এক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল গঠিত হয়েছে। নেতৃত্বে রয়েছেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূল সহ বিভিন্ন দলের সাংসদরা। এর আগে দলটি ইতিমধ্যেই ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং সিঙ্গাপুর সফর করেছে।

যেখানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেক নেতা রাজনৈতিক পরিচয়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকেন, সেখানে অভিষেক ব্যানার্জীর মতো একজন তরুণ নেতা দেশের স্বার্থে নিজের দলীয় পরিচয় ভুলে গিয়ে ভারতের পতাকা তুলে ধরেছেন। তাঁর বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও দেশনায়কের চিহ্ন।

ভারত এখন তাঁর মতো নেতৃত্বকেই খোঁজে — যিনি দেশের স্বার্থে রাজনীতি নয়, হৃদয়ে বহন করেন জাতির সম্মান।