৭ই মে দেশজুড়ে যুদ্ধ-প্রস্তুতির মহড়া, উত্তরবঙ্গে বিশেষ নজর
সাইরেন বাজবে, নিভে যাবে আলো। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মহড়ায় অংশ নিচ্ছে গোটা দেশ। জনগণকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কিভাবে প্রতিরক্ষা করতে হবে, সেই বিষয়ে সচেতন করতে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার, ৭ই মে দেশজুড়ে মক ড্রিল বা মহড়ার আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
রাজস্থান, গুজরাত, পঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরের সীমানা এলাকায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলবে এই মহড়া। পশ্চিমবঙ্গেও চলছে প্রস্তুতি। রাজ্যের মোট ৩০টি এলাকায় মহড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গে দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব—কারণ বিভিন্ন সময়ে উত্তরবঙ্গ অঞ্চল সন্ত্রাসবাদীদের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাই সতর্কতা ও প্রস্তুতির জন্য এই অঞ্চলে জোর দেওয়া হচ্ছে।
কোথায় কোথায় চলবে মহড়া?
উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট, ফারাক্কা-তে মক ড্রিল চলবে। এছাড়াও, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুর্গাপুর, হলদিয়া, খড়গপুর, আসানসোল, হাসিমারা, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা-সহ রাজ্যের একাধিক অঞ্চলে হবে মহড়া।
কী কী হবে এই মহড়ায়?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, মোট ২৮৮টি এলাকায় এই মহড়া হবে। অংশ নেবে NCC ক্যাডেটরাও।
বাজবে এয়ার সাইরেন।
স্কুল, অফিস এবং কমিউনিটি সেন্টারে যুদ্ধকালীন ওয়ার্কশপ হবে।
আক্রমণ হলে নিকটবর্তী আশ্রয়স্থলে কীভাবে পৌঁছতে হবে, তা শেখানো হবে।
শেখানো হবে প্রাথমিক চিকিৎসার কৌশল।
মিলিটারি বেস, পাওয়ার প্লান্ট বা গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলিকে ঢেকে দেওয়া হবে যাতে স্যাটেলাইট নজরদারিতে ধরা না পড়ে।
ব্ল্যাকআউট হলে কী করবেন?
কলকাতাতেও চলবে বিশেষ মহড়া। ব্ল্যাকআউট হলে নাগরিকরা কীভাবে চলাফেরা করবেন, কোথায় আশ্রয় নেবেন, জরুরি মুহূর্তে কাকে ফোন করবেন—এইসব বিষয়ে ড্রিলের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য, মানুষকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রস্তুত রাখা, এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও দৃঢ় করা।
দেশের এই অভাবনীয় উদ্যোগে সাধারণ নাগরিকের অংশগ্রহণ যেমন জরুরি, তেমনি সতর্ক থাকা এবং নিয়ম মেনে চলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0 মন্তব্যসমূহ