Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Recent in Home

এবার কি আরো বড়ো প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি ভারতের, আবার মক ড্রিল ৪ রাজ্যে



 ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে: ২৯ মে চার রাজ্যে ‘অপারেশন শিল্ড’, কি ফের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পুনরাবৃত্তি?


ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ফের উত্তেজনার আঁচ! গোটা দেশের নজর এখন ২৯ মে-র দিকে। কারণ ওই দিনই পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা চারটি রাজ্যে— গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরে বিশাল আকারে নাগরিক প্রতিরক্ষা মহড়া অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তবে শুধু এখানেই শেষ নয়! হরিয়ানা জুড়েও চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ‘অপারেশন শিল্ড’ নামে এক রাজ্যব্যাপী প্রতিরক্ষা মহড়া ঘোষণা করেছে হরিয়ানা সরকার, যেটি ২২টি জেলার প্রতিটিতেই একযোগে বিকেল ৫টা থেকে শুরু হবে।

এই প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনার স্রোত। কারণ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই, ৬ ও ৭ মে মধ্যরাতে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোপনে চালিয়েছিল ‘অপারেশন সিন্দুর’। ওই অভিযানে পহেলগামে জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়া হয়েছিল, যেখানে ২২ এপ্রিল নৃশংস হামলায় নিহত হন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক।

‘অপারেশন সিন্দুর’-এর ঠিক আগে, ৭ মে সকালেই সারা দেশে সংঘটিত হয়েছিল ‘অপারেশন অভ্যাস’ নামে আরেকটি বিশাল নাগরিক প্রতিরক্ষা মহড়া। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে পরিচালিত এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ২৪৪টি নির্দিষ্ট সিভিল ডিফেন্স জেলা, যার মধ্যে ছিল দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই ও হায়দরাবাদের মতো মহানগর।

এই মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল একটি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য দেশের প্রস্তুতি যাচাই করা। সাইরেন বেজে উঠেছিল শহর জুড়ে, ব্ল্যাকআউট অনুশীলন চলেছিল রাতে, সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিরাপদ অঞ্চলে, আর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় কী।

বিশেষভাবে নজরদারির আওতায় ছিল সরকারি দফতর, পাবলিক সেক্টর ইউনিট এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো সংস্থা— যেগুলি শত্রুপক্ষের প্রথম নিশানায় থাকতে পারে।

এই পটভূমিতে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ‘অপারেশন শিল্ড’কে নিছক একটি মহড়া হিসেবে দেখছে না কূটনৈতিক মহল। বরং অনেকেই মনে করছেন, এটি হতে পারে আরেকটি বড় আকারের সামরিক অভিযান বা প্রতিশোধমূলক স্ট্রাইকের পূর্বপ্রস্তুতি।

ভারত কি তবে ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে? পহেলগামের মতো আরেকটি হামলা কি আসন্ন? সীমান্তে মোতায়েন হয়েছে সেনা, গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তান সীমান্তে জঙ্গি আনাগোনা বেড়েছে। সবমিলিয়ে, পরিস্থিতি যেন ফের ইঙ্গিত দিচ্ছে এক ‘অপারেশন সিন্দুর ২.০’-র সম্ভাবনার দিকে।

এখন দেখার, ২৯ মে-র মহড়া কী কেবলমাত্র নাগরিক সচেতনতা, না কি তা আসলে এক বড় কিছুর আভাস! উত্তেজনার পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। গোটা দেশ অপেক্ষায় — এবার কী পদক্ষেপ নেবে ভারত?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Comments

Ad Code