Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

পাকিস্তানি ISI গুপ্তচর : চমকে দেওয়া তথ্য ! ব্যবসায়ী থেকে ইউটিউবার, ছাত্র থেকে দিনমজুর - ১৩ জন গ্রেফতার #Jyoti Malhotra arrest

ভারতের গোয়েন্দা জালে ISI-এর গুপ্তচর নেটওয়ার্ক: ব্যবসায়ী থেকে ইউটিউবার, ছাত্র থেকে দিনমজুর - ১৩ জন গ্রেফতার


মানুষের ভাষা , ওয়েব ডেস্ক , বিশেষ প্রতিবেদন :

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত তীব্র হওয়ার পর, ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো একটি সুসংগঠিত গুপ্তচর নেটওয়ার্কের রহস্য উন্মোচন করেছে। এই নেটওয়ার্কটি পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI)-এর নির্দেশে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় ছিল। এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন একজন ব্যবসায়ী, একজন ইউটিউবার, একজন ছাত্র এবং বেশ কয়েকজন দিনমজুর। এদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি, সীমান্তপারের চোরাচালান এবং শত্রু দেশের কার্যক্রমে সহায়তার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই নেটওয়ার্ক সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ ও হস্তান্তরের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং জেলের কয়েদিদের ব্যবহার করত, যার বিনিময়ে কিছু ব্যক্তি আর্থিক সুবিধা লাভ করত। এই ঘটনাটি ভারতের জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে এক বড় চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দিচ্ছে।


গোয়েন্দা তৎপরতা এবং গ্রেফতার অভিযান:

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো একটি সমন্বিত অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন রাজ্যে পরিচালিত এই অভিযানে ISI-এর বিস্তৃত গুপ্তচর নেটওয়ার্কের পর্দা উন্মোচিত হয়। এই অভিযানগুলি কেবল একটি বা দুটি নির্দিষ্ট ঘটনার ওপর সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সমগ্র নেটওয়ার্কের মূল ধরে টান দিয়েছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ - এর মধ্যে রয়েছে দেশের স্পর্শকাতর তথ্য পাচার, সীমান্তপারের চোরাচালানে সহায়তা, এবং সরাসরি শত্রু দেশের কার্যক্রমে অংশ নেওয়া। এ পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা এই নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি এবং গভীরতা প্রমাণ করে।


বিভিন্ন পেশার আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তি:


১. শাহজাদ, ব্যবসায়ী:

১৯ মে উত্তরপ্রদেশের একজন ব্যবসায়ী শাহজাদকে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গ্রেফতার করে। অভিযোগ, তিনি অবৈধ সীমান্ত বাণিজ্য এবং গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসটিএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, শাহজাদ গত বেশ কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান থেকে প্রসাধনী, মশলা, পোশাক এবং অন্যান্য সামগ্রীর চোরাচালানে লিপ্ত ছিলেন। এই অবৈধ ব্যবসাকে তিনি গুপ্তচরবৃত্তির আড়ালে ব্যবহার করতেন।


তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শাহজাদ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের কাছে পাচার করতেন। আরও জানা গেছে, তিনি ISI অপারেটিভদের ভারতীয় সিম কার্ড এবং অর্থ সরবরাহ করতেন। শুধু তাই নয়, রামপুর এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ISI মিশনের জন্য নিয়োগে তিনি সহায়তা করতেন। ISI এজেন্টরা এই ব্যক্তিদের ভিসার ব্যবস্থাও করত বলে অভিযোগ। শাহজাদের গ্রেফতারী এই নেটওয়ার্কের আর্থিক এবং লজিস্টিক সাপোর্টের একটি বড় অংশকে উন্মোচন করেছে।


২. জ্যোতি মালহোত্রা, ইউটিউবার:

হরিয়ানার বাসিন্দা জ্যোতি মালহোত্রা, একজন জনপ্রিয় ট্র্যাভেল ব্লগার এবং ইউটিউবার, যিনি ইউটিউবে ৩.৭ লক্ষের বেশি সাবস্ক্রাইবার এবং ইনস্টাগ্রামে ১.৩ লক্ষের বেশি ফলোয়ারের অধিকারী, তাকে হিসারের সিভিল লাইনস পুলিশ পাকিস্তান-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। তার ইউটিউব চ্যানেলের নাম "Travel with JO"।


নিরাপত্তা সংস্থার সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, মালহোত্রাকে এর আগে একজন পাকিস্তানি কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা গেছে এবং পরবর্তীতে ভারতীয় সরকার তাকে 'পার্সোনা নন গ্রাটা' (Persona non grata) ঘোষণা করেছিল। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মালহোত্রা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে জড়িত ছিলেন। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঠিক আগে তাকে সেখানে দেখা গিয়েছিল বলেও অভিযোগ। এই তথ্যগুলো তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তাকে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করার এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। এবিপি আনন্দ সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুধু জ্যোতি নয়, আরও অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে, যা এই নেটওয়ার্কের গভীরতার ইঙ্গিত দেয়।


৩. দেবেন্দ্র সিং ধিল্লো, ছাত্র:

কাটিহারের একজন স্নাতকোত্তর ছাত্র দেবেন্দ্র সিং ধিল্লোকে ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোর উপর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে inicialmente বন্দুকের ছবি ফেসবুকে আপলোড করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই বন্দুক মামলার তদন্তের সময়ই পুলিশ তার প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলোর উপর গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়টি উন্মোচন করে। তদন্তকারীদের মতে, ধিল্লো পাতিয়ালা এয়ার ফোর্স স্টেশন সম্পর্কিত সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। কর্তৃপক্ষ তার স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলিট হওয়া ডেটা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে, যদিও তার ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল থেকে ইতিমধ্যেই আপত্তিকর প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন ছাত্রের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্ষতিকারক প্রভাবের ইঙ্গিত দেয়।


৪. মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি: মুর্তাজা আলীর গ্রেফতার:

গুজরাট পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাঞ্জাবের জালন্ধর থেকে মোহাম্মদ মুর্তাজা আলীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তিনি নিজেই একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে তার মাধ্যমে ISI-কে তথ্য পাচার করতেন। তল্লাশির সময় কর্মকর্তাদের হাতে চারটি মোবাইল ফোন এবং তিনটি সিম কার্ড আসে। তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, আলী তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির যোগাযোগকে আরও সহজ করে তুলেছিলেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে গুপ্তচরবৃত্তির এই নতুন কৌশল নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।


পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে আরও গ্রেফতার:

গোয়েন্দা অভিযান কেবল নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। পাঞ্জাবে একই ধরনের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গাজালা এবং ইয়ামিন মোহাম্মদ নামে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


হরিয়ানা পুলিশ মেওয়াটের তোরু গ্রামের কাঙ্গারকা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ তারীফকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানের হাই কমিশনের দুই কর্মকর্তা আসিফ বালুচ এবং জাফর-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তিনি ভারতীয় সিম কার্ড পেতে সাহায্য করতেন এবং সামরিক ও অন্যান্য সংস্থা সম্পর্কিত সংবেদনশীল তথ্য তাদের সঙ্গে শেয়ার করতেন। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এই তথ্য ISI এবং পাকিস্তানে PIO হ্যান্ডলারদের কাছে পৌঁছে দিতেন। তারীফ স্বীকার করেছেন যে, এই কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তিনি অর্থ এবং অন্যান্য সুবিধা পেতেন।


১৬ মে হরিয়ানার নূহ থেকে আরমান (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উচ্চ উত্তেজনার সময় তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করেছিলেন। পুলিশ দাবি করেছে যে তার জড়িত থাকার দৃঢ় প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।


পানিপথের একজন নিরাপত্তা কর্মী এবং উত্তরপ্রদেশের আদি বাসিন্দা নওমান ইলাহি (২৪)-কে ISI হ্যান্ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার এবং তার শ্যালকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।


অমৃতসরের দিনমজুররাও ISI-এর জালে:

পাঞ্জাব পুলিশ অমৃতসর থেকে পলক শের মাসিহ এবং সুরজ মাসিহ নামে দুই দিনমজুরকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তারা সংবেদনশীল সামরিক তথ্য পাচার করতেন। এই দু'জনের মাদক সেবনের ইতিহাস থাকলেও তাদের কোনো পূর্ববর্তী অপরাধ রেকর্ড নেই। জানা গেছে, তারা অমৃতসর সেন্ট্রাল জেলের কয়েদি হরপ্রীত সিং-এর মাধ্যমে ISI-এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছিল।


এসএসপি মনিন্দর সিং (অমৃতসর রুরাল) এর মতে, অভিযুক্তরা তথ্য পাচারের বিনিময়ে অর্থ পেত – ছোটখাটো আপডেটের জন্য ৫,০০০ টাকা এবং সেনা চলাচলের মতো আরও সংবেদনশীল তথ্যের জন্য ১০,০০০ টাকা। সিং আরও জানান, অভিযুক্তরা এর আগে মাদক বাহক হিসেবে কাজ করত এবং পরে গুপ্তচরবৃত্তির দিকে ঝুঁকেছিল। পুলিশ এই মামলায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট-এর ধারা প্রয়োগ করেছে এবং তদন্তের সময় আরডিএক্স সহ বিস্ফোরক উপাদান উদ্ধার করেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, এই নেটওয়ার্ক শুধু তথ্য পাচার নয়, নাশকতামূলক কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত ছিল।


পাঞ্জাবের ডিজিপি গৌরব যাদব ১৯ মে টুইট করে জানান, সুখপ্রীত সিং এবং করণবীর সিং নামে আরও দু'জনকে পাঞ্জাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, তারা অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কিত গোপনীয় বিবরণ, যার মধ্যে পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সেনা চলাচল এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল – সেগুলি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর সঙ্গে শেয়ার করেছিল। এই সর্বশেষ গ্রেফতারের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ১৩-তে পৌঁছেছে।


অপারেশন সিন্দুর এবং গুপ্তচরবৃত্তি:

উল্লেখযোগ্যভাবে, অপারেশন সিন্দুর, যা গত ২২ এপ্রিল পাহেলগামে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ৭ মে চালু করা হয়েছিল, সেই অপারেশনের সংবেদনশীল তথ্যও ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে। এই অপারেশনটি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছিল। এই অপারেশনের তথ্য ফাঁস হওয়া প্রমাণ করে যে, এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কটি ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পদক্ষেপগুলির উপরও নজর রাখছিল।


ISI-এর কৌশল এবং ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রতিক্রিয়া:

এই ঘটনাপ্রবাহ ISI-এর বহুমুখী গুপ্তচরবৃত্তির কৌশলকে উন্মোচন করেছে। তারা কেবল সামরিক বা সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করছে না, বরং ব্যবসায়ী, জনপ্রিয় ইউটিউবার, ছাত্র এবং এমনকি দিনমজুরদের মতো সাধারণ মানুষকেও তাদের নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত করছে। এর কারণ সম্ভবত এই যে, এই ধরনের ব্যক্তিরা সহজে সন্দেহের বাইরে থাকতে পারে এবং তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের তথ্য সংগ্রহ করা সহজ। মোবাইল অ্যাপের ব্যবহার এবং জেলের কয়েদিদের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন ISI-এর প্রযুক্তিগত এবং সাংগঠনিক দক্ষতারও ইঙ্গিত দেয়।


তবে, ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দ্রুত এবং সমন্বিত পদক্ষেপ এই নেটওয়ার্ককে অকার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে। এই গ্রেফতার অভিযানগুলি প্রমাণ করে যে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ISI-এর এই ধরনের গোপন কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত এবং তাদের মোকাবিলায় প্রস্তুত। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট-এর প্রয়োগও ইঙ্গিত দেয় যে, ভারত এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।


জাতীয় সুরক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং সচেতনতার প্রয়োজন:

এই ঘটনাটি ভারতের জাতীয় সুরক্ষার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কেবল সীমান্ত সুরক্ষা নয়, বরং দেশের অভ্যন্তরে এই ধরনের গুপ্তচর নেটওয়ার্কের উপস্থিতি গুরুতর উদ্বেগের কারণ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, মোবাইল অ্যাপ এবং সাধারণ মানুষের প্রলুব্ধ হওয়া এই ধরনের গুপ্তচরবৃত্তির সহজ মাধ্যম হয়ে উঠছে।


এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। অজানা উৎস থেকে আসা সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক না করা, অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার না করা, এবং সামাজিক মাধ্যমে সন্দেহজনক কার্যক্রমের প্রতি নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও এই ধরনের গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে জানাতে হবে।


ISI-এর গুপ্তচর নেটওয়ার্কের উন্মোচন এবং ১৩ জনের গ্রেফতার ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি বড় সাফল্য। এটি কেবল দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিই নয়, বরং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, ভারতের বিরুদ্ধে শত্রু দেশের প্রচ্ছন্ন হুমকি সব সময়ই বিদ্যমান এবং এর মোকাবিলায় নিরন্তর সতর্কতা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। এই ধরনের অভিযানগুলি দেশের সুরক্ষায় নিযুক্ত সকলের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।

(এএনআই এবং এবিপি আনন্দ সংবাদ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অবলম্বনে)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code