নতুন ভারতের বজ্রনিনাদ: ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেমে যায়নি’ — পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর
পাকিস্তানের
বুকে ভয় ঢুকিয়ে প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা—
"জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ থেমে যায়নি, থামেওনি।
অপারেশন সিঁদুর কেবল শুরু।"
শুক্রবার
বিহারের কারাকাটে এক জনসভায় দাঁড়িয়ে
মোদির গর্জন যেন বজ্রপাত হয়ে
নামল সন্ত্রাসবাদ ও পাকিস্তানের মাটিতে।
তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন— পাহালগামে
ঘটে যাওয়া বর্বর হত্যাকাণ্ডের জবাব দেওয়া হয়েছে,
এবং এই প্রতিশোধের আগুনে
আরও ঘা আসবে। "শত্রুদের
চোখে অপারেশন সিঁদুরের শক্তি পড়েছে। ওরা বুঝে গিয়েছে— এটা
আমাদের তরকশের একটাই তীর," বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর এই কথায়
উঠে এল ভারতের অদম্য
লড়াই, এক দুর্বার আগুন,
যার গন্তব্য একটাই— জঙ্গিবাদের সমূল উৎপাটন। তিনি
বলেন, "এই যুদ্ধ কোনওদিন
শেষ হয়নি, আজও থেমে যায়নি।
পাকিস্তান যেন ভুলেও না
ভাবে যে তারা সুরক্ষিত।
ভারত এখন বদলে গেছে— এটা
'নয়া ভারত', যে শত্রুকে তার
ঘরে ঢুকে চূর্ণ করে।"
কারাকাটের
সভা ছিল এক অনন্য
ক্ষণ, যেখানে ₹৫০,০০০ কোটির
উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি দেশবাসী দেখলো এক দৃঢ়চেতা নেতার
প্রতিজ্ঞা পূরণের গৌরব।
মোদির
কণ্ঠে আরও একবার ফিরে
আসে সেই অশ্রুসজল স্মৃতি— ২২
এপ্রিলের পাহালগাম হামলা, যেখানে ২৬ জন ভারতীয়
প্রাণ হারিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "আমি
বিহারে এসেছিলাম সেই রক্তাক্ত ঘটনার
পরদিন। সেইদিন আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম— এই
হামলার বদলা ভারত নেবে,
এমনভাবে যা ওরা কল্পনাও
করতে পারবে না। আজ আবার
বিহারে ফিরলাম, মাথা উঁচু করে,
সেই প্রতিশ্রুতি পালন করে।"
অপারেশন
সিঁদুরের শক্তি নিয়ে মোদি বলেন, "এই
দেশের মেয়েদের সিঁদুর আজ পাকিস্তানের বুক
কাঁপিয়ে দিয়েছে। ওদের মনে হয়েছিল,
পাকিস্তান সেনার ছত্রছায়ায় তারা নিরাপদ। কিন্তু
আমাদের সেনারা তাদের হাঁটু গেঁড়ে ফেলেছে। ওদের বিমান ঘাঁটি,
সামরিক ঘাঁটি— সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়েছি আমরা।"
একইসঙ্গে
বিহারের সন্তানের সাহসিকতাকেও সম্মান জানাতে ভোলেননি মোদি। তিনি স্মরণ করেন
বিএসএফ-এর সাব-ইন্সপেক্টর
মোহাম্মদ ইমতিয়াজের আত্মত্যাগ, যিনি জম্মু-কাশ্মীরে
শহিদ হন। তাঁর এই
আত্মবলিদানকে মোদি তুলনা করেন
বীর কুনওয়ার সিং -এর বীরত্বের সঙ্গে— সেই
কিংবদন্তি যিনি ১৮৫৭-র
বিদ্রোহে ব্রিটিশদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।
এই ভারত আর চুপচাপ
সইবে না। এই ভারত
প্রতিশোধ নেয়— বুকের রক্ত আর গর্ব
নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা যেন
শুধু পাকিস্তান নয়, সারা বিশ্বকে
জানিয়ে দিল— নতুন ভারত শান্তি
চায়, তবে দুর্বলতা নয়।
প্রয়োজন হলে শত্রুর হৃদয়েও
ঢুকে প্রতিশোধ নিতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ