‘হিন্দুস্থানে হিন্দুদেরই হত্যা করবে?’: পহেলগাম হামলার শহিদ পরিবারদের পাশে শুভেন্দু অধিকারী, দাবি করলেন ‘ইসরায়েল স্টাইল’ প্রতিশোধের
প্রবীর রায় চৌধুরী | মানুষের ভাষা |
পহেলগাম হামলার নির্মমতার রক্তচিহ্ন এখনও শুকোয়নি। জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনস্থল পহেলগামে জঙ্গিদের হাতে নিহত হয়েছেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার দুই বাসিন্দা – বিতান অধিকারী ও সামীর গুহ। নিহতদের মরদেহ বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়।
কেন্দ্র সরকারকে ‘ইসরায়েল স্টাইল’ প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান
এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী নিহতদের পরিবারদের সঙ্গে দেখা করে শোকপ্রকাশ করেন এবং কেন্দ্র সরকারকে ‘ইসরায়েল স্টাইল’ প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান জানান।
अत्यंत भारी मन से मैंने कोलकाता के नेताजी सुभाष चंद्र बोस अंतरराष्ट्रीय हवाई अड्डे के कार्गो होल्ड क्षेत्र में, पहलगाम में पाकिस्तान समर्थित आतंकवादियों की गोली से बेरहमी से मारे गए पश्चिम बंगाल के मेरे सहनागरिक; श्री समीर गुहा और श्री बितान अधिकारी को श्रद्धांजलि अर्पित की।
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) April 23, 2025
मैं… pic.twitter.com/QiZNXS1dao
‘ভারতে হিন্দুদের হত্যা করবে?’ — এই বলেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অধিকারী। তিনি বলেন, “আমি তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং এই দুঃখের সময়ে সমবেদনা জানিয়েছি। শুনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি, শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে জঙ্গিরা তাঁদের ওপর এভাবে হামলা চালিয়েছে।”
এক হৃদয়বিদারক ভিডিওতে এক বিধ্বস্ত মহিলা অধিকারীকে জানান, “তারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল আমি কি মুসলিম? আমি কি কালমা বলতে পারি? আমি না বলাতে ওরা ওকে (স্বামীকে) গুলি করে মেরে দেয়। আমার সন্তানের সামনেই ওর বাবাকে মেরে দিল।”
এর শেষ আমরা দেখবই, এই সন্ত্রাসবাদকে শেষ করব
এর জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভারতে হিন্দুদেরই হত্যা করবে? যেমন ইসরায়েল গাজাকে শেষ করেছে, তেমনি আমরাও এই সন্ত্রাসবাদকে শেষ করব। আমরা মোদীর ছাত্র। চিন্তা করবেন না, আমি আপনার সন্তানের দেখভাল করব, আপনার পাশে থাকব। এর শেষ আমরা দেখবই।”
এছাড়াও কলকাতার বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম, ও বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। তাঁরা শহিদদের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, এই জঘন্য হামলাটি ঘটেছিল পহেলগামের বৈসারান উপত্যকায়, যেখানে বহু পর্যটক ভিড় করেছিলেন। সেখানেই হঠাৎ করে সশস্ত্র জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ২৬ জন, আহত হন আরও অনেকে।
শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে, পহেলগাম হামলার পরে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে তাঁরা দ্রুত, কার্যকর এবং শক্তিশালী পদক্ষেপের প্রত্যাশায় রয়েছেন।