মানুষের ভাষা ওয়েবডেস্ক
সম্প্রতি সংঘটিত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) অপারেশন ‘সিন্দুর’ পরিচালনা করে পাকিস্তানের উপর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই অভিযানে পাকিস্তান বায়ুসেনার ৬টি যুদ্ধবিমান, ১টি নজরদারি চালানো AEW&C বিমান, একটি C-130 পরিবহন বিমান, কয়েকশোর বেশি ড্রোন অথবা UCAV (Unmanned Combat Aerial Vehicle) , এবং একাধিক মিসাইল ধ্বংস করা হয়েছে।
IAF-এর সূত্র অনুযায়ী, এই অভিযানে পাকিস্তান বায়ুসেনার ছয়টি যুদ্ধবিমান আকাশেই ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও, প্রায় ৩০০ কিমি দূরে একটি AEW&C (Airborne Early Warning and Control) বিমানকে ভারতীয় ‘সুদর্শন’ লং-রেঞ্জ স্ট্রাইক সিস্টেম দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
আরো পড়ুন : সেনাপ্রধানের বিস্ফোরক ঘোষণা -পাকিস্তান ৪৮ ঘন্টা লড়তে চেয়েছিল , কিন্তু ৮ ঘন্টাতেই আত্মসমর্পন করে দিলো
বোলারি এয়ারবেসে পরিচালিত ক্রুজ মিসাইল স্ট্রাইকে আরও একটি AEWC বিমান ধ্বংস হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তানিরা এই এয়ারবেসের ধ্বংসাবশেষ এখনো সরায়নি, ফলে হ্যাঙ্গারে থাকা যুদ্ধবিমানের ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা যায়নি।
এই সংঘর্ষে ভারতীয় বায়ুসেনা চীনা প্রযুক্তির উইং লুং সিরিজের বহু MALE (Medium Altitude Long Endurance) ড্রোনকে ধ্বংস করেছে। এর পাশাপাশি, ১০টিরও বেশি UCAV ধ্বংস করা হয়েছে ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে। পাকিস্তান থেকে নিক্ষিপ্ত বেশ কয়েকটি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক মিসাইলও ভারতীয় বায়ুসেনা সফলভাবে প্রতিরোধ করেছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলে পরিচালিত একটি ড্রোন স্ট্রাইকে একটি C-130 পরিবহন বিমান ধ্বংস করা হয়। এই অভিযানগুলিতে শুধুমাত্র এয়ার -টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে; ব্রহ্মোস বা অন্য কোনো স্যাটেলাইট-গাইডেড মিসাইল ব্যবহৃত হয়নি বলে জানা গেছে।
এই সামরিক উত্তেজনা শুরু হয় ৬-৭ মে রাত থেকে, যখন ভারতের পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে অবস্থিত ‘সন্ত্রাসবাদী বিশ্ববিদ্যালয়’ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। সংঘর্ষ চলে ১০ মে পর্যন্ত, যখন পাকিস্তান পক্ষ থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রবল আক্রমণের কারণে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানানো হয়।
বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনা সংঘর্ষকালে সংগৃহীত বিপুল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করছে। প্রাপ্ত তথ্যে স্পষ্ট, পাকিস্তান এই সংঘর্ষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং IAF-এর নির্ভুল কৌশল ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগে ভারত প্রাধান্য দেখিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ