কঠোর প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতিতে মোদী – চাই চরম প্রতিশোধ, দাবি গোটা দেশের
কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ পাহেলগাম শহর রক্তাক্ত হল হিন্দুদের রক্তে। গতকাল সন্ধ্যায়, বেসরকারি পর্যটক গাড়িতে করে বায়সারান ঘুরে ফিরছিলেন কিছু হিন্দু তীর্থযাত্রী। সেই সময় আচমকা মুখোশধারী সশস্ত্র জঙ্গিরা ঘিরে ফেলে গাড়িটিকে। গাড়ির চালক এবং পর্যটকদের নাম, ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করার পরই শুরু হয় নির্বিচারে গুলি – শুধু এই কারণে যে তাঁরা হিন্দু!
এই বর্বর, কাপুরুষোচিত হামলায় 26 জনেরও বেশি হিন্দু প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন বহুজন। কাশ্মীরকে পর্যটনের মাধ্যমে শান্তির পথে ফেরানোর স্বপ্নে বড় ধাক্কা। কিন্তু এই ঘটনার পর আর চুপ করে থাকার সময় নেই – জেগে উঠেছে গোটা ভারত।
“কঠোর প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতিতে মোদী – চাই চরম প্রতিশোধ”
এই ঘটনার পরই সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে সক্রিয় করা হয়েছে। ‘নতুন ভারত’ এখন আর শুধু কাঁদে না – প্রতিশোধ নিতে জানে।
দেশবাসীর কণ্ঠে একটাই সুর – চাই চরম প্রতিশোধ। হিন্দুদের রক্তের দাম দিতে হবে। ভারতবর্ষ আর ১৯৪৭ বা 1990 নয়, এখন মোদীর নেতৃত্বে আত্মবিশ্বাসী, সাহসী, এবং জাতীয়তাবাদী।
পশ্চিমবঙ্গ: হিন্দুরা কি নিজেদের রাজ্যেই নিরাপদ?
একদিকে কাশ্মীরে জঙ্গিরা হিন্দুদের নিশানা করছে, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গেও হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে। রামনবমী মিছিল হোক কিংবা দুর্গাপুজোর বিসর্জন – কোথাও না কোথাও বাধা আসছে। মন্দিরে আক্রমণ, হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া, প্রশাসনের নিরবতা – এই চিত্র আজ বাংলার।
প্রশ্ন উঠছে – কাশ্মীরে জঙ্গি, আর বাংলায় কি পরোক্ষ জিহাদ চলছে? কেন হিন্দুরা নিজেদের দেশেই বারবার ভুক্তভোগী?
শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিবাদ – “হিন্দুদের হত্যায় বিভেদ করে না কেউ, তবে আমরা কেন বিভক্ত থাকবো?”
এই হামলার পর পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন X-এ। তিনি লিখেছেন:
“যখন উগ্রপন্থীরা কোনো বিভেদ করে না হিন্দুদের মধ্যে, তখন আমরা কেনো জাত-পাত, ভাষা, আঞ্চলিক জাত্যভিমান, প্রাদেশিক পরিচিতি, খাদ্যাভ্যাস, সংস্কার, সংস্কৃতি, উদারপন্থা, মধ্যপন্থা, দক্ষিণপন্থা ইত্যাদি শ্রেণীতে বিভক্ত থাকবো?
সময় এসেছে বোঝার:-
নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান,
মুছে ফেলো সীমারেখা, সব ব্যবধান, উপলব্ধি করো সব হিন্দুরাই এক সমান।
পহেলগাঁওয়ের উপত্যকায় কোনো বাঙালি, ওড়িয়া, মারাঠী, কন্নড়, হরিয়ানভি, তামিল, মালায়ালি... কে হত্যা করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছে হিন্দুদের।
কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশ, একটাই লক্ষ্য; হিন্দুদের বেছে বেছে করতে হবে শেষ।
যখন হিন্দুদের বিরুদ্ধে শত অপকর্ম,
তখন ধর্মই হোক আমাদের একমাত্র বর্ম।
সময় এসেছে বোঝার তাই,
ভণিতা ছেড়ে বলো – 'হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই'।”
দেশ আজ একজোট – মোদীই ভরসা
এই ঘটনার পর গোটা দেশ একজোট। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে #HinduLivesMatter, #AvangePahalgamAttack, #ModiTakeAction ট্রেন্ড।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কণ্ঠে প্রতিজ্ঞা – “রক্তের বদলে রক্ত।”
এইবার আর শুধু নিন্দা নয় – প্রত্যাঘাত চাই। ভারতের নতুন শত্রুদের বুঝিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে – হিন্দু মানেই দুর্বল নয়। আর বাংলার মানুষও বলছেন – “বাংলায় মোদী আসুক, হিন্দুদের রক্ষা করুক।”
0 মন্তব্যসমূহ