Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

মহাপ্রভুর অপমান, সনাতনীরা মেনে নেবে না : দিঘা জগন্নাথ মন্দির বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর

 মহাপ্রভুর অপমান, সনাতনীরা মেনে নেবে না: দিঘা জগন্নাথ মন্দির বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর



মানুষের ভাষা: ৬ মে, ২০২৫ | উৎস: ANI

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ):

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে "জগন্নাথ ধাম" বলে উল্লেখ করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি একে “মহাপ্রভুর অপমান” বলে আখ্যা দেন এবং বলেন, এই স্থাপনাটি আসলে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মন্দির নয়।


সোমবার ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন—

“এটি জগন্নাথ মন্দির নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মিথ্যা তথ্য ছড়াবেন না। সরকারী অর্থে— ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে এটি নির্মাণ হয়েছে। টেন্ডার এবং কাজের আদেশে স্পষ্টভাবে লেখা আছে এটি মন্দির নয়, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মহাপ্রভুর অপমান করা হয়েছে। আমি নিজেও মহাপ্রভুর ভক্ত, এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই অপমান সহ্য করবে না।”


এর আগে ৫ মে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং দিঘার জগন্নাথ মন্দির— উভয়কেই সম্মান জানানোর গুরুত্বের কথা বলেন।


মিডিয়াকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন—

“আমরা পুরীর মন্দিরকেও সম্মান করি, দিঘার জগন্নাথ ধামকেও সম্মান করি। কালী মন্দির এবং গুরুদ্বারা সারা দেশে রয়েছে। মন্দির তো সব জায়গাতেই রয়েছে। তাহলে এই ইস্যুতে এত ক্ষোভ কেন?”

তবে “জগন্নাথ ধাম” শব্দটি ঐতিহ্যগতভাবে ওডিশার পুরীর দ্বাদশ শতাব্দীর জগন্নাথ মন্দিরের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। এই প্রসঙ্গে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান সেবায়েত দইতাপতি ভবানি দাস মহাপাত্র বলেন—

“পবিত্র শাস্ত্রমতে চারটি ধামই স্বীকৃত— রামেশ্বরম, বদ্রীনাথ, দ্বারকা ও জগন্নাথ ধাম। এগুলোর বাইরে কোনো স্থানকে 'ধাম' বলা যায় না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যা করেছেন, তা অপরাধ। আমরা নাম 'ধাম' তুলে নিতে অনুরোধ করবো। অহংকারে তাঁরা কাউকে না জানিয়ে মূর্তি স্থাপন করে এটিকে ‘ধাম’ বলেছেন। এটা রাজনৈতিক স্টান্ট। তাঁরা জানেন, এবার বাংলায় জিতবেন না।”


মন্দিরে পুরীর পবিত্র নিম কাঠের মূর্তি ব্যবহারের অভিযোগও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, দিঘার মূর্তিগুলো মার্বেলের তৈরি।

উল্লেখ্য, ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মন্দিরটি ২০ একর জমিতে তৈরি হয়েছে এবং ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে উদ্বোধন করা হয়। মন্দিরটির স্থাপত্য পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে অনুপ্রাণিত, এবং তাতে একই দেবতাদের প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।


ট্যাগস:

#শুভেন্দু_অধিকারী #মমতা_বন্দ্যোপাধ্যায় #জগন্নাথ_ধাম #দিঘা_মন্দির #বিজেপি #সনাতন #পুরী #রাজনীতি


আপনার মতামত কী? আপনি কি মনে করেন ‘জগন্নাথ ধাম’ নামে দিঘার মন্দিরকে ডাকা উচিত?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code