বাংলাদেশ: স্ব-খনিত গর্তে পতন? ইউনূস বনাম সেনাপ্রধান সংঘাত, হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও ভারতের উদ্বেগ
মানুষের ভাষা, ওয়েব ডেস্ক :
[[ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আশা করা হয়েছিল যে, দ্রুত একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যকলাপ, বিশেষত নির্বাচন বিলম্বিত করা, ইসলামপন্থীদের মুক্তি দেওয়া এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন, পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউনূসের সংঘাত দেশের ভবিষ্যৎকে এক অনিশ্চিত পথে ঠেলে দিয়েছে।]]
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। গত আগস্ট ২০২৪-এ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, দেশ পরিচালনায় থাকলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা নিয়ে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। এই সংঘাত এখন রূপ নিয়েছে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং অন্তর্র্বর্তীকালীন শাসক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে সরাসরি মতানৈক্যে। সেনাপ্রধান দ্রুত নির্বাচন চাইলেও, ইউনূস তাতে বিলম্ব করছেন এবং সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে থাকা সেনাপ্রধান-বিরোধী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতি কেবল রাজনৈতিক অস্থিরতাই বাড়াচ্ছে না, বরং দেশটির সামগ্রিক নিরাপত্তা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপরও এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পটভূমি:
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে দীর্ঘ সপ্তাহব্যাপী সহিংস বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের পর, সংবিধান অনুযায়ী কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিধান না থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলোর সমর্থনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এই সরকার গঠিত হয়েছিল মূলত দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে। তবে, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ইউনূস সরকার দেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। শেখ মুজিবুর রহমানের জাতীয় চেতনা থেকে পদ্ধতিগতভাবে অপসারণ এবং হাসিনা’র দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (BAL) ও এর সহযোগী সংগঠনগুলির উপর কঠোর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে।
সংঘাত: ইউনূস বনাম ওয়াকার-উজ-জামান
সিএনএন-নিউজ১৮ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন শাসক মুহাম্মদ ইউনূস এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছেন। সেনাপ্রধান যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চান, যাতে বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু ইউনূস এই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছেন এবং সেনাপ্রধানের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমর্থন দিচ্ছেন, যারা বিদেশী শক্তির প্রতি সহানুভূতিশীল।
মতবিরোধের কারণ:
এই মতবিরোধের একটি প্রধান কারণ হলো তাদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ঝোঁক। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে সাধারণত ভারত-পন্থী হিসেবে দেখা হয় এবং ইসলামপন্থীদের প্রতি তার তেমন সহানুভূতি নেই। অন্যদিকে, ইউনূস এবং তার প্রশাসনকে পাকিস্তান-পন্থী বলে মনে করা হচ্ছে, যাদের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশ এবং বিদেশের কট্টরপন্থী ইসলামবাদীরা।
সেনাপ্রধানের উদ্বেগ: বিদেশি প্রভাব ও অস্থিরতা:
সিএনএন-নিউজ১৮ এর তথ্য অনুযায়ী, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান দ্রুত নির্বাচন চান, কারণ ইউনূসের অধীনে দেশে বিদেশী প্রভাব ও হস্তক্ষেপ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেনাবাহিনীর সূত্রগুলো জানিয়েছে, "সেনাপ্রধান চান যে ইউনূস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের ঘোষণা দিন। তার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো বিদেশী হস্তক্ষেপের কারণে অস্থিতিশীলতা, যা ইউনূসের কারণে ঘটতে পারে, কারণ তাকে বিদেশী সংস্থাগুলোর হাতের পুতুল হিসেবে দেখা হচ্ছে।"
সূত্রগুলো আরও জানায়, "সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো ইউনূসের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বন্দীদের মুক্তি।" ইউনূস বেশ কয়েকজন ইসলামপন্থী নেতাকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার সহযোগী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (ABT) প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানী হাফি। এর ফলস্বরূপ, ইউনূসের নিয়োগের পর থেকে ইসলামপন্থী চরমপন্থীরা বাংলাদেশে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। একদিকে তিনি সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়েছেন, অন্যদিকে তিনি হাসিনা'র BAL এবং এর সমস্ত সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছেন।
ইউনুসের সমর্থন ও সেনাবাহিনীর বিভাজন:
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ভারত-পন্থী হিসেবে দেখা হওয়ায়, ইউনূস একজন প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলকে সমর্থন দিচ্ছেন, যিনি তার নিজের পাকিস্তান-পন্থী মনোভাবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, যিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার-মাস্টার জেনারেল, তিনি ইউনূসের বিশ্বস্ত ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার (NSA) খলিলুর রহমানের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। সিএনএন-নিউজ১৮ এর প্রতিবেদনে সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এনএসএ-এর উদ্দেশ্য হলো জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা।
তবে, সূত্রগুলো জানিয়েছে যে বেশিরভাগ কমান্ডার জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে রয়েছেন এবং একটি সফল অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান লেঃ জেনারেল আসিম মালিকও রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে পাকিস্তান প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীর ওয়াকার-উজ-জামান-বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। সিএনএন-নিউজ১৮ এর পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারত-পন্থী এবং পাকিস্তান-পন্থী আওয়ামী লীগ-পন্থী গোষ্ঠীতে বিভক্ত এবং রহমানের পাকিস্তান-পন্থী গোষ্ঠী - ইউনূস এবং এনএসএ দ্বারা সমর্থিত - একটি অভ্যুত্থানের কথা ভেবেছিল, কিন্তু বেশিরভাগ জেনারেল এবং কর্মকর্তা তাদের সাথে যোগ দিতে রাজি হননি। তবে, প্রতিবেদনটি সূত্রে উদ্ধৃত করে জানায় যে রহমানের পাকিস্তান-পন্থী অবস্থান সেনাবাহিনীতে উত্তেজনা সৃষ্টি করে চলেছে।
হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও ভারতের উদ্বেগ:
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও আক্রমণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হিন্দুদের ওপর "পদ্ধতিগত নিপীড়ন" চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) এই বিষয়গুলো নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এপ্রিল ২০২৫-এ দিনাজপুরে একজন হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়কে অপহরণ ও নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাকে ভারত "পদ্ধতিগত নিপীড়ন" এর একটি অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনেও ডিসেম্বরে ২০২৪-এ আগরতলায় একদল বিক্ষোভকারী হামলা চালিয়েছিল। এর আগে, নভেম্বর ২০২৪-এ হিন্দু সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যা নিয়েও ভারত ইউনূস সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার দাবি জানিয়েছিল। ভারত সরকার বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সকল সংখ্যালঘুর সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছে। সংসদে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২৩ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ২৪০০-এর বেশি হামলার ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলি সরাসরি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলছে, কারণ ভারত বরাবরই বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
ভারতের পদক্ষেপ এবং এর প্রভাব:
বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতি ভারতের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের 'প্রতিবেশী প্রথম' নীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ভারত দ্রুতই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা বাড়িয়েছে এবং ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমিটি গঠন করেছে।
তবে, কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশের ওপর একতরফা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন, বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য আমদানির জন্য বন্দর সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে আরও টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে।
ভারতের উদ্বেগের মূল কারণ হলো, একটি অস্থিতিশীল বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ইসলামিক চরমপন্থীদের উত্থান এবং পাকিস্তান ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ভারতের জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ভারত-পন্থী হিসেবে দেখা হলেও, ইউনূস প্রশাসনের পাকিস্তান-পন্থী প্রবণতা ভারতের জন্য নতুন সমস্যা সৃষ্টি করছে।
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের প্রশ্ন:
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দ্রুত নির্বাচনের কথা বললেও, ইউনূস প্রশাসনের সঙ্গে তার তীব্র মতবিরোধ সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে তুলেছে। যদি ইউনূস নির্বাচন বিলম্বিত করেন এবং দেশের অস্থিরতা বাড়তে থাকে, তাহলে সেনাপ্রধানের উপর ক্ষমতা দখলের চাপ বাড়তে পারে।
তবে, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নিজে একজন "পেশাদার এবং অরাজনৈতিক" ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি সামরিক শাসনকে বাঙালির ইতিহাসের সঙ্গে বেমানান বলে মনে করেন এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তবে তিনি এর আগেও সতর্ক করে দিয়েছেন যে, "আমাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না যা আমি করতে চাই না।" এই বার্তাটি সম্ভবত ছাত্র নেতা এবং তাদের সমর্থনকারী কট্টরপন্থীদের প্রতি ছিল। যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে, তবে তিনি যে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবেন না, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে এক জটিল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আশা করা হয়েছিল যে, দ্রুত একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যকলাপ, বিশেষত নির্বাচন বিলম্বিত করা, ইসলামপন্থীদের মুক্তি দেওয়া এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন, পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউনূসের সংঘাত দেশের ভবিষ্যৎকে এক অনিশ্চিত পথে ঠেলে দিয়েছে। ভারত এই পরিস্থিতির উপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের দ্রুত একটি গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল সরকারে প্রত্যাবর্তন দেখতে চায়। তবে, বাংলাদেশের নেতৃত্ব নিজেদের "খোঁড়া গর্তে" নিজেরাই কতটা গভীরভাবে পতিত হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
0 মন্তব্যসমূহ