Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

Operation Sindoor is on : আসিফ মুনিরের বাহিনী যদি আর একটা ভুল যদি করে ....ভারত প্রস্তুত প্রত্যক্ষ প্রত্যাঘাতে

অপারেশন সিন্দুর কি এবার সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে? আসিফ মুনিরের সেনাবাহিনী কি ভুল করেছে? ভারত কি সরাসরি পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে?



মানুষের ভাষা: 

সন্ত্রাসীদের ভাষায় কথা বলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যেন নিজেদের মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ভারতের সংকেত স্পষ্ট: যদি অপারেশন সিন্দুরে অস্থায়ী বিরতি তুলে নিতে হয়, তাহলে শত্রু রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।

পাকিস্তানের কাছে শেষ সুযোগ!

পাহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (POK)-এ 'অপারেশন সিন্দুর' শুরু করেছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ও তাদের নেতাদের পাশাপাশি সন্ত্রাসী শিবিরগুলোকে ধ্বংস করা। ভারত তাই করেছে এবং এতে তারা অনেক বড় সাফল্যও পেয়েছে। কিন্তু, এখন যদি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হয়, তাহলে ভারত আরও বড় পদক্ষেপ নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং পাকিস্তানি ফৌজের নতুন কার্যকলাপ থেকে এর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের দৃঢ় সংকল্প থেকে স্পষ্ট মনে হচ্ছে যে, যদি আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়, তাহলে কোনো শক্তিই শত্রু দেশকে ধ্বংস হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না।

সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সরকার জড়িত

ভারত এখন প্রকাশ্যে বলছে যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে পাকিস্তানি সরকার জড়িত এবং তাদের সেনাবাহিনী এতে পুরোপুরি নিমজ্জিত। গত সপ্তাহে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেদারল্যান্ডস সফরে ছিলেন। সেখানে তিনি একটি ডাচ সংবাদপত্র 'De Volkskrant'-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন, যা পাকিস্তানকে নিয়ে বিশ্বের চোখের বাঁধা পট্টি খুলতে পারে। এই সাক্ষাৎকারে তাঁকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানকে 'সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র' বলার তাঁর মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এর উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, "আমি পরামর্শ দিচ্ছি না… আমি এটা বলছি।" তিনি আরও বলেন, "ধরে নিন আমস্টারডামের মাঝখানে সামরিক কেন্দ্র আছে, যেখানে হাজার হাজার লোক সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য জড়ো হয়। আপনি কি বলবেন যে আপনার সরকার এই সম্পর্কে কিছুই জানে না?" জয়শঙ্কর বলেন, জাতিসংঘের তালিকায় থাকা সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে অবাধে ঘোরাফেরা করে, সবার তাদের ঠিকানা এবং কার্যকলাপ জানা। সুতরাং, 'পাকিস্তান কিছুই জানে না' এটা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। বিদেশমন্ত্রী এর পাশাপাশি স্পষ্ট করে দেন যে, "অতএব, এটি ভান করা ঠিক নয় যে পাকিস্তান এতে জড়িত নয়। সত্য তো হলো, পাকিস্তানি সরকার এতে জড়িত। সেনাবাহিনী সম্পূর্ণরূপে এতে নিমজ্জিত।"


সন্ত্রাসবাদের আড়াল থেকে মুনিরের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী উন্মোচিত

জয়শঙ্কর নেদারল্যান্ডসে যা বলেছেন, তার সত্যতা স্বয়ং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীই প্রমাণ করে দিয়েছে। পাকিস্তানি ফৌজের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, "তুমি আমাদের পানি বন্ধ করে দেবে, আমরা তোমার শ্বাস বন্ধ করে দেব।" পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এই ক্ষোভ সিন্ধু জল চুক্তিতে বিরতি দেওয়ার কারণে। কিন্তু, এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো, এই ধরনের কথা পাকিস্তানি ফৌজের বড় কর্মকর্তারা বলছেন, কিন্তু এর শব্দগুলো লস্কর-ই-তৈবার প্রধান এবং মুম্বাই হামলার মূল হোতা হাফিজ সাঈদ তৈরি করেছেন। কারণ, হাফিজ সাঈদ এর আগেও এই ধরনের হুমকি দিয়েছিল, যেখানে সে বলেছিল, 'তুমি যদি আমাদের পানি বন্ধ করো, তাহলে আমরা তোমার শ্বাস বন্ধ করব। নদীতে রক্ত ​​বইবে।'


এখন কি সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হবে অপারেশন সিন্দুর?

১০ মে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ডিজিএমও-র পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিজিএমও-কে করা অনুরোধের ভিত্তিতে যখন ভারত অপারেশন সিন্দুরে অস্থায়ী বিরতি দিতে সম্মত হয়, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্য থেকে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হয়। পরে ট্রাম্প নিজেই তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেন। এর পর বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বিকানিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই বক্তব্য সামনে আসে, যা কেবল পাকিস্তানি সরকার ও তার ফৌজের জন্য সরাসরি বার্তা নয়, বরং যারা তাদের আর্বাব হওয়ার চেষ্টা করে, তাদেরও ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ভারত পাকিস্তান-স্পনসরড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার নীতি প্রয়োগ থেকে পিছু হটবে না। তাঁর ইঙ্গিত ছিল সেইসব আন্তর্জাতিক শক্তির দিকে, যারা পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি নিয়ে চিন্তিত থাকে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "এটা ভারতের সংকল্প এবং পৃথিবীর কোনো শক্তিই এটাকে টলাতে পারবে না।" তিনি প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীকে সরাসরি সতর্ক করে বলেন যে, ভারত পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের ভয়ে ভীত হবে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে, ভারত সন্ত্রাসের ইস্যুতে কোনো চাপের মধ্যে আসবে না। ভারত তার নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে। ভারতের এই নীতি স্পষ্ট এবং এতে কোনো পরিবর্তন হবে না।


সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে যেখানেই থাকুক, সেখানেই মারা হবে

উপরে জয়শঙ্করের যে নতুন সাক্ষাৎকারের কথা বলা হয়েছে, তার আগে তিনি ডাচ পাবলিক ব্রডকাস্টার NOS-কেও একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। এতে তিনি আবার এই কথাটি এগিয়ে নিয়ে যান যে, অপারেশন সিন্দুর এখনও চলছে। এখানে তিনি বলেন, "অপারেশন এই জন্য চলছে, কারণ এর মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা আছে যে, যদি ২২ এপ্রিলের মতো হামলা হয়, তাহলে জবাব দেওয়া হবে এবং আমরা সন্ত্রাসীদের মারব.....।" এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, "সন্ত্রাসীরা যদি পাকিস্তানে থাকে, তাহলে তাদের আমরা সেখানেই মারব। সুতরাং, অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার একটি বার্তা আছে....এখন, যুদ্ধ এবং সামরিক অভিযান নিয়ে সম্মতি হয়েছে।" যদি এই চারটি দিক বিবেচনা করা হয়, তাহলে পাকিস্তানের পরিণতি খুব ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। যদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিজেদের জনগণের কাছে মান-সম্মান বাঁচাতে লম্বা-লম্বা মুখের মিসাইল ছাড়ছে, তাহলে তা ঠিক আছে। কিন্তু, যদি ভুল করে পাহেলগাঁওয়ের মতো অপরাধ করে বসে, তাহলে .....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code