Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

শ্রী নীলকণ্ঠ স্তোত্রম Shri Neelkanth Stotram in Bengali ( श्री नीलकंठ स्तोत्रम ) সর্ববাধা নাশক মহাশক্তিশালী শিব স্তোত্রম



Image- Wallpaper Cave

শ্রী নীলকণ্ঠ স্তোত্রম 

Shri Neelkanth Stotram in Bengali ( श्री नीलकंठ स्तोत्रम )



নীলকণ্ঠ স্তোত্র কোনো সাধারণ স্তোত্র নয়, এটি মহাদেবের অত্যন্ত শক্তিশালী ও রুদ্র রূপের আরাধনা। তাই এটি পাঠের ক্ষেত্রে কিছুটা নিষ্ঠা আর নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োজন। একজন সাধারণ ভক্ত হিসেবে আমি যেভাবে এর নিয়মগুলো দেখে আসছি, তা নিচে সহজভাবে সাজিয়ে দিলাম।

নীলকণ্ঠ স্তোত্র পাঠের নিয়ম :

এই স্তোত্রটি পাঠ করার সময় মনের শুদ্ধতা সবথেকে বড় বিষয়। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

  • সময় ও কাল: প্রতিদিন ভোরবেলা (ব্রহ্মমুহূর্ত) বা সন্ধ্যার সময় এটি পাঠ করা সবথেকে ভালো। তবে বিশেষ কোনো বিপদে পড়লে বা শারীরিক অসুস্থতা থাকলে যে কোনো সময় ভক্তিভরে পাঠ করা যায়। সোমবার বা অমাবস্যা/পূর্ণিমা তিথিতে পাঠ করলে ফল দ্রুত পাওয়া যায়।

  • আসন ও দিক: স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড় পরে উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে বসুন। কুশাসন বা কম্বলের আসন ব্যবহার করা ভালো।

  • দীপের ব্যবহার: সামনে একটি ঘিয়ের প্রদীপ বা তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালান। মহাদেবের রুদ্র রূপের আরাধনায় প্রদীপের শিখা শক্তির প্রতীক।

  • সংকল্প: পাঠ শুরু করার আগে হাতে সামান্য জল নিয়ে নিজের নাম, গোত্র এবং মনের ইচ্ছার কথা মহাদেবকে জানান (একে সংকল্প বলে)। এরপর জলটি মাটিতে ছেড়ে দিন।

  • উচ্চারণ: এই স্তোত্রে "হুঁ ফাট" বা "ছিন্ধি ছিন্ধি"র মতো কিছু তান্ত্রিক শব্দ আছে। এগুলো খুব অস্ফুট স্বরে না বলে একটু স্পষ্ট ও গম্ভীর স্বরে উচ্চারণ করবেন। এতে চারপাশের নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

  • অভিষেক (ঐচ্ছিক): সম্ভব হলে পাঠ করার সময় শিবলিঙ্গে জল বা দুধ অর্পণ করতে পারেন।


এই স্তোত্র পাঠের বিশেষ উপকারিতা (Benefits in Detail)

এই স্তোত্রটিকে এক প্রকার 'রক্ষাকবচ' বলা হয়। এর উপকারিতাগুলো সত্যিই অবাক করার মতো:

১. কঠিন রোগ ও ব্যাধি থেকে মুক্তি:

এর লিরিক্স খেয়াল করলে দেখবেন, এখানে কুষ্ঠ থেকে শুরু করে বাত, পিত্ত, কফ এবং বিভিন্ন প্রকার জ্বরের (যেমন—একাহিক, দ্ব্যাহিক জ্বর) উল্লেখ আছে। যারা দীর্ঘদিনের পুরনো রোগে ভুগছেন বা যাদের শরীরে বিষক্রিয়া জনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই স্তোত্র মহৌষধের মতো কাজ করে।

২. নেতিবাচক শক্তি ও শত্রু দমন:

আমাদের আশেপাশে অনেক সময় অশুভ নজর বা তান্ত্রিক বাধা থাকে (ডাকিনী-শাকিনী বা ব্রহ্মরাক্ষস দশা)। এই স্তোত্রটি পাঠ করলে বাড়িতে একটি সুরক্ষাবলয় তৈরি হয়, যা কোনো খারাপ শক্তিকে প্রবেশ করতে দেয় না। শত্রুরা আপনার কোনো ক্ষতি করতে চাইলে তা বিফল হয়।

৩. মানসিক ভয় ও মৃত্যুভয় জয়:

যাঁরা অকারণ দুশ্চিন্তা, প্যানিক অ্যাটাক বা মৃত্যুর ভয়ে ভোগেন, এই স্তোত্র তাঁদের মনকে পাথরের মতো শক্ত করে তোলে। নীলকণ্ঠ যেমন বিষ পান করে শান্ত ছিলেন, তেমনি এই স্তোত্র ভক্তকে কঠিন পরিস্থিতিতে স্থির থাকতে শেখায়।

৪. গ্রহ দোষ শান্তি:

বিশেষ করে শনি বা রাহুর দশা চললে জীবনে যে বিশৃঙ্খলা আসে, তা নীলকণ্ঠের কৃপায় শান্ত হয়। নবগ্রহের কুপ্রভাব কাটাতে এটি অত্যন্ত কার্যকর।

৫. কর্মক্ষেত্রে বাধা দূর:

যাঁদের কাজে বারবার বাধা আসছে বা ব্যবসা মাঝপথে আটকে যাচ্ছে, তাঁরা যদি ভক্তিভরে ২১ দিন টানা এই স্তোত্র পাঠ করেন, তবে উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়।


পরামর্শ:

আপনি যদি এটি প্রতিদিন পাঠ করতে না পারেন, তবে অন্তত সোমবার করে ৩ বার বা ১১ বার পাঠ করার চেষ্টা করুন। আর পড়ার সময় মনে মনে কল্পনা করবেন যে মহাদেব তাঁর নীলকণ্ঠ দিয়ে আপনার জীবনের সমস্ত বিষ (সমস্যা) শুষে নিচ্ছেন।


শ্রী নীলকণ্ঠ স্তোত্রম

Shri Neelkanth Stotram in Bengali ( श्री नीलकंठ स्तोत्रम )


বিনিয়োগ:

ওঁ অস্য শ্রী ভগবান নীলকণ্ঠ সদা-শিব-স্তোত্র মন্ত্রস্য শ্রী ব্রহ্মা ঋষিঃ, অনুষ্টুপ ছন্দঃ, শ্রী নীলকণ্ঠ সদাশিবো দেবতা, ব্রহ্ম বীজং, পার্বতী শক্তিঃ, মম সমস্ত পাপ ক্ষয়ার্থং ক্ষেম-স্থৈর্য-আয়ু-আরোগ্য-অভিবৃদ্ধ্যর্থং মোক্ষাদি-চতুর্বর্গ-সাধনার্থং চ শ্রী নীলকণ্ঠ-সদাশিব-প্রসাদ-সিদ্ধ্যর্থে জপে বিনিয়োগঃ।


ঋষ্যাদি-ন্যাস:

শ্রী ব্রহ্মা ঋষয়ে নমঃ শিরসি।
অনুষ্টুপ ছন্দসেনমঃ মুখে।
শ্রী নীলকণ্ঠ সদাশিব দেবতায়ৈ নমঃ হৃদি।
ব্রহ্ম বীজায় নমঃ লিঙ্গে।
পার্বতী শক্ত্যৈ নমঃ নাভৌ।
মম সমস্ত পাপ ক্ষয়ার্থং ক্ষেম-স্থৈর্য-আয়ু-আরোগ্য-অভিবৃদ্ধ্যর্থং মোক্ষাদি-চতুর্বর্গ-সাধনার্থং চ শ্রী নীলকণ্ঠ-সদাশিব-প্রসাদ-সিদ্ধ্যর্থে জপে বিনিয়োগায় নমঃ সর্বাঙ্গে।


স্তোত্রম:

ওঁ নমো নীলকণ্ঠায়, শ্বেত-শরীরায়, সর্পালঙ্কার ভূষিতায়, ভুজঙ্গ পরিকরায়, নাগযজ্ঞোপবীতায়, অনেক মৃত্যু বিনাশায় নমঃ। যুগ যুগান্ত কাল প্রলয়-প্রচণ্ডায়, প্রজ্বাল-মুখায় নমঃ। দংষ্ট্রাকরাল ঘোর রূপায় হুঁ হুঁ ফাট স্বাহা। জ্বালামুখায়, মন্ত্র করালায়, প্রচণ্ডার্ক সহস্রাংশু চণ্ডায় নমঃ। কপূর মোদ পরিমলাঙ্গায় নমঃ।


ওঁ ইন্দ্র নীল মহনীল বজ্র বৈলক্ষ্য মণি মাণিক্য মুকুট ভূষণায় হন হন হন দহন দহনায় হ্রীং স্ফুর স্ফুর প্রস্ফুর প্রস্ফুর ঘোর ঘোর তনুরূপ চট চট প্রচট প্রচট কহ কহ বম বম বন্ধ বন্ধ ঘাতয় ঘাতয় হুঁ ফাট জরামরণ ভয় হুঁ হুঁ ফাট স্বাহা। আত্ম মন্ত্র সংরক্ষণায় নমঃ।


ওঁ হ্রাং হ্রীং হ্রীং স্ফুর অঘোর রূপায় রথ রথ তন্ত্র তন্ত্র চট চট কহ কহ মদ মদ দহন দাহনায় হ্রীং স্ফুর স্ফুর প্রস্ফুর প্রস্ফুর ঘোর ঘোর তনুরূপ চট চট প্রচট প্রচট কহ কহ বম বম বন্ধ বন্ধ ঘাতয় ঘাতয় হুঁ ফাট জরামরণ ভয় হুঁ হুঁ ফাট স্বাহা।


অনন্তঘোর জ্বর মরণ ভয় ক্ষয় কুষ্ঠ ব্যাধি বিনাশায়, শাকিনী ডাকিনী ব্রহ্মরাক্ষস দৈত্য দানব বন্ধনায়, অপস্মার ভূত বৈতাল ডাকিনী শাকিনী সর্ব গ্রহ বিনাশায়, মন্ত্র কোটি প্রকটায় পর বিদ্যোচ্ছেদনায়, হুঁ হুঁ ফট স্বাহা। আত্ম মন্ত্র সংরক্ষণায় নমঃ।


ওঁ হ্রাং হ্রীং হৌং নমো ভূত ডামরী জ্বালবশ ভূতানং দ্বাদশ ভূতানং ত্রয়োদশ ষোড়শ প্রেতানং পঞ্চ দশ ডাকিনী শাকিনীনাং হন হন। দহন দানাথ! একাহিক দ্ব্যাহিক ত্র্যাহিক চাতুর্থিক পঞ্চাহিক ব্যাঘ্র পাদাংত বাতাদি বাত সরিক কফ পিত্তক কাশ শ্বাস শ্লেষ্মাদিকং দহ দহ ছিন্ধি ছিন্ধি শ্রীমহাদেব নির্মিত স্তম্ভন মোহন বশ্যার্ষণোচ্চাটন কীলনা দ্বেষণ ইতি ষট্ কর্মাণি বৃত্ত্য হুঁ হুঁ ফট স্বাহা।


বাত-জ্বর মরণ-ভয় ছিন্ন ছিন্ন নেহ নেহ ভূতজ্বর প্রেতজ্বর পিশাচজ্বর রাত্রিজ্বর শীতজ্বর তাপজ্বর বালজ্বর কুমারজ্বর অমিতজ্বর দহনজ্বর ব্রহ্মজ্বর বিষ্ণুজ্বর রুদ্রজ্বর মারীজ্বর প্রবেশজ্বর কামাদি বিষমজ্বর মারী জ্বর প্রচণ্ড ঘরায় প্রমথেশ্বর! শীঘ্রং হুঁ হুঁ ফট স্বাহা।

।। ওঁ নমো নীলকণ্ঠায়, দক্ষজ্বর ধ্বংসনায় শ্রী নীলকণ্ঠায় নমঃ ।।

।। ইতি শ্রী নীলকণ্ঠ স্তোত্রম সম্পূর্ণম ।।


একটি ছোট পরামর্শ:

এই স্তোত্রটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং এতে 'হুঁ ফট' এর মতো বীজমন্ত্র আছে। পাঠ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা করে বসে একাগ্র চিত্তে পাঠ করলে এর পূর্ণ সুফল পাওয়া যায়।

Shri Neelkanth Stotram  ( श्री नीलकंठ स्तोत्रम )

Lord Shiva is honored by Shri Neelkanth Stotram. Neelkanth is another name of Lord Shiva which means the one with blue throat.  Lord Shiva drank the halahala poison which came out during churning of sea.  The poison began to spread throughout his body. Soon the deadly poison started affecting Lord Shiva and His body started turning blue.  Alarmed by the fast spreading of the poison, Goddess Parvati entered Lord Shiva's throat in the form of a Mahavidya and controlled the poison to his throat.  Thus, Lord Shiva became blue-throated and came to be known as Neelkanth.  There are many benefits of chanting Shri Neelkanth stotra.  This may assist in preventing death, numerous diseases, and ill health.



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code