Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

আবার মুখ পুড়লো পাকিস্তানের , 'ইসলামী সংহতি'-র দোহাই কে পাত্তাও দিলোনা মালয়েশিয়া। স্বসম্মানে বৈঠক সম্পন্ন ভারতের প্রতিনিধি দলের



 মানুষের ভাষা ওয়েবডেস্ক 

ভারতের কূটনৈতিক মহলে বড়ো জয় ও পাকিস্তানের জন্য বড়সড় পরাজয়—এমনটাই উঠে এলো মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সাম্প্রতিক ঘটনায়। সূত্র মারফত জানা গেছে, মালয়েশিয়া সফররত ভারতীয় সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফর বাতিল করতে পাকিস্তান মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও, মালয়েশিয়া তাদের দাবিকে সাফ প্রত্যাখ্যান করেছে।

পাকিস্তান মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সমস্ত অনুষ্ঠানে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে খবর। তারা ‘ইসলামিক সংহতি’র দোহাই দিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলে, যাতে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের কর্মসূচি বানচাল করা যায়। তবে মালয়েশিয়া এই চাপের কাছে নত হয়নি। বরং, ভারতের প্রতিনিধি দলকে পূর্ণ সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে।

এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন জেডিইউ-র সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি, ব্রিজ লাল, প্রদন বরুয়া ও হেমাং যোশী, তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএম-এর জন ব্রিটাস, কংগ্রেস নেতা সলমান খুরশিদ এবং প্রাক্তন কূটনীতিক মোহন কুমার।

ভারতীয় এই প্রতিনিধি দল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশ—জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর সফর করেছে। সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের জঙ্গি-সমর্থনের তথ্য তুলে ধরা এবং ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন সিন্দুর’ সম্পর্কে এই দেশগুলিকে অবহিত করা।


 ভারতের বার্তা

সফরের শেষে প্রতিনিধিদলের নেতা সঞ্জয় ঝা বলেন, “আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। ভারত সরকার যে দায়িত্ব আমাদের দিয়েছিল, তা আমরা অনেকটাই সফলভাবে পালন করেছি।”

বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গিও বলেন, “১৩ দিন ধরে পাঁচটি দেশ ঘুরে অনেক সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছি। আমাদের সফরের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। এখন আমরা মাতৃভূমির দিকে রওনা দিচ্ছি।”


 ভারত-মালয়েশিয়া সম্পর্ক মজবুত, পাকিস্তানের কৌশল ব্যর্থ

এই ঘটনাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির আরেকটি নিদর্শন। পাকিস্তান যেখানে ধর্মীয় সংহতির নামে কাশ্মীর ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে চেয়েছে, সেখানে মালয়েশিয়া বেছে নিয়েছে কূটনৈতিক বাস্তবতা ও আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষ।

এই ঘটনাকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ভারতের জন্য একটি কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন, যেখানে ইসলামাবাদের ‘সফট পাওয়ার’ প্রয়াস কার্যত ভেঙে পড়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code