পাহালগাম হামলার পেছনে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর চক্রান্ত ফাঁস: NIA-এর প্রাথমিক তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ
নয়া দিল্লি, ২ মে ২০২৫: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামের বাইসারান উপত্যকায় সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-এর প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI), সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (LeT), এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সরাসরি জড়িত ছিল ।
NIA-এর সূত্র অনুযায়ী, এই হামলার মূল পরিকল্পনা LeT-এর পাকিস্তানস্থিত সদর দপ্তরে তৈরি হয়, যেখানে ISI-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এই ষড়যন্ত্র রচিত হয়। হামলায় জড়িত প্রধান দুই সন্ত্রাসী, হাশিম মুসা ও আলি ভাই, পাকিস্তানের নাগরিক এবং তারা নিয়মিতভাবে পাকিস্তান থেকে নির্দেশনা পাচ্ছিল ।
NIA probe links ISI, Pakistan Army and LeT to #PahalgamTerroristAttack
— TIMES NOW (@TimesNow) May 2, 2025
Which unform man in India does not know that Pakistan is run by the army and ISI are their main operators: Defence Expert @Thapar77Thapar @priyanktripathi shares more details with @Swatij14 pic.twitter.com/czCASkMaTk
তদন্তে আরও জানা গেছে, হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে সন্ত্রাসীরা ভারতে প্রবেশ করে এবং স্থানীয় ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের (OGW) সহায়তায় আশ্রয়, পরিবহন এবং নজরদারির ব্যবস্থা করে। তারা বাইসারান উপত্যকা, আরু উপত্যকা, বেতাব উপত্যকা এবং একটি স্থানীয় বিনোদন পার্কসহ চারটি সম্ভাব্য স্থানে নজরদারি চালায় এবং নিরাপত্তা কম থাকার কারণে বাইসারানকে হামলার জন্য বেছে নেয় ।
NIA-এর ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে ৪০টিরও বেশি কার্তুজ সংগ্রহ করে বলিস্টিক এবং রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠিয়েছে। এছাড়া, স্যাটেলাইট ফোনের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, হামলার আগে বাইসারান এলাকায় তিনটি স্যাটেলাইট ফোন সক্রিয় ছিল ।
তদন্তে আরও প্রকাশ পেয়েছে, হাশিম মুসা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য, যিনি পরে LeT-তে যোগ দেন ।
এই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করেছে, ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করেছে এবং সীমান্ত বন্ধ করেছে। পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সীমান্তে গোলাগুলি এবং আকাশসীমা বন্ধ করা ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই হামলা ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনা, যা দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির জন্য ভারত সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ